সিলেটের হরিপুরে ১৯৮৬ সালেও আমরা একবার তেলের খনির সন্ধান পেয়েছিলাম। সেই সময় গ্যাসকূপ খনন করতে গিয়েই তেল উঠে আসে। তবে এবার সিলেট গ্যাসক্ষেত্রের ১০ নম্বর কূপে (অনুসন্ধান কূপ) হরিপুরের মতো ঘটনা ঘটেনি। ১০ নম্বর কূপে পরীক্ষা করে আলাদাভাবে তেল চিহ্নিত করা গেছে। তবে নতুন যে তেলের খনি সন্ধান মিলেছে সেখান থেকে আমরা যে পরিমাণ তেলই পাই না কেন, এটি আমাদের জন্য ভালো খবর। জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক অরুণ কর্মকার গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ভূতাত্ত্বিকভাবে সিলেট বেল্টে হরিপুর, কৈলাসটিলা- এ দুই এলাকা ধরে আমাদের যে গ্যাসক্ষেত্রগুলো আছে, সেখানে কিছু কিছু পকেট তেলও আছে। তারই একটি ১৯৮৬ সালে আমরা হরিপুরে পেয়েছিলাম। এরপর সর্বশেষ সিলেট গ্যাসক্ষেত্রের ১০ নম্বর কূপে পাওয়া গেছে। এ জায়গাটিতে আরও দু-চারটি কূপ খনন করলে হয়তো আরও তেলের অস্তিত্ব পাওয়া যাবে। তবে এখানে আমাদের খুব বেশি মজুদ থাকার সম্ভাবনা নেই। কারণ ভূগর্ভে যে প্রক্রিয়ায় তেল ও গ্যাস তৈরি হয় অর্থাৎ জ্বালানি তেল তৈরি হতে যে সময় লাগে এর সঙ্গে তুলনা করে আমাদের এ অঞ্চলে ভূমির যে গঠন তা তৈরি হতে যে সময় লেগেছে তার সময় কম। অর্থাৎ আমাদের যে ভূমির গঠন তা তৈরি হতে তত বেশি সময় লাগেনি। সেখানকার ভূমির গঠন তত পুরনো না যত পুরনো হলে মাটির নিচে তেল তৈরি হতে পারে। অরুণ কর্মকার বলেন, সিলেটের ওপারে যেটা আসাম অঞ্চল সেখানেও কিছু তেল আছে। ভূতাত্ত্বিকভাবে সেখানে তেল তৈরি হওয়ার যে ধারাবাহিক প্রক্রিয়া বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলের সীমান্তের ভিতরের অংশও সেই প্রক্রিয়ার মধ্যে পড়ে গেছে। হরিপুরেও পকেট তেল পাওয়া গিয়েছিল। সাড়ে ৫ লাখ ব্যারেল তেল তোলার পর বাণিজ্যিকভাবে এই খনি থেকে তেল উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। অর্থাৎ সেই কূপে যে পরিমাণ তেল ছিল তা শেষ হয়ে গিয়েছিল। এবার নতুন যে তেল খনির সন্ধান মিলেছে সেখানেও হরিপুরের মতো ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছি। হয়তো সেখানে কিছু বেশি বা কম তেল পাওয়া যেতে পারে। এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ না হলে বলা যাচ্ছে না। এ খনি থেকে খুব বড় সম্ভাবনা না থাকলেও এ অঞ্চলে এমন আরও দু-একটি পকেট তেলের খনির সন্ধান পাওয়া যেতে পারে। এই জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক বলেন, যেহেতু এর আগে হরিপুর থেকে আমরা তেল উত্তোলন করেছি এজন্য তেল উত্তোলনের প্রক্রিয়া আমাদের জানা আছে। আর এই তেল ওঠানোর পর ক্রুড পরিশোধন করার জন্য তা ইস্টার্ন রিফাইনারিতে পাঠিয়ে দিতে হবে বলে মনে করছি। আপাতত নতুন খনি থেকে তেল উত্তোলনের জন্য আলাদা কোনো উদ্যোগ নেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করছি না।
শিরোনাম
- বিচারকের ছেলে তাওসিফের মৃত্যু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে : ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক
- পরমাণু সাবমেরিন তৈরির ব্যাপারে সম্মত দক্ষিণ কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্র
- গণভোটে আইন প্রণয়ন হয়ে যাবে না, সেজন্য সংসদ গঠিত হতে হবে : সালাহউদ্দিন
- কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র-ড্রোনের বড় হামলা চালিয়েছে রাশিয়া
- জেমস ও পাকিস্তানের আলী আজমতের কনসার্ট স্থগিত
- সংবিধান সংশোধনে ক্ষুব্ধ হয়ে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির পদত্যাগ
- সমবায় অধিদপ্তরের নতুন ডিজি ইসমাইল হোসেন
- জাপোরিঝিয়ায় সম্মুখযুদ্ধের সৈন্যদের সঙ্গে দেখা করলেন জেলেনস্কি
- রাঙ্গুনিয়ায় শ্রমিকদল নেতাকে গুলি করে হত্যা
- কাঠামোগত সংস্কারে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি : আইএমএফ
- ট্রাম্পের কাছে তথ্যচিত্রের জন্য ক্ষমা চেয়েছে বিবিসি
- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফল প্রকাশ
- বিমানবন্দর এলাকার দুই জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণ
- বাসে আগুন দিয়ে করছিলেন ভিডিও, ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু
- ইমাম প্রশিক্ষণে সৌদি সরকারের সহায়তার আশ্বাস
- শাকসু নির্বাচন বানচালের অভিযোগে প্রশাসনিক ভবনে তালা
- নওগাঁয় বিএনপিতে যোগ দিল আরও ৭ শতাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বী পরিবার
- প্রশাসন নিশ্চুপ থাকলে বিপদ আরও বাড়বে : গয়েশ্বর
- নতুন দুই দূতাবাস স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন
- চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের
যে পরিমাণই পাই না কেন, ভালো খবর
অরুণ কর্মকার
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
টপিক
এই বিভাগের আরও খবর