বুধবার, ১ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা
প্রমাণ মিলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্যাতনের

রাবিতে জড়িতরা চিহ্নিত

রাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) হলকক্ষে ডেকে নিয়ে হিন্দু শিক্ষার্থী কৃষ্ণ রায়কে শিবির তকমা দিয়ে নির্যাতনের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। অভিযুক্তদের হল থেকে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন। গতকাল সন্ধ্যায় এ কথা জানান তিনি। তবে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, হল কক্ষে ছাত্র নির্যাতনের ঘটনায় অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তাই অভিযুক্তদের হল থেকে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেননা তারা হলের বৈধ শিক্ষার্থী নয়। হলের আসন ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে দ্রুতই বৈধ শিক্ষার্থী তোলা হবে। তদন্ত প্রতিবেদন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় অভিযুক্তদের ছাত্রত্ব স্থায়ীভাবে বাতিলসহ বেশ কিছু সুপারিশও করা হয়েছে।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম বলেন, বিকালে একটি তদন্ত প্রতিবেদন পেয়েছি। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটিতে পাঠানো হবে। সেখানেই অভিযোগের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, এ ঘটনা আমরাও সাংগঠনিকভাবে যাচাই-বাছাই করেছি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।

এর আগে ১৪ ফেব্রুয়ারি সোহরাওয়ার্দী হল ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে শিবির তকমা দিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী কৃষ্ণ রায়।

প্রক্টর দফতরে দেওয়া অভিযোগপত্রে ছাত্রলীগ সোহরাওয়ার্দী হল শাখার সাধারণ সম্পাদক নাঈম ইসলাম, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মো. সোলাইমানসহ কয়েকজন এ ঘটনায় জড়িত বলে উল্লেখ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। এ ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। ছাত্রলীগের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে অনশনে বসেন অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ফরিদ উদ্দিন খান। বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। মশাল মিছিল করে ক্যাম্পাসের বাম ছাত্র সংগঠনগুলো। সেদিনই ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে হলের তিন আবাসিক শিক্ষককে নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে হল প্রশাসন। এতে ড. অনুপম হীরা মণ্ডলকে আহ্বায়ক, ড. তানজিল ভূঞা ও ড. রায়হান গফুরকে সদস্য করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের কারণ দর্শানোর নোটিস দেয় শাখা ছাত্রলীগ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর