শুক্রবার, ১২ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

মোখা আঘাত হানবে রবিবার নানা প্রস্তুতি

নিজস্ব প্রতিবেদক ও জেলা প্রতিনিধি

বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়া মোখা দেশের বিভিন্ন সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৩০ থেকে ১২০৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। রবিবার দুপুর নাগাদ এটি আঘাত হানতে পারে। মোখার সতর্কতা হিসেবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ ও আদান-প্রদানের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ও কাল শনিবার মন্ত্রণালয় যথারীতি খোলা থাকবে। মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যথা সময়ে অফিসে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতরের ৭ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে গত রাতে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত মোখা আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত করছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১২০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি ঘনীভূত হয়ে আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে এবং পরবর্তীতে দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর-উত্তর-পূর্বদিকে অগ্রসর হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে সকালে ঘূর্ণিঝড় মোখায় পরিণত হয়েছে। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে এবং পরে দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর-উত্তর-পূর্বদিকে অগ্রসর হতে পারে।

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার এক বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল বলা হয়, বর্তমানে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা চলমান রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোখা আগামী ১-২ দিনের মধ্যে উপকূল অঞ্চলসহ সারা দেশে প্রবাহিত হতে পারে।

পরীক্ষা চলমান থাকায় পরীক্ষা সংক্রান্ত মালামাল সতর্কতার সঙ্গে সংরক্ষণ করতে বলা হয় এ বিজ্ঞপ্তিতে। শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. তপন কুমার সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, মোখার গতিপ্রকৃতি ও সার্বিক অবস্থা বুঝে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

চট্টগ্রাম থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখার সম্ভাব্য দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। এরই মধ্যে ১৫ উপজেলায় ত্রাণকার্য হিসেবে চাল ও নগদ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বিদ্যমান আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা ছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের লক্ষ্যে প্রস্তুত রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের ইতোমধ্যে ৫ লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নগরে ৫১৮টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও পর্যাপ্ত শুকনা খাবার মজুদ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নগরীর দামপাড়ায় কন্ট্রোল রুম চালু করেছে। ঘূর্ণিঝড়ের সময় জানমালের ক্ষতি কমাতে ৯০টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছে চসিক। মোখা মোকাবিলায় চট্টগ্রামের উপকূলীয় উপজেলা সন্দ্বীপ, সীতাকুণ্ড, মিরসরাই, কর্ণফুলী, বাঁশখালী ও আনোয়ারা উপজেলায় সহায়তা করবেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের তত্ত্বাবধানে যুব রেড ক্রিসেন্ট চট্টগ্রামের স্বেচ্ছাসেবকরা।

কক্সবাজার প্রতিনিধি গতকাল রাতে জানান, ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা হিসেবে কক্সবাজারসহ দেশের সব সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সমুদ্রসৈকতে লাল পতাকা টানানো হয়েছে। গত রাতে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কক্সবাজারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। মোখার প্রভাবে সাগর কিছুটা উত্তাল হলেও স্বচ্ছ আকাশ আর তীব্র দাবদাহ বিরাজ করছে। সি সেফ লাইফ গার্ড সংস্থার সিনিয়র লাইফ গার্ড কর্মী মোহাম্মদ শুক্কুর বলেন, তীব্র দাবদাহের পাশাপাশি সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। পর্যটকদের হাঁটুপানির নিচে নামতে দেওয়া হচ্ছে না। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান জানিয়েছেন, সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

সব উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। জেলার উপকূলীয় এলাকার সাইক্লোন শেল্টার ও বিদ্যালয়সহ ৫৭৬ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ১০ লাখ ৩০ হাজার নগদ টাকা, ৪৯০ মেট্টিক টন চাল, ৭ মেট্টিক টন শুকনো খাবার ও ১৯৪ বান্ডিল ঢেউ টিন মজুদ রাখা হয়েছে। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাশন কমিশন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার সামমছুদ্দৌজা নয়ন জানিয়েছেন, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে ৩৩টি শরনার্থী ক্যাম্প রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোখার সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে শরণার্থী ক্যাম্পগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মোখার প্রভাবে আগামী এক সপ্তাহ সাগর উত্তাল থাকবে। গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছ। সেইসঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

ভোলা প্রতিনিধি জানান, ঘুর্ণিঝড় মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন স্তরের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। এরইমধ্যে জেলার ৭৪৬টি সাইক্লোন সেল্টার প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলায় মোট ১৩ হাজার ৬০০ সিপিপি ভলেন্টিয়ার প্রস্তুত রয়েছেন। ভলেন্টিয়ারদের মহড়ার ব্যবস্থা করা রয়েছে। নদী এবং সাগরের জেলেদেরকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনার কাজ চলছে। এরইমধ্যে ৯০ শতাংশ জেলে কূলে ফিরে এসেছেন। মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীর বাঁধের যেখানে যেখানে দুর্বলতা ছিল তা সংস্কার করা হয়েছে। বিশেষ করে মনপুরায় বাঁধের কয়েকটি পয়েন্টে কিছু দুর্বলতা ছিল, সেসব পয়েন্টে মেরামতের কাজ শেষ হয়েছে। দুর্যোগ চলাকালে এবং পরবর্তীতে দুর্গত মানুষকে তাৎক্ষণিক সেবা দেওয়ার জন্য মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে গবাদিপশু চিকিৎসকদের নিয়ে ২১ টি টিম। জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, জেলায় নগদ আট লক্ষ টাকা এবং সাড়ে তিন শত মেট্রিকটন জিআর চাল মজুদ আছে। এই নগদ টাকা এবং জিআর চাল সাত উপজেলায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যাতে জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারে।

নোয়াখালী প্রতিনিধি জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ৩ লাখ লোক ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ৪০১ টি আশ্রয়ণ কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ৩ লাখ লোক ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ৪০১ টি আশ্রয়ণ কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ১০১টি মেডিকেল টিম, ৩শত ৮২ মেট্রিক টন চাল, নগদ ৯ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা, ২৪৩ বান্ডিল ঢেউটিন, পর্যাপ্ত শুকনো খবার, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও পর্যাপ্ত সংখ্যক যানবাহন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সেই সঙ্গে উপকূলে আট হাজার ৩৮০ জন স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

খুলনা থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় খুলনায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৪০৯টি সাইক্লোন শেল্টার। জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন জানান, এসব সাইক্লোন শেল্টারে দুই লাখ ৭৩ হাজার ৮৫০ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। ৪নং সতর্ক সংকেত দেয়ার পরপরই যাতে মানুষ ও গবাদিপশুকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া যায় সেজন্য ৬ হাজার ২৬০জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আবদুল করিম জানান, উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। বিপদ সংকেত জারি হলে তারা এলাকায় মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করবেন। কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার জন্য বলা হয়েছে।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আমিরুল আজাদ জানান, বর্তমানে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের যে গতিপথ রয়েছে, তা পরিবর্তন না হলে আপাতত ঘূর্ণিঝড় খুলনা উপকূলে আঘাত হানার আশংকা নেই। তবে ঝড়ের প্রভাবে হালকা বাতাস ও ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ১৩ মে থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

পিরোজপুর প্রতিনিধি জানান, মোখা ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলার ৭টি উপজেলায় ২১৩ টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছড়াও ১৯৪ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রস্তত রাখার কাজ চলছে। এসব সাইক্লোন শেল্টারে প্রায় ২ লাখ লোক আশ্রয় নিতে পারবে। ৭ টি উপজেলায় একটি করে ৭টি এবং জেলা সদরে একটি মোট ৮টি কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। ৭টি উপজেলাতে ৬৩টি মেডিকেল টিম প্রস্তত রাখা হয়েছে। এছাড়াও দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে জরুরী ভিত্তিতে সেবা দেয়ার জন্য সিপিবির ১৭০০ সদস্য ও স্কাউট এর ৩৫০ জন সদস্য প্রস্তত রয়েছে।

বাগেরহাট প্রতিনিধি জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় প্রস্তুত রাখা রাখা হয়েছে ৪৪৬টি আশ্রয় কেন্দ্র। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে ঘূর্ণিঝড়ের সময় জেলার ৯টি উপজেলায় ২ লাখ ৩৫ হাজার ৯৭৫ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। মোংলা বন্দরে অবস্থানরত ৯টি বানিজ্যিক জাহাজকে নিরাপদ আশ্রয়ে নোঙ্গরের পাশাপাশি বন্দরের পশুর চ্যানেল থেকে সব লাইটার জাহাজকে সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। সুন্দরবন বিভাগসহ সকল সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারিদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এরইমধ্যে সুন্দরবন থেকে দেশি-বিদেশী সব পর্যটকসহ বনজীবীদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে কোস্টগার্ড ও বন বিভাগ কাজ শুরু করেছে। ঘূর্ণিঝড় মোখা’র প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় বাগেরহাটের কয়েক শত ফিশিং ট্রলার সুন্দরবনসহ বাগেরহাটের প্রধান মৎস্য বন্দর কেবি ফিশারি ঘাট, রায়েন্দা, মোংলা, রামপালে আশ্রয় নিয়েছে। জেলা সদরসহ প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মেডিক্যাল টিম। নৌবাহিনী, কেস্টগার্ড, রেড ক্রিসেন্ট, ফায়ার সার্ভিসসহ তিন হাজার স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন কার্যালয় সূত্রের বরাত দিয়ে পটুয়াখালী প্রতিনিধি জানান, জেলায় ৭০৩ টি আশ্রয়ন কেন্দ্র আর ২৬ টি মুজিব কেল্লা প্রস্তুত রয়েছে। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। এসব সাইক্লোন শেল্টারে ২ লক্ষেরও বেশি মানুষ ও গবাদি পশু আশ্রয় নিতে পারবে। সিপিপি সদস্য আছে ৪৩৫ টি ইউনিটের ২০ জন? করে ৮ হাজার ৭০০ জন, জেলায় রেডক্রিসেন্ট ভলান্টিয়ার রয়েছে ২ শতাধিক। পটুয়াখালী সদর উপজেলার ১০২টি, দুমকী ২৭টি, মির্জাগঞ্জ ৪৩টি, বাউফল ১৪০টি, দশমিনা ৬৩টি, গলাচিপা ১১৮টি, কলাপাড়া ১৫৬টি, এবং রাঙ্গাবালী উপজেলায় ৫৪ টি ঘুর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। মুজিব কিল্লা আছে দশমিনায় ৪টি, কলাপাড়ায় ১৯টি ও রাঙ্গাবালী ৩টি। গত সন্ধ্যা পর্যন্ত মোখা’র প্রভাবে পটুয়াখালীর উপকূলজুড়ে কিছুটা গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছিল। মোখার খবরে আতঙ্কে রয়েছেন উপকূলবাসী।

সর্বশেষ খবর