দিনটি ছিল অধিনায়ক তামিম ইকবালের জন্মদিন। ছন্দ খুঁজে ফেরা টাইগার অধিনায়কের জন্মদিনটিকে নিজের করে নেন মুশফিকুর রহিম। সিলেটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ইতিহাস লিখেছেন মুশফিক। ২২ গজের উইকেটে খেলেছেন স্বপ্নের ক্রিকেট। চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছুটিয়ে বাংলাদেশের দ্রুততম ওয়ানডে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন। মাত্র ৬০ বলে ১৬৬.৬৬ স্ট্রাইক রেটে ২ ছক্কা ও ১৪ চারে খেলেছেন অপরাজিত ১০০ রানের ইনিংস। আগের রেকর্ড ছিল সাকিব আল হাসানের। ২০০৯ সালে বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৬৩ বলে সেঞ্চুরির ইনিংস খেলেছিলেন সাকিব। অবশ্য মুশফিক ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬৯ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন। গতকালে দ্রুততম সেঞ্চুরির দিনে কয়েকটি রেকর্ড হয়েছে। নিজেদের দলগত সর্বোচ্চ ৬ উইকেটে ৩৪৯ রান করেছে বাংলাদেশ। আগের রেকর্ড আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেই ৮ উইকেটে ৩৩৮। শুধু তাই নয়, আরও একটি রেকর্ডের মালিক হয়েছেন মুশফিক। তামিম ও সাকিবের পর তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ৭ হাজারি ক্লাবের সদস্য হয়েছেন মুশফিক। ড্যাসিং ওপেনার লিটন দাস ৭০ রানের ইনিংস খেলার পথে নবম টাইগার ক্রিকেটার হিসেবে ২ হাজারি ক্লাবে নাম লিখেছেন। এজন্য তিনি খেলেছেন মাত্র ৬৫ ইনিংস। যা শাহরিয়ার নাফিসের সঙ্গে টাইগারদের দ্রুততম ২ হাজার রান। মুশফিকের রেকর্ডময় ম্যাচটি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়েছে। টানা বৃষ্টির জন্য আয়ারল্যান্ড ব্যাটিংয়ে নামতে পারেনি। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ২৩ মার্চ।
গতকাল মুশফিক ব্যাটিং করতে নামেন ৩৩.২ ওভারে। ১৬.৪ ওভার ও ১০০ বল পেয়ে তিনি গড়েছেন নতুন রেকর্ড। শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে নতুন উচ্চতায় নিজেকে চিরস্থায়ী করেছেন মুশফিক। বাংলাদেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিক তার ২৪৪ ম্যাচ ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি করেন ইনিংসের ৫০তম ওভারের শেষ বলে। শেষ ওভারে মুশফিকের স্কোর ছিল ৯১। শেষ ৪ বলে তিনি সেঞ্চুরি পূরণ করেন ৪, ২, ২ ও ১ রান করে। সেঞ্চুরির ইনিংসের ৫৫ রানের মাথায় ৭ হাজার ক্লাবের সদস্য হন। ২৪৪ ম্যাচের ২২৯ ইনিংস ৩৬.৮৮ গড়ে মুশফিকের রান ৭০৪৫। সবচেয়ে বেশি রান টাইগার ওয়ানডে অধিনায়ক তামিমের ২৩৬ ম্যাচের ২৩৪ ইনিংসে ৩৬.৬৩ গড়ে ৮১৬৯। সাকিবের রান ২২৯ ম্যাচের ২১৭ ইনিংসে ৭০৮৬। ওয়ানডে ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রান শচীন টেন্ডুলকারের, ৪৬৩ ম্যাচের ৪৫২ ইনিংসে ১৮৪২৬। কেনিয়ায় ১৯৯৬ সালে নাইরোবিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৭ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন শহীদ আফ্রিদি। ২৭ বছর আগের ওই রেকর্ড চোখ ছানাবড়া করেছিল ক্রিকেটপ্রেমীদের। ১৮ বছর পর ২০১৪ সালে কুইন্সটাউনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের কোরি অ্যান্ডারসন রেকর্ড ভেঙে দেন আফ্রিদির। ৩৬ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন অ্যান্ডারসন। ২০১৫ সালে সবাইকে পেছনে ফেলে মাত্র ৩১ বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেঞ্চুরি তুলে রেকর্ড বইকে নিজের করে নেন এবি ডি ভিলিয়ার্স।