ঋণ মঞ্জুরের সঙ্গে সঙ্গে মঞ্জুরিপত্র জনগণের অবগতির জন্য সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ আদায়ে চেক ডিজঅনার মামলা করতে পারবে না, মর্মে হাই কোর্টের দেওয়া রায়ে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক বেঞ্চ গত ২৩ নভেম্বর এ রায় দেন। গতকাল ওই রায়ের ১৩ পৃষ্ঠা পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হয়েছে। চেক ডিজঅনারের অভিযোগে ব্র্যাক ব্যাংকের করা এক মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলীর দন্ড বাতিল করে রায় দিয়েছিলেন হাই কোর্ট।
এদিকে ঋণ আদায়ে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনার মামলা করতে পারবে না বলে যে রায় হাই কোর্ট দিয়েছিলেন, তা স্থগিত করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতি আপিল বেঞ্চ গতকাল এ আদেশ তৃণ। হাই কোর্টের রায় দুই মাসের জন্য স্থগিত করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট আসামির জামিন বহাল রাখা হয়েছে আদেশে। গতকাল প্রকাশিত হাই কোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের ঋণ প্রদানে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও আধুনিকীকরণের পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে নিয়মিত বিরতিতে তা দেখাশোনা করার কথা বলা হয়েছে। রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, ব্যাংকের টাকা যেহেতু জনগণের টাকা। সেহেতু জনগণের টাকা কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দিচ্ছেন, তা জনগণের জানার অধিকার আছে। তাই প্রত্যেক ঋণ মঞ্জুরের সঙ্গে সঙ্গে স্যাংশন লেটার জনগণের অবগতির জন্য সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার নির্দেশ প্রদান করা হলো। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি ঋণের বিপরীতে ইন্সুরেন্স বাধ্যতামূলক করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতি অবিলম্বে বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশনা জারি করবে।
