৪৫ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এটা আওয়ামী লীগের নির্যাতনের রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, আজ সমগ্র দেশের মানুষ জেগে উঠেছে একটি মাত্র দাবি নিয়ে। সেই দাবি হচ্ছে এ মুহূর্তে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, এ মুহূর্তে সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং নিরপেক্ষ সরকারে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠান করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। মির্জা ফখরুল গতকাল মতিঝিলে এক কনভেনশনে বক্তৃতা করছিলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল ও সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদ। তিনি বলেন, শ্রমিক শ্রেণি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে। আবারও তারা লড়াই করবে আমরা বিশ্বাস করি। দ্রব্যমূল্য, মজুরি কমিশন, জাতীয় বেতন স্কেল, ন্যূনতম মজুরি, শ্রম পরিস্থিতি ও চলমান এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এ কনভেনশন করা হয়। বিএনপি মহাসচিব বলেন, সমগ্র দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ, সমগ্র রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। এক দফা দাবি দিয়েছি। সেই দফা হচ্ছে- যে সরকার আমাদের সমস্ত অধিকার কেড়ে নিয়েছে, আমাদের অর্জনগুলো কেড়ে নিয়েছে সেই সরকারকে এ দেশের মানুষ আর এক মুহূর্ত দেখতে চায় না। তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তিনি তাঁর সমস্ত রাজনৈতিক জীবনে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন। আজকে দেশনেত্রীকে অন্যায়ভাবে-বেআইনিভাবে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে আটক করে রাখা হয়েছে। তাঁকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ভয়েস অব আমেরিকার সঙ্গে শেখ হাসিনা কিছু কথা বলেছেন জানিয়ে ফখরুল বলেন, এগুলো তিনি সম্পূর্ণ মিথ্যাচার করেছেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির মামলা নেই। সেই টাকা এখন ৮ কোটির ওপরে চলে গেছে। শুধু রাজনৈতিক কারণে তাঁকে মিথ্যা মামলা দিয়ে আটক করে রাখা হয়েছে। আমাদের নেতা তারেক রহমানকেও একইভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্বাসিত করে রাখা হয়েছে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা যে লড়াই করছি ইনশা আল্লাহ সে লড়াইয়ে বিজয়ী হব। এ সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করব। দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে সক্ষম হব।
শ্রমিক কর্মচারী কনভেনশন আয়োজক কমিটির সমন্বয়ক শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের সভাপতিত্বে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফ হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার প্রমুখ বক্তব্য দেন।