বৃহস্পতিবার, ২৫ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

আয় বৈষম্যের চেয়ে সম্পদ বৈষম্য বেড়েছে : দেবপ্রিয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

আয় বৈষম্যের চেয়ে সম্পদ বৈষম্য বেড়েছে : দেবপ্রিয়

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)-এর বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, বাংলাদেশে আয় বেড়েছে দ্বিগুণ। একই সঙ্গে বেড়েছে বৈষম্যও। দেখার বিষয় হলো- আয় বৈষম্যের চেয়ে সম্পদ বৈষম্য বেড়েছে দ্বিগুণ হারে। আয় বৈষম্য ১ দশমিক ৪ শতাংশ হলে সম্পদ বৈষম্য বেড়েছে ৩ শতাংশেরও বেশি। অর্থাৎ সম্পদের বৈষম্য ক্রমান্বয়ে ঘনীভূত হচ্ছে। এ বৈষম্য কয়েকগুণ হারে বাড়ছে। গতকাল রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ‘স্টেট অ্যান্ড স্কোপ অব প্রেপার্টি ট্যাক্সেসন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এসব কথা বলেন তিনি। সিপিডি আয়োজিত এ সেমিনার সঞ্চালনা করেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। আলোচনা করেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই)’র নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর। দেবপ্রিয় বলেন, ট্যাক্স সিস্টেমের ক্ষেত্রে শহর ও গ্রামের মধ্যেও বৈষম্য রয়েছে। দেশের ভিতরে সম্পদ যেভাবে কেন্দ্রীভূত হয়েছে, যেভাবে আয়বৈষম্য বেড়েছে। ন্যায্যতা ও বৈষম্য কমাতে সম্পদের করের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন। উন্নয়ন প্রকল্পে সরকার ট্যাক্স পরিশোধ করে না জানিয়ে দেবপ্রিয় বলেন, সরকার যখন নিজে কোনো প্রকল্প হাতে নেয়, সেটা স্পেশাল ইকোনমিক জোন হোক বা অন্য কিছু তখন দেখা যায়, তারা নিজেরা ট্যাক্স দেন না। সরকার তার নিজের প্রকল্পে ছাড় দিলে ব্যক্তিখাতে যারা থাকেন, তাদের সঙ্গেও প্রতিযোগিতায় অসাম্য সৃষ্টি হয়। সিপিডির বিশেষ ফেলো বলেন, ‘নতুন এলাকা হিসেবে ভূমি কর আধুনিক করতে হবে। হোল্ডিং ট্যাক্সকে যুগোপযোগী করতে হবে। সম্পদ আয় করে একটি প্রজন্ম। এটা ভোগ করে পরবর্তী প্রজন্ম। সেখানে ন্যায্যতা নিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশের উত্তরাধিকার কর প্রচলন করা অত্যন্ত প্রয়োজন। পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, সম্পদ করের ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে আছি। জমি ও বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্টের ক্ষেত্রে যথাযথভাবে কর আরোপ হচ্ছে না। এখানে বৈষম্য রয়েছে। জমির ওপর বিনিয়োগ বাড়ছে। কারণ জমির দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। এর বড় কারণ এ বিনিয়োগে বড় ধরনের কর দিতে হয় না।

সর্বশেষ খবর