ভারতের ওড়িশার বালেশ্বরে গতকাল সন্ধ্যায় যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে মালবাহী গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ৩০০ জনকে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ট্রেনের একাধিক বগি লাইনচ্যুত হয়ে অনেকে চাপা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এনডিটিভি জানায়, উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। সেখানে চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

 সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ ট্রেনটি পৌঁছায় বালেশ্বরে। কাছেই বাহানগা বাজারের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ট্রেনটি।

মৃত্যু নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য : ভারতের ওড়িশায় লাইনচ্যুত হওয়া একটি ট্রেনকে ধাক্কা দিয়েছে অন্য একটি ট্রেন। এতে ট্রেনের অন্তত ৩০০ যাত্রী আহত হয়েছেন। তবে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে দেশটির একেক গণমাধ্যম একেক ধরনের তথ্য দিচ্ছে। বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ৫০ মিনিটে এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের। আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত ৩০ জনের মৃত্যু বলে জানায় রেল কর্তৃপক্ষ। তবে দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা অনেক বাড়তে পারে। অন্যদিকে হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, ভয়াবহ এই ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৫০ জনের। আহত হয়েছেন অন্তত ৩৫০ জন। তবে এবিপি লাইভের খবরে বলা হয়েছে, মালগাড়ি-করমন্ডল এক্সপ্রেস সংঘর্ষে মৃত অন্তত ১০০। ভারতীয় রেলের মুখপাত্র অমিতাভ শর্মার বরাতে এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, কলকাতা থেকে চেন্নাই যাচ্ছিল শালিমার-চেন্নাই করমন্ডল এক্সপ্রেস। ট্রেনটি বালেশ্বরে যশবন্তপুর-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসকে একটি ট্রেনকে ধাক্কা দেয় যেটি বেঙ্গালুরু থেকে কলকাতা যাচ্ছিল। দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে ওড়িশার ফায়ার সার্ভিস। প্রস্তুত রাখা হয়েছে আশপাশের মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালগুলোকে।তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন দেশটির ন্যাশনাল ডিজাস্টার রিলিফ ফোর্স এবং রেলের নিজস্ব উদ্ধারকর্মীরা। ওড়িশা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বহু মানুষের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। এ ঘটনায় শোক ও উদ্বেগ জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।