সোমবার, ৩ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

ইভিএমের চিন্তা ৩৫ আসনে

২৫ মে গাজীপুর, ১০ জুন বরিশাল-খুলনা ও ২১ জুন সিলেট-রাজশাহী সিটিতে হতে পারে ভোট

নিজস্ব প্রতিবেদক

সংসদ নির্বাচনে ৩০-৩৫ আসনে ইভিএমে ভোট করার প্রাথমিক চিন্তা করছে নির্বাচন কমিশন। তবে সংসদে ইভিএম ব্যবহার ও পাঁচ সিটি করপোরেশনের ভোট নিয়ে আজ বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন। বৈঠকে সব চূড়ান্ত হতে পারে।

আজ সোমবার সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে এ সভা হবে। আগামী মে মাসের শেষার্ধে থেকে জুনের মধ্যে গাজীপুর, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট ও খুলনা সিটি করপোরেশন করার বিষয়ে ১৫ মার্চ কমিশন সভায় নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। আজকের বৈঠকে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল চূড়ান্ত করা হতে পারে।

কমিশনের আগের বৈঠকেও এই পাঁচ সিটির নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে ভোটের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে ২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এ ছাড়া ১০ জুন বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশনে এবং ২১ জুন সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনে ভোটের তারিখ চূড়ান্ত করা হয়। তবে খুলনা ও বরিশালের তারিখ পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছে ইসি সচিবালয়। ইসির কর্মকর্তারা মনে করছেন, খুলনা-বরিশালে  ১১-১২ জুন ভোট করলে ভালো হবে। তবে আজকের কমিশনের বৈঠকে ভোটের তারিখ চূড়ান্ত করা হবে। সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে আজ গাজীপুর সিটি ভোটের তফসিল দেওয়া হতে পারে। পরে ১৩ এপ্রিল অন্যান্য সিটির তফসিল হবে। এবারে তিন ধাপে ভোট করার কথা রয়েছে। এর মধ্যে গাজীপুরের ভোট আগে ও বাকি চার সিটি দুই ধাপে করার পরিকল্পনা রয়েছে। দুই সপ্তাহ পর সিটি নির্বাচনের বিষয়ে আবার বসছে কমিশন। এ সভায় সম্ভাব্য ভোটের তারিখ আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে ইসি। মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে একটি, জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে দুটি ও জুনের তৃতীয় সপ্তাহে দুটি সিটির ভোট হতে পারে। জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘সোমবারের কমিশন সভায় সিটি করপোরেশনের ভোটের তফসিল বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে। সেক্ষেত্রে ইসি সচিবালয়ের প্রস্তাবনা পর্যালোচনা করে ভোটের তারিখ নির্ধারণ হলে আমরা পরবর্তী নির্দেশনা বাস্তবায়নে এগোব। গাজীপুর সিটির ভোটের তারিখ ও অন্যান্য সিটির তারিখও নির্ধারণ হতে পারে। সিটি নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের কথা রয়েছে। সঙ্গে সিসি ক্যামেরা থাকতে পারে। এ কমিশন সভায় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়েও সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানান এ কর্মকর্তা। স্থানীয় সরকার সিটি করপোরেশন নির্বাচন আইন অনুযায়ী, প্রথম সভা থেকে পাঁচ বছরের মেয়াদ সিটি করপোরেশনের। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ১৮০ দিনের মধ্যে ভোট করতে হয়। ইসি সূত্র জানায়, আগে কেনা এই দেড় লাখ ইভিএমের মধ্যে এখন সচল আছে ৬০ হাজার। এগুলো দিয়ে ৩০-৩৫টি আসনে ভোট করা সম্ভব। তবে ইভিএম সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) ইসিকে জানিয়েছে দেড় লাখ ইভিএমের মধ্যে ৪০ হাজার মেরামত অযোগ্য। বাকি ১ লাখ ১০ হাজার ইভিএমের সবগুলোরই মেরামত প্রয়োজন। এ জন্য লাগবে ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা। এই টাকা চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছিল ইসি। তবে এখনো কোনো সাড়া মেলেনি। সবগুলো ইভিএম মেরামত করা হলে ৬৫ থেকে ৮২টি আসনে ভোট করা সম্ভব হবে। ইভিএমগুলোর মেরামতের জন্য ছয় মাসের মতো সময় লাগবে।

সর্বশেষ খবর