শিরোনাম
রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগের অনেক অবদান, প্রত্যাশা এর চেয়েও বেশি

আকতারুজ্জামান

আওয়ামী লীগের অনেক অবদান, প্রত্যাশা এর চেয়েও বেশি

ড. এ কে আজাদ চৌধুরী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেছেন, দেশের প্রাচীনতম ও বৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠান গণতান্ত্রিক চর্চার বহিঃপ্রকাশ। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এ দলের অনেক অবদান রয়েছে দেশের জন্য। তবে এর চেয়েও আওয়ামী লীগের কাছে জাতির প্রত্যাশা অনেক বেশি। বঙ্গবন্ধুকন্যা এখন এই দলের নেতৃত্বে রয়েছেন। দেশের অনেক উন্নয়ন হয়েছে, অনেক মেগা প্রজেক্ট হয়েছে, করোনা মহামারি ভালোভাবে শামাল দিয়েছে সরকার। এ ছাড়া নানা ইতিবাচক অর্জন হয়েছে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ঘাটতি রয়েছে। আসলে জনগণের প্রত্যাশার তো শেষ নাই। তবে অন্য যে কোরও চেয়ে জনগণের প্রত্যাশা আওয়ামী লীগের কাছে বেশি। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, মানবিক মূল্যবোধ, গণতন্ত্র, নাগরিক অধিকার ও দেশ পরিচালনায় জনগণের সম্পৃক্ততাকে অনেক উচ্চ স্থানে প্রত্যাশা করে মানুষ। আসলে প্রত্যাশা বেশি থাকলে হতাশার কথাও কিছু এসে যায়। প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির ফারাক থাকলে হতাশা সৃষ্টি হয়। হতাশা কাটিয়ে উঠতে মানুষের প্রত্যাশার কাছাকাছি থাকতে হবে। আমরা বিভিন্ন সেক্টরে দুর্নীতির কথা শুনি। আর্থিক অনিয়মগুলো দূর করতে পদক্ষেপ নিতে হবে আওয়ামী লীগকে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক এই চেয়ারম্যান বলেন, আরও মর্যাদাসম্পন্ন জাতি হিসেবে অবস্থান, গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখা ও সমতাভিত্তিক সমাজ সৃষ্টিতে বঙ্গবন্ধুর অঙ্গীকার- এই তিন ক্ষেত্রে প্রত্যাশা থেকে একটু দূরে আছি আমরা। মানুষের প্রত্যাশার এই স্থানটি পূরণ করতে হবে। আর অন্য দল এসে এগুলো রাতারাতি পরিবর্তন করে ফেলবে সেটাও কিন্তু সম্ভব নয়। তবে অনেক অর্জন, প্রাপ্তির পাশাপাশি প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির ফারাকটাও রয়ে গেছে। এটি রয়েছে সামাজিক ও মানবিক মর্যাদা নিয়ে, রয়েছে নির্বাচন নিয়ে। এগুলো দূর করতে সরকার সচেষ্ট থাকবে বলে আমার প্রত্যাশা।

এই শিক্ষাবিদ বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বড় দল। এটি ব্যক্তিকেন্দ্রিক নয়, সবাইকে মিলেই এ দল। সে জায়গা থেকে আওয়ামী লীগে সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, শিক্ষকসহ মধ্যবিত্ত ও খেটে খাওয়া আপামর জনসাধারণের মধ্যে কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এই দূরত্ব মোচন করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ জনমানুষের সঙ্গে যতটা সম্পৃক্ত ছিল, তা থেকে মনে হয় কিছুটা সরে এসেছে। কিছুটা সরে এসেছে ব্যবসায়ীদের কাছে, আমলাতন্ত্রের কাছে ও যারা রাষ্ট্র পরিচালনায় ভূমিকা রাখেন তাদের কাছে। অথচ দুটি বিপরীতমুখী ধারা। এ বিষয়টি সমন্বয় করলে ভালো হবে।

এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, বিভিন্ন এলাকায় ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এটা ইতিবাচক যে কম মূল্যে জিনিসপত্র দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার। কিন্তু এই ট্রাকের পেছনে যখন অনেক লম্বা লাইন দেখা যায় এর মানে হচ্ছে এই মানুষগুলোর এভাবে থাকার কথা ছিল না। বিষয়টির প্রতি নজর দেওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।

সর্বশেষ খবর