বিশ্ববাজারে জ্বালানির দামের নিম্নমুখী প্রবণতা যদি আরও কয়েক মাস থাকে তাহলে দেশের বাজারে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম কমিয়ে সমন্বয় করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী গতকাল ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশের (এফইআরবি) এক প্রকাশনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ না হলে বিদ্যুতের দাম কমানো সম্ভব নয়। তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, বিদ্যুতের দাম নির্ভর করে জ্বালানির ওপর। আমরা দেশে খুব অল্প পরিমাণ জ্বালানি উৎপাদন করি। বাংলাদেশ জ্বালানির জন্য আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর নির্ভরশীল। এই দাম স্থিতিশীল না হলে ভবিষ্যতে কী হবে তা বলা কঠিন। আমি মনে করি যুদ্ধ বন্ধ না হলে দাম কমানো সম্ভব নয়। দাম একেবারে বেশি বাড়লে মানুষের সমস্যা হতে পারে। তাই অল্প অল্প করে বাড়ানো হয়েছে। কিছুদিন আগে ডলারের বাজার কিছুটা ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছিল। বাংলাদেশ এখন ডলার সংকট কাটিয়ে উঠছে। তাই জ্বালানি আমদানিতে এখন আর তেমন সমস্যা হচ্ছে না। গভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কনকো ফিলিপস চলে গেল দামের প্রশ্ন তুলে। আমরা পসকো দাইয়ুকে ডেকে এনেছি। এখন এক্স মবিল আগ্রহ দেখাচ্ছে। ধারণা করছি ওরা কৌশলগত কারণে আসতে চায়। এ বছরের মধ্যে কিছু একটা হতে পারে। তবে আপাতত কয়লা উত্তোলনের কোনো পরিকল্পনা নেই। উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা তুলতে হবে।
কয়লার ওপরে পানির স্তর রয়েছে। এই পানির স্তর বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিশেছে। এর সঙ্গে কয়লা উত্তোলনের জন্য প্রচুর জমি দরকার হয়। খনি এলাকার মাটি উর্বর, সরকার এই বিষয়গুলো বিবেচনা করছে।
এফইআরবির চেয়ারম্যান শামীম জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান ও ঢাকা ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো)’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাওসার আমির আলী প্রমুখ।