নতুন বছরে দেশের অর্থনীতিতে চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা দুটিই রয়েছে বলে মনে করেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. জামালউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, প্রথম চ্যালেঞ্জ হলো মুদ্রাস্ফীতি কমানো। কেননা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি মানুষকে চরম ভোগান্তিতে ফেলেছে। দ্বিতীয়টা হলো, বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে স্থিতিশীলতা ফেরানো। অবশ্য এ খাতের অস্থিরতা কিছুটা কমে আসছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। অর্থনৈতিক কূটনীতি, বিশ্ব কূটনীতি, শক্তিশালী দেশগুলোর সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের মাধ্যমে আমাদের একটা সামঞ্জস্যপূর্ণ কূটনৈতিক পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। বিশেষ করে অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক কোনো ধরনের স্যাংশনের আওতায় পড়া যাবে না। আমাদের মতো দেশগুলোর জন্য এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। কোনো কারণে স্যাংশনের আওতায় পড়লে সেখান থেকে বের হওয়া খুবই কঠিন হয়ে যাবে। ফলে স্যাংশন এড়িয়ে চলাই হতে হবে সর্বোত্তম কূটনৈতিক কৌশল। তিনি বলেন, নির্বাচন কেন্দ্র করে কোনো প্রকার সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তা হবে আমাদের জন্য ভয়াবহ ক্ষতির কারণ। উভয় দলকে সহনশীল আচরণ করতে হবে। এটাও একটা চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এই পরিচালক গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের গলদ রয়েছে। এটা ঠিক করতে হবে। যেমন ব্যাংকিং ব্যবস্থায় অনিয়ম, দুর্নীতি কমিয়ে আনতে হবে। ব্যাংকিং খাত বিনষ্ট হলে অর্থনীতির সব খাতই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ইতোমধ্যে প্রভাব তো কিছুটা পড়তে শুরুও করেছে। ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতা ও সুশাসন ফেরাতে না পারলে শেয়ারবাজারেও এর প্রভাব পড়বে। কেননা ব্যাংকিং খাতের সমস্যা অর্থনীতির অনেক খাতের জন্যই সমস্যার রুট হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া সরকারের মধ্যে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে বেফাঁস কথা বলা বন্ধ করতে হবে। দায়িত্বশীল পর্যায়ে যে কোনো একটা জায়গা থেকে কথা বলতে হবে। একেক জায়গা থেকে একেক রকম কথা বললে জাতি বিভ্রান্ত হয়। মানুষ অ্যাকুরেট তথ্য জানতে পারে না। ফলে এখানেও কথা বলার সময় দায়িত্বশীলদের মুখে লাগাম দেওয়াটাও একটা চ্যালেঞ্জ। ব্যাংকিং বা আর্থিক খাতের কোনো সমস্যা একেকজন অন্যের ঘাড়ে না চাপিয়ে এটাকে জাতীয় সমস্যা হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে কাজ করতে হবে। তাহলে মানুষের আস্থা বাড়বে। অন্যথায় ব্যাংকিং খাতের সমস্যা আরও বাড়বে। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও জনতা ব্যাংকের সাবেক এই চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচন কেন্দ্র করে কোনো প্রকার সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তা হবে আমাদের জন্য ভয়াবহ ক্ষতির কারণ। এটা বাদ দিয়ে গঠনমূলক রাজনীতি করতে হবে। এ বছরটা যেহেতু নির্বাচনের, তাই উভয় দলকে সহনশীল আচরণ করতে হবে। আমেরিকায় যেমন ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান- এখানেও তো তেমন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি জোট। এ দুটি জোটের মধ্যে যদি দেশপ্রেম ও দেশের উন্নতির স্বার্থে সবাই নিজেদের সংযত রাখতে পারে তাহলে উন্নয়নের গতি স্বাভাবিক থাকবে। যার মাধ্যমে আমরা একটা সমৃদ্ধ বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যেতে পারব। এটাও কিন্তু একটা চ্যালেঞ্জ।
শিরোনাম
- আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ, তৈরি হচ্ছে মঞ্চ
- রাফাল যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলেছে ভারত, প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি
- সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা: শত শত মানুষকে সরিয়ে নিলো ভারত
- খায়রুজ্জামান লিটনের সাবেক এপিএস স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা টিটু আটক
- উত্তেজনা চরমে: পাকিস্তানের পক্ষে বার্তা দিলেন এরদোগান
- ‘সিনেমা’ থেকে ‘বাস্তব’ জগতে ফিরে আসুন, ভারতকে পাকিস্তানের আহ্বান
- ইংলিশ দলে ডাক পেলেন রিউ
- ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ‘আমাদের কোনও বিষয় নয়’ : যুক্তরাষ্ট্র
- এল-ক্লাসিকোর রেফারি চূড়ান্ত
- পাকিস্তান থেকে সরিয়ে যেখানে হবে পিএসএল
- সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেফতার
- অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা : নাহিদ
- পাকিস্তানি পাইলটকে আটকের দাবি ভারতের, প্রমাণ চাইল ইসলামাবাদ
- আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ জাবি শিক্ষার্থীদের
- আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাবিতে বিক্ষোভ
- প্রথম আমেরিকান পোপ রবার্ট প্রেভোস্ট
- বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি খাত হুমকিতে
- 'পাকিস্তান আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিলে সারা পৃথিবী জানবে'
- ভারতের সেনা-স্থাপনায় হামলা, অস্বীকার পাকিস্তানের
- আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবিতে যমুনার সামনে অবস্থান
সংঘাতময় রাজনৈতিক পরিস্থিতি এড়াতে হবে
-ড. জামালউদ্দিন আহমেদ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর

পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় সম্পূর্ণ ‘ব্ল্যাকআউট’ জম্মুতে পরপর বিস্ফোরণ, দাবি ভারতের
১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় করার দাবি ভারতের
১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম