যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলে বলেছেন, ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ বন্ধের একমাত্র কৌশল কূটনৈতিক উপায়ে শান্তি চুক্তি করা। যুদ্ধক্ষেত্রে সম্মুখ লড়াইয়ের মাধ্যমে চূড়ান্ত জয় অর্জন সম্ভব নয়। কেননা, ইউক্রেন যুদ্ধে সামরিক লড়াইয়ে কেউই জিতবে না। সূত্র : রয়টার্স, আরটি।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেছেন, ‘ইউক্রেনে সামরিক উপায়ে রাজনৈতিক স্বার্থ অর্জন রাশিয়ার পক্ষে প্রায় অসম্ভব। রাশিয়া ইউক্রেন দখল করে নেবে- এমন চিন্তা অবাস্তব।’ খবরে বলা হয়, জেনারেল মার্ক মিলে তার এমন মতের পক্ষে সুস্পষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ করেননি।

জেনারেল মিলে বলেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধের একটি শিক্ষা হলো- প্রচলিত যুদ্ধাস্ত্রের বহুল ব্যবহার। এ জন্য আমরা আমাদের নিজস্ব অস্ত্রের মজুদ ও পরিকল্পনাগুলো নতুন করে যাচাই করে দেখছি, যাতে জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য আমরা প্রস্তুত থাকতে পারি এবং বাজেটে তা যুক্ত করতে পারি। কেননা, গোলাবারুদ খুবই ব্যয়বহুল।’

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের এই শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা গত সপ্তাহের শুরুতে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলস সফর করেন। ওই সময় তিনি এবারের বসন্তে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ জোরদার করার লক্ষ্যে ইউক্রেনের শক্তি বাড়াতে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যদের সামগ্রিক কর্মকাণ্ডে সমন্বয় আনার ওপর জোর দিয়েছিলেন।

এর পরিপ্রেক্ষিতে ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ সতর্ক করে বলেছিলেন, পশ্চিমা মিত্ররা যে পরিমাণ অস্ত্র সহায়তা দিচ্ছে, কিয়েভ যুদ্ধক্ষেত্রে তার চেয়ে বেশি অস্ত্রের ব্যবহার করছে। আরও উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে এখনকার সামরিক বাজেটের আকার ৮১ হাজার ৭০০ কোটি ডলার, যা বিশ্বের বড় বড় ১০টি সামরিক শক্তির সমন্বিত বাজেটের বেশি। তার ওপর গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে ইউক্রেনের জন্য সহায়তা হিসেবে ১১ হাজার কোটি ডলারের বেশি অর্থ দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। এভাবে নিজস্ব মজুতের অস্ত্র ইউক্রেনকে সহায়তা হিসেবে দেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের সমালোচনা করেছেন মার্কিন আইনপ্রণেতাদের অনেকেই।