শিরোনাম
শুক্রবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

আমাদের ডিজিটাল আইন সহজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

আমাদের ডিজিটাল আইন সহজ

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সাধারণ মানুষকে ডিজিটাল নিরাপত্তা দিতে আইনটি করা হয়েছে। কাজেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের প্রশ্নই আসে না। সাংবাদিকরা যাতে এ আইনে হয়রানির শিকার না হন, সেজন্য আইন মন্ত্রণালয় কাজ করছে। তবে আমেরিকার আইনের চেয়ে আমাদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সহজ। গতকাল দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। ক্র‌্যাব সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল, সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদসহ কার্যনির্বাহী পরিষদ সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকদের হয়রানি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, মানুষকে ডিজিটাল নিরাপত্তা দিতে আইনটি করা হয়েছে। আমেরিকার আইনের চেয়ে আমাদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সহজ। ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য আমেরিকায় যে আইন আছে, তা ২০১৫ সালে করা হয়। পরে ২০২২ সালে সেটি আবার সংশোধন করা হয়েছে। সেখানে সর্বোচ্চ শাস্তি রাখা হয়েছে ২০ বছরের কারাদণ্ড। আমাদের আইনে এত কারাদণ্ড নেই। তিনি বলেন, ডিজিটাল অপরাধের জন্য যদি কারও মৃত্যু হয়, তবে আমেরিকার আইনে তাতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড রাখা হয়েছে। যে কারণে আমাদের আইন তাদের চেয়ে অনেক সহজ। তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাইবার অপরাধের জন্য অস্ট্রেলিয়ার আইনও আমাদের চেয়ে কঠিন। ২০২২ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নতুন করে আরেকটি আইন করেছে। সব দেশেই এ আইন আছে। সুতরাং এ আইন বাতিল করার প্রশ্নই আসে না। সব মানুষকে ডিজিটাল নিরাপত্তা দিতে এ আইন। তবে এ আইনের মাধ্যমে সাংবাদিকরা যাতে হয়রানির শিকার না হন, সেদিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। আমরা এ ব্যাপারে সতর্ক আছি। আগের তুলনায় এ আইনে সাংবাদিকরা এখন কম হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে এর আগেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আরও কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা আইন মন্ত্রণালয় দেখছে। কেবল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনই নয়, সব আইনেরই অপব্যবহার হয়। উদহারণ দিতে গিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আইনজীবীরাই বলেন নারী নির্যাতনের আশি ভাগ মামলা ভুয়া। এভাবে অনেক আইনের অপব্যবহার হচ্ছে।’ অপরাধ নিয়ে রিপোর্ট করলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করার হুমকি দেওয়া হয়। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যারা অপরাধী তারা তো হুমকি দেবেই। কেবল সাংবাদিকদেরই না, অনেককেই হুমকি দেয় অপরাধীরা। যা সমীচীন নয়। কিন্তু সাংবাদিকরা সাহস নিয়ে কাজ করলে সমাজ উপকৃত হবে। বিএনপি জোটের সব শরিককে নিয়ে একটি ঘোষণাপত্র দিতে চায়, কিন্তু পুরান ও নতুন মিত্রদের মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, মাঝে মাঝে বিএনপি জোট বড় হয়, ছোট হয়, আকার বড় হয়, আবার আকারে ছোট হয়। অ্যামিবার মতো, আকার বড় হয়, আবার মাঝেমধ্যে ভাগ হয়ে যায়। বিএনপি জোটও হচ্ছে সে রকম। অ্যামিবা যেমন নিজেকে ভাগ করে দুটি হয়ে যায়, আবার চারটি হয়। দেখা গেল, ওদের ২২-দলীয় জোট ছিল, তা ভাগ হয়ে ১২-দলীয় হয়ে গেল। আবার কদিন পর শুনি ৫৪-দলীয় জোট। এজন্যই তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব। আবার তাদের মধ্যে ডান, বাম, অতি ডান, অতি বাম সবই আছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর