শিরোনাম
বুধবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

মালামাল লুটের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর বঙ্গবাজারের ভয়াবহ আগুন নেভানোর পরিবর্তে কিছু মানুষ মালামাল লুট করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, আগুনে দোকানগুলো ভস্মীভূত হওয়ার সময় একশ্রেণির মানুষ লুটপাট চালিয়েছে। একদিকে দোকান পুড়ে নিঃস¦ হয়েছেন। সেই সঙ্গে এসব লুটপাটে তারা হতবাক হয়েছেন। বঙ্গবাজার সংলগ্ন মহানগর শপিং কমপ্লেক্সে মায়ের দোকানের কর্মচারী সাইফুল ইসলাম বলেন, দোকানের ভিতর থেকে গাইট (কাপড় বোঝাই বড় বস্তা) বের করে বাইরে এনে রেখেছি। ফের আনতে গিয়ে বাইরে এসে দেখি গাইট নেই। কেউ লুট করে নিয়ে গেছে। একই মার্কেটের ব্যবসায়ী আজমল বলেন, যে যার মতো দোকানের গাইট বের করে নিয়ে গেছে। দোকানদারদের সঙ্গে বাইরের মানুষও ঢুকেছে। কে কারটা নিয়েছে তা বোঝার উপায় নেই। আরেক ব্যবসায়ী নুর আলম মহিন বলেন, দোকান থেকে কোনোরকমে দুই বস্তা মাল বের করে পাশের রাস্তায় নিয়ে আসি। এরই মধ্যে দোকানের ভিতর থেকে কিছু মালামাল দুর্বৃত্তরা লুট করে নিয়ে গেছে। আর দোকানের বাকি মালামাল সর্বনাশা আগুনে পুড়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী আমানত বলেন, এমন বিপদের মাঝেও মানুষ এসব করতে পারে, আমার ধারণা ছিল না। আগুনে ঈদের জন্য কেনা ব্যবসায়ীদের অনেক মালামাল পুড়ে ছাই হয়েছে। কোনো কোনো ব্যবসায়ী নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দোকানের ভিতর থেকে কিছু মালামাল নিয়ে আসতে পারলেও অধিকাংশই আগুনে পুড়ে গেছে। তবে সেই উদ্ধার করা মালামাল লুট হওয়ায় তারা রীতিমতো বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। সরেজমিন দেখা গেছে, আগুনের তীব্রতা কিছুটা কমে আসা শুরু করলে যেসব কাপড় আগুনে পুড়েনি, সেগুলো দোকান ও গোডাউন থেকে বাইরে নিয়ে এসে জড়ো করেন ব্যবসায়ীরা। তবে এসবের মধ্যেই একদল মানুষ যোগ দিয়েছেন কাপড় লুটপাটে। অনেকেই ছোট ছোট বস্তায় ভরে কাপড় নিয়ে গেছেন। আশপাশে পড়ে থাকা কাপড়ের গাইট থেকে কাপড় চুরি করেছেন। কেউবা কাপড়ের গাইট নিয়েই চলে গেছেন। কে কার গাইট নিয়ে গেছেন তা বোঝা কঠিন ছিল ব্যবসায়ীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। তবে বঙ্গবাজারের আশপাশে ব্যবসায়ীদের জড়ো করা কাপড়ের গাইট ঘিরে দোকানের কর্মচারীদের বসে থাকতে দেখা গেছে। পরে সেগুলো নিরাপদ স্থানে নেওয়া হয়। ডিএমপির একজন এডিসি বলেন, বঙ্গবাজারে আগুন লাগার পর বিপুল মানুষ ভিড় করে। ব্যবসায়ী, দোকানদার ছাড়াও বাইরের অনেক মানুষ এসেছে। ক্ষতিগ্রস্ত মার্কেট থেকে দোকানদাররা যাতে দ্রুত মালামাল বের করতে পারে সে জন্য আমরাসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী লাইন করে দিয়েছি। এখানে কার দোকানের কাপড় কে নিয়ে বের হয়েছে, তা নিশ্চিত করা আমাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না। এদিকে, ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া) মো. ফারুক হোসেন জানান, মার্কেটের কোনো মালামাল যাতে খোয়া না যায় সে ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতা করেছে পুলিশ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর