শনিবার, ১ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

আজ মাঠে নামবে বিএনপি

জেলা-মহানগরে নেতৃত্ব দেবেন দলের ৮৩ কেন্দ্রীয় নেতা, যানজটের শঙ্কা

শফিকুল ইসলাম সোহাগ

আজ মাঠে নামবে বিএনপি

বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও সরকারের সীমাহীন দুর্নীতির প্রতিবাদে এবং ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে আজ দলের ৭৯ সাংগঠনিক জেলা ও মহানগরে মাঠে নামবে বিএনপি। দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে দলটি। এতে নেতৃত্ব দেবেন বিএনপির ৮৩ জন কেন্দ্রীয় নেতা। যুগপৎ আন্দোলনের এই কর্মসূচিতে মাঠে থাকবে সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোও।

এ প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজ আমাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি দেওয়ার কথা নয়। তারপরও দেশের যে অবস্থা তৈরি হয়েছে তাতে আমরা রমজান মাসেও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চলমান রাখতে কর্মসূচি দিয়েছি। দলীয় সূত্রে জানা যায়, সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে রোজার মাসেও একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে মাঠে রয়েছে বিএনপি। এর মধ্যে আগামী ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত সারা দেশে ৩৭টি মতবিনিময় সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। এসব সভায় নানা খাতে সরকারের দুর্নীতি ও বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরবেন নেতারা। সেই সঙ্গে ৮২ সাংগঠনিক জেলা, ৬ শতাধিক থানা-উপজেলায় অবস্থান, মানববন্ধন ও গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। তৃণমূলের এসব কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেবেন কেন্দ্রীয় নেতারা। ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় নেতাদের সমন্বয়ে টিম গঠন ও দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে। এসব কর্মসূচির পাশাপাশি ঢাকা মহানগরেও ৫০টি সাংগঠনিক থানায় পৃথকভাবে সমন্বিত ইফতারের আয়োজন করা হচ্ছে। মূলত রমজানজুড়ে এসব কর্মসূচি দেওয়ার মূল কারণ নেতা-কর্মীদের মনোবল চাঙা রাখা। নানা খাতে সরকারের দুর্নীতি ও অনিয়মসহ ১০ দফা সংবলিত একটি ‘বুকলেট’ তৈরি হচ্ছে, যা সারা দেশে গণসংযোগকালে সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছে দিতে চায় বিএনপির হাইকমান্ড। ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতারা যাতে কর্মসূচি পালন শেষে একসঙ্গে ইফতার করতে পারেন, সে ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে। অর্থাৎ কর্মসূচি পালন ও ইফতার একসঙ্গেই আয়োজন করবে দলটির তৃণমূল। সূত্র জানিয়েছে, এরপর ৮ এপ্রিল সব মহানগরের থানা ও জেলা-উপজেলা পর্যায়ে বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি রয়েছে। এ ছাড়া ৯ থেকে ১৩ এপ্রিল সারা দেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১০ দফার প্রচারপত্র, রাষ্ট্র মেরামতের প্রচারপত্র এবং আওয়ামী লীগ সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রচারপত্র বিলি/মানববন্ধন/অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। ইউনিয়ন পর্যায়ের কর্মসূচি বিভাগ অনুযায়ী হবে। এর মধ্যে ৯ এপ্রিল রংপুর বিভাগে, ১০ এপ্রিল রাজশাহী ও সিলেট বিভাগে, ১১ এপ্রিল খুলনা ও কুমিল্লা বিভাগে, ১২ এপ্রিল ঢাকা ও বরিশাল বিভাগে এবং ১৩ এপ্রিল ময়মনসিংহ ও ফরিদপুর বিভাগে কর্মসূচি পালিত হবে। তা ছাড়া ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সারা দেশের সব মহানগর-জেলা-উপজেলা-থানা-ইউনিয়ন-ওয়ার্ড পর্যায়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় সভা, দুস্থ-অসহায় ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহায়তা প্রদানসহ বিভিন্ন গণসংযোগ কর্মসূচিতে বিএনপির নেতা-কর্মীরা অংশ নেবেন। যা গত মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে। সব কর্মসূচি সফলের লক্ষ্যে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় কেন্দ্রীয় নেতাদের সমন্বয়ে টিম গঠন করা হয়েছে। যুবদল সভাপতি সুলতাল সালাউদ্দিন টুকু বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশে ভয় ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। এই সরকারের হাতে কোনো মানুষ নিরাপদ নয়। জনগণ এ সরকারের বিরুদ্ধে জেগেছে। তারা অবিলম্বে এ সরকারের বিদায় চায়। আর বিএনপি সেই লক্ষ্যেই আন্দোলন সংগ্রাম করছে।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর