মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এম. হুমায়ুন কবির বলেছেন, মার্কিন শ্রমনীতির যে বিষয়টি সামনে এসেছে, তা রাজনৈতিক নয়। এটার সঙ্গে আমাদের নির্বাচনেরও কোনো সম্পর্ক নেই। একটা স্বাধীন জাতি হিসেবে আন্তর্জাতিক মহলের কাছে আমরা যে অঙ্গীকারগুলো করেছি, সেগুলোই তারা মনে করিয়ে দিচ্ছে। যদি আমরা অঙ্গীকারগুলো প্রতিপালন করতে পারতাম, তাহলে এটা নিয়ে কারও কথা বলার সুযোগ থাকত না। নৈতিক দায়িত্ব থেকেই অঙ্গীকারগুলো সুচারুরূপে বাস্তবায়নে আমাদের তৎপর হওয়া দরকার। তিনি বলেন, আমরা উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যাচ্ছি। অর্থনীতি ভালো হচ্ছে। বৈশ্বিক যোগাযোগ বাড়ছে। উন্নয়নের সঙ্গে অধিকারের বিষয়টি অঙ্গাঙ্গি জড়িত। এটাও সমানতালে চলতে হবে। আমরা মানবাধিকারসংক্রান্ত অনেক আন্তর্জাতিক সনদে স্বাক্ষর করেছি। সেখানে ভোটাধিকার, বাকস্বাধীনতা, রাজনৈতিক অধিকারের কথা যেমন বলা আছে, তেমন সম অধিকার, নারী অধিকার, কৃষক অধিকার, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অধিকার এমন আরও অনেক অধিকারের কথা বলা আছে। উন্নয়নে আমরা ভালো নম্বর পাচ্ছি। কিন্তু অধিকারসংক্রান্ত অন্যান্য বিষয় যেমন রাজনৈতিক অধিকার, অর্থনৈতিক অধিকার, সামাজিক অধিকার এ জায়গাগুলোয় আমাদের কাজ করার সুযোগ আছে। উন্নয়নের সঙ্গে অধিকার রক্ষায় সমান্তরালে চলতে না পারলে প্রশ্নের মুখে পড়তেই হবে। আমরা সেই প্রশ্নের মুখে পড়ছি। জাতিসংঘ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নয়ন সহযোগীরা বিভিন্নভাবে বিষয়গুলো আমাদের মনে করিয়ে দিচ্ছে। সাবেক এই কূটনীতিক বলেন, সাম্প্রতিককালে আমরা নির্বাচন ও শ্রম অধিকার নিয়ে বেশ চাপের মধ্যে আছি। কারণ নির্বাচন মানুষের মৌলিক অধিকারের সূতিকাগারের মতো। এর মধ্য দিয়ে জনগণের মতামত প্রতিফলিত হয়, যার ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক সরকার গঠিত হয়। সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকে। এ অবস্থা থেকেই উৎসারিত হয় মানুষের কথা বলার অধিকার, সভা-সমাবেশের অধিকার ও অন্যান্য অধিকার। সম অধিকারটাও সমগুরুত্বের দাবিদার। শুধু অন্যরা বললে অধিকার বাস্তবায়ন করতে হবে এমনটা নয়, এ অধিকার আমার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সহায়ক শক্তি। অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক অধিকার নিশ্চিত করলে রাষ্ট্র শক্তিশালী হয়। সবাই সমানভাবে অধিকার ভোগ করতে পারে। রাষ্ট্রের উন্নয়নে সমানভাবে অবদান রাখতে পারে। সবার অংশীদারিতে আধুনিক রাষ্ট্র গড়তে চাইলে এ অধিকারগুলোর প্রতি মনোযোগী হতেই হবে। শ্রমিকের মজুরি, সুযোগসুবিধা বাড়ালে সাময়িক কিছুটা কষ্ট হবে। কিন্তু এতে দীর্ঘমেয়াদে লাভ হবে। বিনিয়োগ বাড়লে শ্রমিকের দক্ষতা বাড়বে। তখন উৎপাদন বাড়বে। আরও বেশি প্রতিযোগিতামূলক বাজারে আমরা প্রতিনিধিত্ব করতে পারব। দেশের সম্মানও বাড়বে। মনে রাখা দরকার, উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যেতে চাইলে আমাদের ভিতরে-বাইরে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। বৈশ্বিক সহযোগীদের সন্তুষ্ট রেখে সমন্বিতভাবে কাজ করতে পারলেই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা সহজ হবে। আমরা বিশ্বসমাজের একটা অংশ। সেখানে তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অধিকারের বিষয়গুলো প্রতিপালন করতে না পারলে প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে।
শিরোনাম
- সুপার ফোরের আশা বাঁচাল বাংলাদেশ, তবে এখন কী সমীকরণ?
- স্পিনে শুরু, পেসে শেষ: কোথায় জিতল বাংলাদেশ?
- এশিয়া কাপে থ্রিলার ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারাল বাংলাদেশ
- ছক্কার রাজা এখন তানজিদ হাসান তামিম
- চাঁদপুরে জব্দকৃত ৬০ কেজি গাঁজা ধ্বংস
- নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতে শাবিপ্রবিতে স্মারকলিপি
- শ্রীমঙ্গলে জামায়াতের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভা
- নতুন নেতৃত্বে গোবিপ্রবি সাহিত্য সংসদ
- যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের ‘স্পষ্ট অবস্থান’ জানতে চান জেলেনস্কি
- কারাগারগুলোতে চলছে মাসব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযান-ডোপ টেস্ট
- চাঁদপুর মেডিকেল কলেজে বিজ্ঞান মেলা শুরু
- সিলেটে অবৈধ সিএনজি অটোরিকশা সরাতে আল্টিমেটাম
- ভালুকায় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা
- বোয়ালমারীতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা
- পাঁচ ব্যাংক একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত, বসছে প্রশাসক
- বিশ্বব্যাপী জলবায়ু কর্ম সপ্তাহে কলাপাড়ায় মানববন্ধন
- গাজায় গণহত্যা চলছে, দায়ী ইসরায়েল: জাতিসংঘ তদন্ত কমিশন
- সিদ্ধিরগঞ্জে আহতদের পুনর্বাসন, জুলাই যোদ্ধাকে দোকান উপহার
- ক্যান্সারে আক্রান্ত স্বাস্থ্য উপদেষ্টার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়টি মানবিকভাবে দেখা উচিত
- নীলফামারীতে ৮৪৭টি মণ্ডপে হবে শারদীয় দুর্গাপূজা