শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
মানবাধিকার কমিশন

ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে জানাজায় নেওয়া অমানবিক

নিজস্ব প্রতিবেদক

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় আসামিকে তার মায়ের জানাজায় নেওয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই নিন্দা জানিয়েছে সংস্থাটি।

কমিশন মনে করে, মায়ের জানাজায় ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে নিয়ে যাওয়া কেবল অমানবিকই নয় বরং বাংলাদেশের সংবিধান ও মৌলিক মানবাধিকারের পরিপন্থী। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উপপরিচালক ফারহানা সাঈদের পাঠানো ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে আলী আজমের মা সাহেরা বেগম বার্ধক্যজনিত কারণে ১৮ ডিসেম্বর মারা যান। শেষবার মায়ের লাশ দেখতে এবং জানাজায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পেতে আইনজীবীর মাধ্যমে ১৯ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসক বরাবর প্যারোলে মুক্তির আবেদন করেন আলী আজম। ২০ ডিসেম্বর তিন ঘণ্টার জন্য তাকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয় এবং তিনি তার মায়ের জানাজায় উপস্থিত থাকার সুযোগ পান। ‘প্যারোলের পুরোটা সময় হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় ছিলেন তিনি। এমনকি জানাজা পড়ানোর সময় তার হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি খুলে দেওয়ার অনুরোধ করা হলেও তা খুলে দেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।’

কমিশন মনে করে, ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনপূর্বক প্যারোলে মুক্তি দেওয়ার পরও একজন বন্দিকে মায়ের জানাজায় ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে নিয়ে যাওয়া কেবল অমানবিকই নয় বরং বাংলাদেশের সংবিধান ও মৌলিক মানবাধিকারের পরিপন্থী। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করার জন্য এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ও ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজে যথার্থ পদক্ষেপ গ্রহণে যত্নবান হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশনা দেয় কমিশন। 

উল্লেখ্য, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় ২৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলার অভিযোগে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলায় ২ ডিসেম্বর গ্রেফতার করা হয় উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলী আজমকে।

সর্বশেষ খবর