মঙ্গলবার, ৬ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

খাদ্যের মতোই গুরুত্ব দিতে হবে জ্বালানিকে

ড. শামসুল আলম

খাদ্যের মতোই গুরুত্ব দিতে হবে জ্বালানিকে

কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম বলেছেন, ‘আমাদের খাদ্য নিরাপত্তার মতোই জ্বালানি নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। এটিকে আর বাণিজ্যিক খাত হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না। একে সেবামূলক খাত হিসেবে দেখতে হবে। প্রণোদনা দিয়ে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। জ্বালানি খাতকে আমলাদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এটিকে দক্ষ জনবলের হাতে দিতে হবে। আর এ জনবলকে ভোক্তার কাছে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।’ গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রথমেই বুঝতে হবে, খাদ্য নিরাপত্তা ও জ্বালানি নিরাপত্তা পরস্পরের ওপর নির্ভরশীল। বরং বলা যেতে পারে, খাদ্য নিরাপত্তা জ্বালানি নিরাপত্তার ওপর নির্ভরশীল। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমরা সফল হয়েছি। কৃষি খাতকে আমরা নানাভাবে প্রণোদনা দিয়েছি। কৃষি খাতকে বাণিজ্যিক খাত হিসেবে দেখিনি। এজন্য এ খাতে স্থায়ীভাবে খাদ্য নিরাপত্তা বিরাজ করছে। জ্বালানি খাত, খাদ্যের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে খাদ্য নিরাপত্তা অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। খাদ্য সংকট হলে মানুষ মারা যায়, আর জ্বালানি সংকট দীর্ঘস্থায়ী হয়ে পড়লে অর্থনীতি মরে যায়। আমাদের এ জায়গাটিকে মূল্যায়ন করতে হবে। আমরা যেভাবে জ্বালানিকে ব্যবসায়িক খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছি, এ খাতে বেসরকারি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে চেয়েছি, বেসরকারি বিনিয়োগ যাতে বেশি হয় এজন্য বেশি মুনাফা দিতে চেয়েছি; এজন্য দ্রুত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ বিশেষ বিধান আইন করে বারবার বর্ধিত করে যাচ্ছি। এখন জ্বালানি কী দামে, কী পরিমাণে এবং কী মানে পাবেন তা যাচাইবাছাই করার কি অধিকার ভোক্তার আছে? সেই অধিকারও খর্ব করে দেওয়া হয়েছে বিইআরসির গণশুনানি বন্ধ করে দিয়ে। জ্বালানির মূল্যহার নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগকে দেওয়া হয়েছে। আর জ্বালানির মূল্য নির্ধারণ সেখানকার আমলারা ইচ্ছামতো করছেন। এরকম অবস্থায় আসার কারণে ভোক্তা অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ বিষয়টা আমাদের আগে বুঝতে ও মানতে হবে। আমরা যদি এটি বুঝে মানি তাহলে লোডশেডিংয়ের এ সংকট উত্তরণ সম্ভব হবে।

সর্বশেষ খবর