বুধবার, ৮ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা
সংসদে তথ্য

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বকেয়া ৩৩ হাজার ১০৯ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) কাছে বিদ্যুৎ বিক্রি বাবদ সঞ্চালন কোম্পানিসহ বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর ৩৩ হাজার ১০৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।

গতকাল জাতীয় সংসদে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সঞ্চালন কোম্পানিগুলোর বিউবোর কাছে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিক্রি বাবদ ১০ হাজার ৩৯১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানিগুলোর একই সময়ের পাওনা ১৫ হাজার ২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এ ছাড়া যৌথ উদ্যোগে স্থাপিত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোর পাওনা ২ হাজার ৪১৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। আদানিসহ ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য বিভিন্ন কোম্পানির পাওনা ৫ হাজার ২৯৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। স্বতন্ত্র সদস্য আবদুল্লাহ নাহিদ নিগারের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের চাহিদার চেয়েও স্থাপিত উৎপাদন ক্ষমতা বেশি। জানুয়ারি ২০০৯ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ২৬ হাজার ২৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। ফলে বিদ্যুতের স্থাপিত ক্ষমতা ক্যাপটিভসহ ৩০ হাজার ২৭৭ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। এ বছর ৩০ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে ১৬ হাজার ৪৭৭ মেগাওয়াট। সংরক্ষিত আসনের ফরিদা ইয়াসমিন তার প্রশ্নে শিল্পপ্রতিষ্ঠানে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস না পাওয়ার অভিযোগ শিল্প মালিকেরা করছেন বলে জানান। একই সঙ্গে তিনি বাসা-বাড়িতে গ্যাসের সরবরাহ অপ্রতুল বলে জানান। জবাবে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আমাদের দেশে দৈনিক উৎপাদিত গ্যাসের পরিমাণ ১৭০০ ঘনফুট। আমদানি করি ১১০০ ঘনফুট গ্যাস। প্রায় ৩ হাজার ঘনফুট গ্যাস লাইনে দিতে পারছি। প্রয়োজন ৩৪০০-৩৫০০ ঘনফুট। এখানে ঘাটতি ৫০০ ঘনফুট।

কোন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে গ্যাস পাচ্ছে না প্রতিমন্ত্রী তা লিখিতভাবে জানাতে অনুরোধ করে বলেন, কোন কোম্পানি গ্যাস পায় না এমন লিখিত অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। আমরা চেষ্টা করছি সেখানে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস রাখার জন্য। বাসাবাড়িতে গ্যাসের সমস্যা আছে। চাপের সমস্যা আছে। সে কারণে আমরা বিকল্প এলপিজি ব্যবহারের কথা বলছি। আমরা বাসাবাড়িতে গ্যাসের সংযোগ দিচ্ছি না বা দেব না। আমাদের উদ্দেশ্য হলো পাইপলাইনের গ্যাস শিল্প ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করব। এলপিজি বাসাবাড়ি, গাড়িতে ব্যবহারে পরিকল্পনা ভবিষ্যতে আমাদের রয়েছে।

বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নুর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ থাকলেও বৃহত্তর ময়মনসিংহে সমস্যা হচ্ছে। কারণ সেখানে গ্যাসের স্বল্পতা। জামালপুরের দুটো বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট বন্ধ আছে। একটি টাকার কারণে এলসি খোলা যাচ্ছে না। আরেকটি অন্য কারণে বন্ধ আছে বলে জানান তিনি।

 

সর্বশেষ খবর