সোমবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

ভারতে সাংবাদিক সেজে সাবেক এমপিকে গুলি করে হত্যা

প্রতিদিন ডেস্ক

ভারতের উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে দেশটির সাবেক এক এমপিকে পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তার সঙ্গে থাকা ভাইকেও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

যারা গুলি করেছেন তারা সাংবাদিক সেজে সাবেক এমপির সাক্ষাৎকার নিতে হাজির হয়েছিলেন। বিবিসি। খবরে বলা হয়েছে, নিহত এই সাবেক এমপির নাম আতিক আহমেদ। তিনি হত্যা ও হামলার মামলায় গ্রেফতার হয়ে পুলিশ হেফাজতে ছিলেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে ভাইসহ তাকে চেকআপের জন্য হাসপতালে নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ। এ সময় হঠাৎ সাংবাদিকরা সাক্ষাৎকার নিতে আসেন। ক্যামেরার সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় হামলাকারীরা খুব কাছ থেকে আতিক আহমেদের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে গুলিবর্ষণ করে। পরে পাশে থাকা তার ভাইকেও একইভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়। চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ডের ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, হামলা চালানোর সময় সাংবাদিকের ছদ্মবেশে ছিলেন তিন হামলাকারী। গুলি চালিয়ে দুজনকে হত্যার পরে অভিযুক্ত তিনজন দ্রুত আত্মসমর্পণ করেন এবং তাদের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। হামলায় নিহত আহমেদ আতিকের কিশোর ছেলেও কয়েক দিন আগে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়।

পুলিশের কাছ থেকে নিজের জীবনের হুমকি ছিল বলে এর আগে দাবি করেছিলেন আতিক আহমেদ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে, আতিক আহমেদ এবং তার ভাই আশরাফকে গুলি করার কয়েক সেকেন্ড আগে প্রয়াগরাজের কাছাকাছি একটি হাসপাতালে মেডিকেল চেকআপের জন্য যাচ্ছিলেন এবং সেই পথে তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, মেডিকেল টেস্ট করানোর জন্য প্রয়াগরাজের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল আতিক আহমেদ ও তার ভাই আশরাফকে। প্রিজনভ্যান থেকে নামতেই হাসপাতালের সামনে ঘিরে ধরেন সাংবাদিকরা। এ সময়ে এক ব্যক্তি হাত উঁচিয়ে এসে আতিকের মাথায় বন্দুক ঠেকান এবং ট্রিগারে চাপ দেন। আতিক মাটিতে লুটিয়ে পড়ার সময় আরও কয়েকটি এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করা হয়। একইসঙ্গে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় তার ভাই আশরাফকেও। পুলিশের সামনেই পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে দুই অপরাধীকে খুনের ঘটনায় গোটা উত্তরপ্রদেশে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে ঘটনার পর উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। অশান্তি রুখতে উত্তরপ্রদেশের সব জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশ হিন্দু-জাতীয়তাবাদী বিজেপি শাসন করছে এবং বিরোধী দলগুলো এই হত্যাকান্ডকে নিরাপত্তার ত্রুটি বলে সমালোচনা করেছে।

সর্বশেষ খবর