সোমবার, ৫ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা
ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনা

চার বাংলাদেশির খোঁজ নেই, একজন আশঙ্কাজনক

কলকাতা প্রতিনিধি

ভারতের ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত রাজশাহীর রাসেল-উজ-জামানের (২৭) অবস্থা আশঙ্কাজনক। রাসেল-উজ-জামান এখন ভারতের কটকের এসসিবি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অন্যদিকে সময় গড়িয়ে গেলেও নিখোঁজ চার বাংলাদেশির এখনো কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।

উপহাইকমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাজশাহীর রাসেল-উজ-জামান কলকাতার শালিমার থেকে চেন্নাই যাচ্ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সচিবালয় ‘নবান্ন’ কর্তৃক প্রকাশিত শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমন্ডল এক্সপ্রেসের আহত যাত্রীদের তালিকা থেকে হাবিবুর রহমান নামে আরও এক বাংলাদেশির পরিচয় পাওয়া যায়। হাবিবুর রহমানের বাড়ি বগুড়ায়। উপহাইকমিশনের এক কর্মকর্তা জানান, ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হাবিবুর রহমান চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। তবে তিনি বাংলাদেশি কি না সেটি নিয়ে কিছুটা সংশয় আছে। ওই ঘটনায় আহত ময়মনসিংহের আজমিন আক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে কলকাতায় ফিরে এসেছেন।

জানা যায়, দুর্ঘটনার পর শনিবার সন্ধ্যায় কলকাতার বাংলাদেশ উপদূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব (রাজনৈতিক) মারেফত তারিকুল ইসলামের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল বালেশ্বরে পৌঁছায়। রবিবার দুপুর পর্যন্ত হাসপাতাল ও দুই অস্থায়ী মর্গ ঘুরে নিখোঁজ চার বাংলাদেশি নাগরিকদের কোনো হদিস তারা পাননি। তারা আদৌ বেঁচে আছেন কি না তাও নিশ্চিত নয়। আর যদি দুর্ঘটনায় মারাই যান, সেক্ষেত্রেও তাদের লাশ পরিবারের কাছে পৌঁছাবে কি না তাও অনিশ্চিত।

কারণ ওড়িশার মুখ্য সচিব প্রদীপ কুমার জেনা রবিবার গণমাধ্যমের কর্মীদের সামনে বলেন, শনাক্তকরণ হয়নি, এমন ১৬০টি লাশ ভুবনেশ্বর এইমস-এর মর্গে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে আগামী ৪২ ঘণ্টা সংরক্ষিত অবস্থায় রাখা হবে। এই সময়ের মধ্যে নিহতদের পরিজনরা এইমস হাসপাতালে তাদের প্রিয়জনের লাশ শনাক্ত করতে পারবেন। যেগুলো শনাক্ত করা যাবে না সেগুলো মেডিকেল গাইড অনুযায়ী সৎকার করে ফেলবে ওড়িশা সরকার। ইতোমধ্যেই দুর্ঘটনাগ্রস্থ করমন্ডল এক্সপ্রেস ও যশবন্তপুর-হামসাফর এক্সপ্রেসের ভ্রমণকারী যাত্রীদের একটি লম্বা তালিকা প্রকাশ করেছে রেলদফতর। যে তালিকায় শুধু যাত্রীদের নাম, পিএনআর কোড, সিট নম্বর ও ভারতীয় ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা দেখে আলাদা করে ওই যাত্রীর নাগরিকত্ব জানা সম্ভব নয়।

সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ উপদূতাবাসের তরফে ইতোমধ্যেই ভারতীয় রেলকে অনুরোধ জানানো হয়েছে, ওই ট্রেন গুলোতে টিকিট বুকিং করার সময় ভ্রমণকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের নাগরিকত্বের পরিচয় সম্পর্কিত নথি দেখে তাদের আলাদা করে সেই তথ্য উপদূতাবাসকে জানানোর জন্য। যদিও রেলের তরফ থেকে এখনো কোনো সাড়া মেলেনি।

সর্বশেষ খবর