বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিএনপির জন্য একটা সময় পর্যন্ত অপেক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির জন্য একটা সময় পর্যন্ত অপেক্ষা

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, কোনো বড় রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ না নিলে ওই নির্বাচনকে পুরোপুরি অংশগ্রহণমূলক বলা যাবে না। গতকাল দুপুরে নির্বাচন ভবনে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এক প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা, না করা রাজনৈতিক দলের নিজস্ব বিষয়। এখানে ইসির কিছু করার থাকে না। ইসি জোর করে কাউকে নির্বাচনে আনতে পারে না। পরপর দুবার কোনো দল নির্বাচনে অংশ না নিলে ইসি তাদের নিবন্ধন বাতিল করতে পারে। তিনি জানান, কমিশনের কাজ নিবন্ধিত দল সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করা। ইসি চায় সবাই নির্বাচন অংশগ্রহণ করুক, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক। এ জন্য সংবিধান, আইন যা আছে তাতে যা করা প্রয়োজন নির্বাচন তার সব করবে। মো. আলমগীর বলেন, আমরা আশাবাদী। নির্বাচনের অনেক সময় আছে। এর মধ্যে অনেক পরিবর্তন আসতে পারে সিদ্ধান্তে। বিএনপির মতো বড় রাজনৈতিক দল নির্বাচনে না এলে সেই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না বলে নির্বাচন কমিশন মনে করে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, নির্বাচন কমিশনে (ইসি) এখন ৪০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল আছে। সব দল নির্বাচনে অংশ নিলে সেটা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন।

মো. আলমগীর বলেন, বাস্তবতা হচ্ছে এখন পর্যন্ত কোনো নির্বাচনেই সব দল অংশ নেয়নি। ১৯৭০ সালের নির্বাচনেও সব দল অংশ নেয়নি। এই নির্বাচনগুলো অংশগ্রহণমূলক ছিল না, এমনটা বলা যাবে না। দুই একটা দল অংশ না নিলে সেটা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নয়, এটা বলা যাবে না। তবে বড় দল অংশ না নিলে সে নির্বাচনকে পুরোপুরি অংশগ্রহণমূলক বলা যাবে না।

বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছে তারা ইসির আমন্ত্রণে সাড়া দেবে না, ইসির চিঠির জবাবও দেবে না। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মো. আলমগীর বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ইতোমধ্যে বলেছেন তারা বিএনপির কাছ থেকে লিখিত উত্তর আশা করছেন। বিএনপি জবাব দিতে পারে, নাও দিতে পারে। একটা সময় পর্যন্ত তারা অপেক্ষা করবেন। ইসির পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, কমিশন বসে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে। বিএনপি আলোচনায় না এলেও সমমনা অন্য দলগুলোকে ফের আমন্ত্রণ জানাবে কিনা জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ‘আমরা এ নিয়ে কাল (আজ) আলোচনা করব। সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য যখন যাকে প্রয়োজন মনে করব আমরা আলোচনায় বসার জন্য আহ্বান জানাতে পারি।’

সর্বশেষ খবর