একই দিনে সকালে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও দুপুরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত সকালে সালমান এফ রহমানের অফিসে যান এবং দুপুরে মির্জা ফখরুল যান রাষ্ট্রদূতের অফিসে। দুটি বৈঠকই এক ঘণ্টার বেশি চলেছে। আসন্ন নির্বাচন ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি ঘোষণার পর একই দিনে এ দুই বৈঠক বিশেষ আগ্রহের সৃষ্টি করেছে রাজনৈতিক মহলে। কয়েক দিন ধরেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করে আসছেন পিটার হাস। রবিবার রাষ্ট্রদূত বৈঠক করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের সঙ্গে এবং বৃহস্পতিবার বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের সঙ্গে। গতকাল সকালে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সরকারি অফিসে গিয়ে তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। এ বৈঠকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মহাপরিচালক উপস্থিত ছিলেন। পরে যোগাযোগ করা হলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মূলত শ্রম আইন নিয়ে আলোচনা করেছেন। বাংলাদেশের শ্রম আইন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু বক্তব্য ছিল। সেসব বিষয় নিয়েই রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সরকারের বক্তব্য জানতে চেয়েছেন এবং এ আলোচনা অব্যাহত থাকবে। এর বাইরে আইনমন্ত্রী ওই বৈঠক সম্পর্কে আর কিছু বলেননি। সরকারি সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চলতি মাসেই জেনেভা যাচ্ছেন। তার আগে শ্রম আইন নিয়ে বাংলাদেশের সরকারের বক্তব্য জানল যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে গতকাল দুপুরে এক ঘণ্টার বেশি যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপি মহাসচিব দুপুর সোয়া ১টার দিকে মার্কিন দূতাবাসে যান। দূতাবাসে বৈঠকে একাই ছিলেন মির্জা ফখরুল, অন্যদিকে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন মার্কিন আরেক কূটনীতিক। পরে বৈঠকের বিষয়ে মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, রাষ্ট্রদূত হাস মির্জা ফখরুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন, প্রচারণা প্রক্রিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের অংশীদারির অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার নিয়ে আলোচনা করেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, বাংলাদেশের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র যে ভিসানীতি ঘোষণা করেছে, সে ব্যাপারে বিএনপির অবস্থান ও প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকার যেহেতু নির্বাচন প্রক্রিয়াসহ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করেছে, সে প্রেক্ষাপটে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে এ ভিসানীতি দিতে হয়েছে বলে আমরা মনে করি। আমাদের এ অবস্থানই পিটার হাসের কাছে তুলে ধরেছি। চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আগামী নির্বাচনসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়েও যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বিএনপির বক্তব্য জানতে চান বলে মির্জা ফখরুল ইসলাম উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না বলে তাঁরা মনে করেন। এ বক্তব্যই তিনি তুলে ধরেন পিটার হাসের কাছে। এর আগে ১৬ এপ্রিল বিএনপি মহাসচিব যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেই বৈঠকে তাঁর সঙ্গে বিএনপির আরও দুজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।
শিরোনাম
- কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের প্রতিবাদে এনসিপির বিক্ষোভ
- মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কঠোর নির্দেশনা
- নতুন গানে কন্ঠ দিলেন সাবিনা ইয়াসমিন
- ওয়াটারলু উৎসবে বাংলাদেশের ‘আনটাং’
- অবশেষে পটিয়া থানার ওসিকে প্রত্যাহার
- নারী ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
- বয়সের বাধা পেরিয়ে ধর্মীয় জ্ঞান আহরণ
- সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেফতার
- ক্যান্সার থেকে সেরে ওঠা ‘রোলার কোস্টার যাত্রা’: প্রিন্সেস কেট
- শ্রীলঙ্কার কাছে হারল বাংলাদেশ
- মার্কিন সিনেটে ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ পাস
- ‘হলি আর্টিজান নিয়ে ডিএমপি কমিশনারের বক্তব্য খণ্ডিতভাবে উপস্থাপিত হয়েছে’
- জাতীয় ঐকমত্য গঠনে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছে বিএনপি : সালাহউদ্দিন
- আগামী ৫ দিনে দেশজুড়ে বৃষ্টির আভাস
- জাপানে দুই সপ্তাহে ৯১১ ভূমিকম্প
- জনতার ভয়ে ডোবায় কেশবপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি
- বিশেষ অভিযানে আরও ১৩০৫ জন গ্রেফতার
- ইতিহাস গড়ে প্রথমবার এশিয়ান কাপে বাংলাদেশ
- সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের জন্য সংসদের সিদ্ধান্ত প্রয়োজন : আমীর খসরু
- তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সব দল একমত : আলী রীয়াজ
সকালে সালমান দুপুরে ফখরুলের সঙ্গে বৈঠক মার্কিন রাষ্ট্রদূতের
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মহাপরিচালকও উপস্থিত ছিলেন দুই বৈঠকই হয়েছে ঘণ্টার বেশি
কূটনৈতিক প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর