শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৮ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

ভোটের অধিকার কেড়ে নিলে মানুষ ছাড় দেয় না : প্রধানমন্ত্রী

দেশি-বিদেশি যত চাপই আসুক মাথা নত করব না, জ্বালাও পোড়াও করলে আমেরিকার ভিসা পাবে না বিএনপি, লোডশেডিং সমস্যা দূর ১০-১৫ দিনের মধ্যে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভোটের অধিকার কেড়ে নিলে মানুষ ছাড় দেয় না : প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশি-বিদেশি যতই চাপ আসুক না কেন, ওই চাপের কাছে বাঙালি নতিস্বীকার করে না। দেশের মানুষের ভোটের অধিকার আমরাই সুরক্ষিত করব। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ এখন তাদের ভোটের অধিকার সম্পর্কে সচেতন। ভোটের অধিকার কেউ কেড়ে নিলে জনগণ তাদের ছেড়ে দেবে না। ভোট চুরির অপরাধে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার জনগণের আন্দোলনে দুবার পতন হয়েছে, এটা দেশের মানুষের ভুলে গেলে চলবে না। আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছে। মানুষ ভোট দিতে পারলে আওয়ামী লীগ কখনো পরাজিত হয়নি। ঐতিহাসিক ৭ জুন ছয় দফা দিবস উপলক্ষে গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি দেশের জনগণের ভোটের অধিকারে বিশ্বাস করে না। বিএনপি মনে করে অন্য কেউ কোথাও থেকে এসে নাগরদোলায় করে তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। কিন্তু দেবে না। ব্যবহার করবে, কিন্তু ক্ষমতায় বসাতে পারবে না। ক্ষমতায় বসাতে পারে একমাত্র জনগণ। তিনি বলেন, আমরাই এ দেশে আন্দোলন সংগ্রাম করে গণতন্ত্র এনেছি। এই গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা আছে বলেই আজ বাংলাদেশের উন্নতি হয়েছে, আর্থ-সামাজিক উন্নতি হয়েছে। তিনি বলেন, নিজেদের কাজ নিজেদেরই করতে হবে। নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। পরমুখাপেক্ষী হলে চলবে না। আমরা পরমুখাপেক্ষী হব না। জাতির পিতা ৭ মার্চের ভাষণে বলেছিলেন, কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না। বাঙালিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, যারা গণতন্ত্র হরণ করে হত্যা ক্যু ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসে, তাদের পকেট থেকে তৈরি দলের (বিএনপি) নেতারা এখন গণতন্ত্রের কথা বলে, নির্বাচনের কথা বলে, কারচুপির কথা বলে। আরে তোরা তো ভোট ডাকাইত, তোরা তো গণতন্ত্রই জানিস না। তোরা জানিস কারফিউ গণতন্ত্র। আর তাদের কাছ থেকে গণতন্ত্রের সবক শুনতে হয়, এটাই বাঙালির দুর্ভাগ্য। তিনি বলেন, শুনলে আমাদের হাসি পায়, ওরা যখন গণতন্ত্রের কথা বলে। গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটের অধিকার সুরক্ষিত করেছে আওয়ামী লীগ। আর খালেদা-তারেক জিয়ার অগ্নিসন্ত্রাসের শিকার দেশের মানুষ। বিএনপির দুঃশাসন-দুর্নীতির কথা তারা ভুলে যায়নি। একদিকে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন, অন্যদিকে দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলা- এটাই ছিল তাদের কাজ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মার্কিন ভিসানীতি প্রসঙ্গে বলেন, কেউ কেউ নাকি আন্দোলন করে আমাদের উৎখাত করবে! ওরা আন্দোলন-সংগ্রাম যা করতে চায় করুক। কিন্তু অতীতের মতো যদি তারা জ্বালাও-পোড়াও করে, অগ্নিসন্ত্রাস করে মানুষকে হত্যা করে- তাহলে তারা (বিএনপি-জামায়াত) মার্কিন ভিসা পাবে না। যাদের কথায় তারা নাচে, তারাই বিএনপিকে খাবে। এ ব্যাপারে আমাদের চিন্তার কিছু নেই।  প্রচ- গরমে লোডশেডিংয়ের কারণে মানুষ কষ্ট পাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুই দিনের মধ্যে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। ১০ থেকে ১৫ দিন পর দেশে আর বিদ্যুতের কষ্ট থাকবে না। এর মধ্যেই দেশে বিদ্যুতের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। বিএনপিকে আন্দোলন করার অনুমতি দিলেও তীক্ষè নজর রাখার নির্দেশ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত কিছু লোক জোগাড় করবে, আন্দোলন করবে, বসে থাকবে। করতে দাও। আমি বলেই দিয়েছি যত আন্দোলন করবে তারা করুক। আমরা কিছু বলব না। কিন্তু নজর রাখতে হবে ২০১৩-১৪-১৫ সালে যেভাবে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, মানুষ হত্যা করেছে, মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে, হাত-পা কেটেছে- সেটা যেন করতে না পারে। নিজের চোখ-ক্যামেরা সবসময় ঠিক রাখতে হবে। কারণ ওদের ওই দোষ আছে। একটা উসকানি দিয়ে, ছবি উঠিয়ে বাইরের কাছে কাঁদতে থাকবে।

দলের নেতা-কর্মীদের সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের প্রত্যেকটা নেতা-কর্মীকে সচেতন থাকতে হবে। জনগণের পাশে যেতে হবে। আমাদের উন্নয়নের কথা তাদের বলতে হবে। ভবিষ্যতে আমাদের পরিকল্পনার কথা তাদের বলতে হবে। যাতে কেউ তাদের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে। তিনি বলেন, যখন আমরা দেখি বিএনপি নেতারা সমানে বক্তব্য দিয়ে গণতন্ত্র গণতন্ত্র করে। আমার প্রশ্ন কোন গণতান্ত্রিক ধারায় ওই দলের জন্ম? আজকে তারা ভোট কারচুপির কথা বলে। সেই ভোট কারচুপি তো বিএনপি নেতাদেরই সৃষ্টি। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ আর আমাদের জোট সবাই মিলে দিনের পর দিন আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। আমার ভোট আমি দেব যাকে খুশি তাকে দেব, সেই স্লোগান আমাদেরই ছিল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালে গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসেছিল। আমরা সেটা করিনি। আমি বলেছিলাম আমার দেশের সম্পদ দেশের মানুষের অধিকার। আগে তাদের স্বার্থ দেখতে হবে। ৫০ বছরের গ্যাস রিজার্ভ রেখে যদি উদ্বৃত্ত থাকে তখন আমরা বিক্রি করব। কিন্তু খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে একটুও গ্যাস পায়নি। আমেরিকাও নিতে পারেনি। তিনি বলেন, ছয় দফা ছিল বাঙালির ম্যাগনাকার্টা। এই ছয় দফা ধরেই আমাদের এগিয়ে যাওয়া। আজকে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। সেই রোল মডেল হিসেবে আমরা এগিয়ে যাব। বাংলাদেশের জনগণকে আর কেউ বাধা দিয়ে রাখতে পারবে না। মানুষের কষ্টের কথা উল্লেখ করে অসাধু ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। অবশ্যই সীমিত আয়ের মানুষের কষ্ট হচ্ছে। আর কিছু লোক আছে সুযোগটা নেয়। মজুদ করে রাখে। পিঁয়াজ আমাদের উৎপাদন হতো না। পিঁয়াজ উৎপাদন যখন করেছি দাম হু হু করে বেড়ে গেছে। যেই পিঁয়াজ আমদানি শুরু, অমনি দাম কমে গেছে। যারা হোল্ডিং করে রেখেছিল তারা যদি এই অপকর্মটা না করত। এই পিঁয়াজ দিয়েই কিন্তু আমাদের হতো। তো আমরাও জানি কখন কোন জবাবটা দিতে হয়। কখন কোন ব্যবস্থা নিতে হয়। তিনি বলেন, সারা পৃথিবীতে তেলের দাম বেড়েছে। আমরা এলএনজি আমদানি করি। গ্যাস আমদানি করি। সেগুলোর দাম বেড়ে গেছে। নিজেরা কূপ খনন করছি গ্যাস উৎপাদন করছি। মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছি। সে বিদ্যুতের এখন অসুবিধা হচ্ছে। লোডশেডিং দিতে আমরা বাধ্য হচ্ছি। আমি জানি মানুষের কষ্ট হচ্ছে। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। দু-এক দিনের মধ্যে আরও ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হবে। এরপর ১০-১৫ দিনের মধ্যে আরও যুক্ত হবে। এরপর আর কষ্ট থাকবে না। তিনি বলেন, দুর্ভাগ্য-অস্বাভাবিক গরম পড়েছে। বাংলাদেশে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হবে- এটা ভাবতেই পারি না। তাছাড়া বৃষ্টি নেই। শেখ হাসিনা বলেন, আজকে যেমন ১৪ বছরে বাংলাদেশটা পাল্টে গেছে, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলব। তিনি বলেন, এ দেশে হত্যার রাজনীতি, ভোট কারচুপি, মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা- এসব শুরু করেন জিয়াউর রহমান। উচ্চ আদালত রায় দিয়েছেন সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল অবৈধ, যেটা করেছেন জিয়াউর রহমান। এ জন্য উচ্চ আদালতকে ধন্যবাদ জানাই, তাদের ঐতিহাসিক এই রায়ে দেশে অনির্বাচিত কেউ আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। এতে জনগণের ভোটের অধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষিত করেছে।  আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, বিএনপি আজ ভোটের কথা বলে, ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কত ভোট পেয়েছিল? ২/৩ ভাগও ভোট পড়েনি। ভোট চুরির অপরাধে খালেদা জিয়াকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে দেশের জনগণ। নির্বাচন ও গণতন্ত্র নিয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির মুখে আমাদের নির্বাচন ও গণতন্ত্রের সবক শুনতে হয়। এ দলটির কোন গণতান্ত্রিক ধারায় জন্ম? অস্ত্র হাতে সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে তৈরি হয়েছিল বিএনপি। আর জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তানের দোসর, একাত্তরের গণহত্যাকারী, যুদ্ধাপরাধীদের দল। স্বাধীনতার পর এদের রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে কলমের খোঁচায় অসাম্প্রদায়িকতাকে ধ্বংস করে এদের রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিল এ জিয়াউর রহমান। হাজার হাজার সেনা অফিসার ও সৈনিককে নির্বিচারে হত্যা করেছে এই জিয়া। অসংখ্য সেনা পরিবার তাদের প্রিয়জনের লাশ পর্যন্ত খুঁজে পায়নি। মানুষ হত্যা আর ভোট কেড়ে নিয়ে মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলাই ছিল এই জিয়ার একমাত্র কাজ। ১৯৭০ সালের নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সে নির্বাচনে মুসলিম লীগ ২০-দলীয় জোট করেছিল, আর আওয়ামী লীগ ছিল একা। তাদের ধারণা ছিল ২০-দলীয় জোট কমপক্ষে ২০টা সিট পাবে, কিন্তু পেয়েছিল মাত্র দুইটা সিট। সমগ্র পাকিস্তানের অ্যাসেম্বলিতে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ সিট পেয়ে যায়। কিন্তু ইয়াহিয়া খান ক্ষমতা হস্তান্তর করেননি। জাতির পিতার ছয় দফা মানুষ লুফে নিয়েছিল, এই ছয় দফা থেকে এক দফার উত্থান। বঙ্গবন্ধু আমাদের বলতেন- ছয় দফা তিনি দিয়েছেন। কিন্তু ছয় দফার প্রকৃত অর্থ হলো এক দফা, অর্থাৎ স্বাধীনতা। শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, শাজাহান খান, সিমিন হোসেন রিমি, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এ মান্নান কচি ও দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ ও উপ-প্রচার সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আওয়াল শামীম।

দেশে ১৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে : সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে জানিয়েছেন, দেশে বর্তমানে ১৬ দশমিক ২৭ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। এর মধ্যে চাল ১২ দশমিক ২৫ মেট্রিক টন, গম ৩ দশমিক ৯৬ মেট্রিক টন এবং ধান ৯ হাজার মেট্রিক টন। গতকাল জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ সংক্রান্ত লিখিত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সরকারদলীয় সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ।

লিখিত জবাবে প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, খাদ্য মজুদ বাড়াতে বর্তমান বোরো সংগ্রহ মৌসুমে ৪ লাখ মেট্রিক টন ধান ও ১২ দশমিক ৫০ মেট্রিক টন চালসহ চাল আকারে সর্বমোট ১৫ দশমিক ১০ লাখ মেট্রিন টন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ মেট্রিক টন নির্ধারণ করা হয়েছে। অধিকতর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চলতি অর্থবছরে এ পর্যন্ত (২৩ মে ২০২৩) ছয় দশমিক ৩৪ লাখ মেট্রিক টন চাল ও ছয় দশমিক ৮০ মেট্রিক টন গম আমদানি করা হয়েছে বলে জানান তিনি। আওয়ামী লীগ দলীয় সদস্য আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা জানান, দেশের নতুন নতুন এলাকায় ভূতাত্ত্বিক জরিপ ও সিসমিক সার্ভে কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৩২ হাজার ৫৮১ লাইন কিলোমিটার ২ডি এবং ৬ হাজার ২২২ বর্গকিলোমিটার ৩ডি সিসমিক সার্ভে সম্পন্ন হয়েছে। এ সময় ২০টি অনুসন্ধান কূপ, ৫৪টি উন্নয়ন কূপসহ ৭৪টি কূপ খনন এবং ৪১টি কূপে ওয়ার্কওভার কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। ফলে ছয়টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে।

দেশে এ পর্যন্ত খননকৃত মোট অনুসন্ধান কূপের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ বর্তমান সরকারের আমলে হয়েছে। ভোলার ইলিশায় নতুন আবিষ্কৃত ২৯তম গ্যাসক্ষেত্রের মজুদসহ বর্তমানে গ্যাসের মজুদ ২৮ দশমিক ৭৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট বলে জানান তিনি। জাতীয় পার্টির মসিউর রহমান রাঙ্গার প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের ফলে ২০২৬ সালের পর থেকে ভারতে পণ্য রপ্তানিতে ডিউটি ফ্রি কোটা সুবিধা পাবে না। এতে ভারতে পণ্য রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এ বিষয়টি বিবেচনা করে ভারতের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি এখনো নেগোসিয়েশন পর্যায়ে রয়েছে। সিইপিএ স্বাক্ষরিত হলে ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি ১৯০ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে জিডিপি ১ দশমিক ৭২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর