সোমবার, ১৩ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

সমঝোতার দায়িত্ব ইসির নয় : সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, রাজনৈতিক সমঝোতায় ইসির উদ্যোগের বিষয়টি নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধি দল জানতে চেয়েছিল। আমরা বলেছি, ‘সেটা আমাদের দায়িত্বের পরিধিভুক্ত নয়।’ তিনি বলেন, অংশগ্রহণমূলকের বিষয়ে আমরা উদ্যোগ নেব না; এটা পলিটিক্যাল ইস্যু। গতকাল আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব  কথা বলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ১০ মাস বাকি থাকতে তা নিয়ে আলোচনা করতে গতকাল ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে যান অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ের। তার সঙ্গে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য দফতরের উত্তর ও দক্ষিণ এশিয়ার সহকারী সচিব (প্রথম) গ্রে কোওয়ান, সহকারী পরিচালক এলিস হেইনিঙ্গার এবং হাইকমিশনের উপপ্রধান নার্দিয়া সিম্পসনও ছিলেন। এদিকে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক দেখতে চায় অস্ট্রেলিয়া। ইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে নিজ দেশের এমন প্রত্যাশার কথা জানান হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ের। তিনি বলেন, সিইসি ও তার সহকর্মীদের সঙ্গে নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে খুব সুন্দর মতবিনিময় করেছি। সরকার ও বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে প্রত্যাশা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চাই। অন্যদিকে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তাদের মধ্যে ভালো মতবিনিময় হয়েছে। তাদের সঙ্গে আলোচনার প্রসঙ্গ টেনে সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, ‘উনারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক হবে, ফ্রুটফুল হবে। আমরা প্রিপারেশনের কথা জানিয়েছি। আমরা ফুললি প্রিপেয়ার্ড। আমরাও চাচ্ছি অংশগ্রহণমূলক হোক, কনটেস্টেড হোক।’ রাজনৈতিক সমঝোতায় ইসির উদ্যোগের বিষয়টি নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধি দল জানতে চেয়েছিল বলে জানান সিইসি। তিনি বলেন, ‘আমাদের দায়িত্বের মধ্যে উনারা জানতে চেয়েছে- আমরা রাজনৈতিক দলের সমঝোতার সৃষ্টি করতে পারি কি না? আমরা বলেছি, সেটা আমাদের দায়িত্বের পরিধিভুক্ত নয়।’ সিইসি বলেন, ‘আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে কন্সট্যান্টলি বলে যাচ্ছি, নির্বাচনটা অংশগ্রহণমূলক, প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হওয়া প্রয়োজন। তাহলে এটার গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি হবে এবং লেজিটেমেসিটা বাড়বে। সে লক্ষ্যে আমরা আগেও যেভাবে সব দলগুলোকে আহ্বান করেছি, এখনো করে যাচ্ছি। গণমাধ্যমের মাধ্যমে আমাদের সে ইচ্ছেটা জানাচ্ছি। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব, নির্বাচনটা যেন অবাধ, সুষ্ঠু হয়। আমরা আবেদন করব আস্থা রাখুন।’

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘অংশগ্রহণমূলকের বিষয়ে আমরা উদ্যোগ নেব না; এটা পলিটিক্যাল ইস্যু। পলিটিক্যাল পার্টিগুলোর মধ্যে সে লক্ষ্যে কোনো সংকট যদি থেকে থাকে, তারা নিজেরা আলাপ আলোচনা করে নিরসন করবে। আমরা মাঝখানে কোনো ব্রোকারেজ করব না, করতে পারব না।’ তবে অন্য সব আলোচনার জন্য ইসির ‘দরজা খোলা’ বলে জানান সিইসি। তিনি বলেন, ‘আমাদের দরজা খোলা আছে, কোনো পার্টি যদি এসে অংশগ্রহণ করতে চান, আমাদের সহযোগিতা নিতে চান, আমরা সব সময় প্রস্তুত আছি। আমাদের তরফ থেকে যে ধরনের সহযোগিতা দরকার, করে যাব।’

সর্বশেষ খবর