শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

ডিসেম্বরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ : ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ডিসেম্বরে নির্বাচন সামনে রেখে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এ নির্বাচনে বিএনপির সঙ্গে কোনো সংঘাত নয়, প্রতিযোগিতা করতে চায় আওয়ামী লীগ। তিনি বলেন, ‘আমরা ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চাই না। খেলে গোল দিতে চাই।’ গতকাল সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত যৌথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, যুব মহিলা লীগ সভাপতি আলেয়া সরোয়ার ডেইজীসহ কেন্দ্রীয় ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা। ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় নির্বাচন এলেই দেশের রাজনীতিতে নানা ধরনের গুজব ডালপালা বিস্তার করে। নির্বাচনে কোনো পক্ষপাতিত্ব এবং কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ হবে না। শেখ হাসিনার সরকার শুধু রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশনকে সার্বিক সহযোগিতা করবে। তারা (বিএনপি) এক বছর ধরে প্রকাশ্যে মাঠে এসেছে, বিশেষ করে গত ডিসেম্বর থেকে তারা অনেক বড় বড় কথা বলেছে। আমরা সন্ত্রাসের আশঙ্কায় শান্তি সমাবেশ করছি। যতক্ষণ বিএনপি আন্দোলন করবে আমরা শান্তি সমাবেশ করব। তারা নয়াপল্টনে করে আমরা উত্তরায়, ১০ ডিসেম্বর তারা রাজধানীতে করেছে আমরা সেভাবে করেছি। পাল্টাপাল্টি কেন? এটা আমাদের বিব্রত করছে। আমাদের দল নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা কোনো কর্মসূচি দিলে কিছু সংবাদমাধ্যম বিএনপির কথাটিকে বলে। বিএনপি বলছে পাল্টাপাল্টি। আমরা তো পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করছি না। নেতাদের বিদেশ সফর নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সম্মেলনের পর থেকে নেতাদের মধ্যে গা-ছাড়া ভাব চলে এসেছে। অনেকে কয়েকদিন পরপর ওমরাহ পালন করতে যাবে, চিকিৎসার জন্য যাবে, বোনের চিকিৎসা, আত্মীয়ের চিকিৎসাসহ নানা ছুতো দেখায়। আমাদের এখানে পার্টি অফিসে প্রচুর লোক আসে কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতা উপস্থিত থাকেন না। আমি জেনারেল সেক্রেটারি উপস্থিত থাকি। কোনো বিভাগের কোনো সমস্যা পেলে আর বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা থাকলে তাদের সামনে আমি বলতে পারি এ সমস্যা নিয়ে। সব বিষয়ে নেত্রী নাক গলাবেন এ সময় তো নেত্রীর নেই। তিনি কঠিন এক পরিস্থিতি মোকাবিলা করছেন। সে অবস্থায় তাকে পার্টির সব ব্যাপারে, ঠুনকো ব্যাপারেও তাকে বিব্রত করা আমি মনে করি ঠিক হবে না। রাষ্ট্রীয় কাজে তার অনেক ব্যস্ততা। তারপরও তিনি খোঁজখবর রাখেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গায় পার্টির অভ্যন্তরীণ কোনো সমস্যা হলে সেটা তিনি এসএমএস পাঠান, অথবা ফোন করে কথা বলেন। শুধু আমাকে নয়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, যাকে যেখানে প্রয়োজন মনে করেন তার সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের হাতে খুব বেশি সময় নেই। এখন আমাদের প্রতিদিনই আলাপ-আলোচনা করতে হবে। সে জন্য আপনাদের আমি বিশেষভাবে আহ্বান করছি, যারা সম্পাদক আছেন দ্রুত সময়ের মধ্যে উপকমিটির খসড়া তৈরি করুন। করব করব বললে হবে না, নির্বাচন ডিসেম্বরে। উপকমিটিগুলো তাড়াতাড়ি করে ফেলুন। এখনো সহযোগী সংগঠনের একটা কমিটিও আমি পাইনি। মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, ছাত্রলীগ, স্বাচিপ। কোনো কমিটিই জমা হয়নি। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের কিছু কমিটি এখনো ঘোষণা হয়নি। এগুলো দ্রুত করে দিতে হবে। আমাদের অনেক কাজ বাকি। আমাদের টিম ওয়ার্ক করতে হবে। ঘরে ঘরে যেতে হবে, এটা নেত্রীর নির্দেশনা।

সর্বশেষ খবর