আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, আমাদের অস্তিত্বের জন্য ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, আমার নিজ জেলা নোয়াখালীর স্বার্থে, রাজনীতির স্বার্থে আমার ভাই আবদুল কাদের মির্জা ও একরামুল করিম চৌধুরীকে ক্ষমা করে দিয়েছি। নোয়াখালীতে আমি কোনো কলহ রাখতে চাই না। কলহমুক্ত আওয়ামী লীগ চাই। গতকাল নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, একরামুল করিম চৌধুরী, এইচ এম ইব্রাহিম, মোরশেদ আলম, মামুনুর রশিদ কিরণ, আয়েশা আলী প্রমুখ। ওবায়দুল কাদের বলেন, খেলা হবে, হবে খেলা, এই ডিসেম্বরে খেলা হবে। আগামী নির্বাচনে খেলা হবে। আন্দোলনে খেলা হবে। তিনি বলেন, খেলা হবে স্লোগান মির্জা ফখরুলের পছন্দ নয়। আরও কারও কারও পছন্দ নয়। কিন্তু যে স্লোগান জনগণ পছন্দ করে সেই স্লোগান আমি দিয়েই যাব। তিনি বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপি নাকি রাজপথ ও ঢাকা দখল করবে। আমি বলতে চাই, আমাদের নেতা-কর্মীরা মহানগর জেলা, উপজেলা, ওয়ার্ড, পাড়া-মহল্লায় পাহারায় থাকবে। তিনি বলেন, তারা আগুন, লাঠি নিয়ে আসবে, তাই তারা পার্টি অফিসে সমাবেশ করতে চায়।
নতুন কমিটি : সম্মেলনে বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ এ এইচ এম খায়রুল আনাম চৌধুরী সেলিমকে সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তবে সাধারণ সম্পাদক পদে তিনি কারও নাম ঘোষণা করেননি।
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সমাধিতে আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা : উপমহাদেশের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। গতকাল সকালে সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় তাঁর সমাধিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময় দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জাহানারা বেগম, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনিবাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, সাহাবুদ্দিন ফরাজি, আজিজুস সামাদ আজাদ ডন ও সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এরপর ঢাকা মহানগরসহ সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ নিয়ে মানুষ আতঙ্কে আছে। সমাবেশের নামে বিশৃঙ্খলা ও বাড়াবাড়ি করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ সমুচিত জবাব দেবে। তিনি বলেন, তাদের (বিএনপির) শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার অধিকার আছে, সেটি তারা করুক। কিন্তু দেশের মানুষ আতঙ্কে কেন? কেন তারা আতঙ্কে থাকবে? মানুষের আতঙ্ক দূর করতে হবে। বিরোধী দলের অধিকার আছে বলে আমরা ছাড় দিয়েছি। বিএনপিকে সব অগণতান্ত্রিক শক্তির বিশ্বাসযোগ্য ঠিকানা আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তি, জঙ্গিবাদী শক্তি এখনো গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে সক্রিয় রয়েছে। তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে বিএনপি।