নিখোঁজের দুই দিন পর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের গাড়িচালক সম্রাট খানের (২৬) বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সকালে কুষ্টিয়া-পাবনার সীমান্তবর্তী পদ্মা নদীর শিলাইদহ ঘাটের কাছে একটি দামি জিপগাড়ির ভিতর থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়। জানা গেছে, সম্রাট রূপপুর প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিকিমথ-এর গাড়িচালক ও ঈশ্বরদীর মধ্য-অরণকোলার আলহাজ ক্যাম্প মহল্লার আবু বক্কার সিদ্দিকের ছেলে। এ ঘটনায় ঈশ্বরদী থানা পুলিশ সীমা খাতুন (২২) নামে এক মহিলাকে আটক করেছে। পুলিশ ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে রূপপুর-১ প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিকিমথ-এর পরিচালকের গাড়ি চালাতেন সম্রাট। বৃহস্পতিবার দুপুরে গাড়ি নিয়ে অফিসে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে তিনি আর ফিরে আসেননি। সম্রাটের পরিবার বিষয়টি থানায় মৌখিকভাবে জানালে পুলিশও তার খোঁজ শুরু করে। এরপর মোবাইলের কললিস্ট ধরে নিকিমথ-এর আরেক গাড়িচালক আবদুল মমিনের স্ত্রী সীমাকে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ আটক করে। সীমার কথার সূত্র ধরেই গতকাল বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানান, এ ঘটনায় মমিনের স্ত্রী সীমা খাতুনকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসি। তার কাছ থেকে কিছু চমকপ্রদ ক্লু পাওয়ার পর আমরা সম্রাটের লাশের সন্ধান পাই। ঘটনার পর থেকেই মমিন পলাতক রয়েছেন। মমিনকে খুঁজে পেলে রহস্য উদঘাটন সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।