বুধবার, ৮ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

মন্ত্রী-এমপিরা প্রভাব খাটালে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা : সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, উপজেলা নির্বাচন ঘিরে কোনো ধরনের অনিয়ম যেন না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। প্রভাব বিস্তারের বিষয়টি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে না। মন্ত্রী-এমপিদের নিবৃত্ত করা হয়েছে। তার পরও ভোটের দিন প্রভাব বিস্তার করতে চাইলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গতকাল প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনের আগের দিন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সিইসি এ সব কথা বলেন। নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, ফরহাদ আহাম্মদ খান, জনসংযোগ পরিচালক শরিফুল আলমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, মন্ত্রী-এমপিদের নিবৃত্ত করা হয়েছে, প্রভাব বিস্তারের কারণে কিছু কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে নির্বাচনের দিন কেউ যেন ভোট কেন্দ্রে অনুপ্রবেশ করতে না পারে এবং সেখানে যেন অনিয়ম না হয় সে বিষয়ে নির্দেশনা রয়েছে। ভোটের দিনে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ভোটের দিন আমরা সতর্ক থাকব, কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটর করব। অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রথম ধাপে ১৫২টি উপজেলার তফসিল ঘোষণার পর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা, নির্বাচন স্থগিত ও ধাপ পরিবর্তনের কারণে কিছু উপজেলা বাদ পড়ে। সব মিলিয়ে আজ বুধবার ভোট হবে ১৩৯ উপজেলায়। এর মধ্যে ২২টি উপজেলায় ইভিএমে এবং বাকিগুলোতে প্রচলিত ব্যালট পেপারে ভোটের আয়োজন হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। এ পর্বে ভোটার আছেন মোট ৩ কোটি ১৪ লাখ ৬৮ হাজার ১০২ জন। প্রথম ধাপের ভোটের আগের দিন নির্বাচনি এলাকাগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে নেমেছে ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি। ইতোমধ্যে ভোটের সব ধরনের আয়োজন ‘শেষ হয়েছে’ বলে সিইসি জানান। তিনি বলেন, এ নির্বাচনের জন্য যা যা করণীয় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। যাতে নির্বাচনটা অবাধ, নিরপেক্ষ হয়। আইনশৃঙ্খলা সঠিকভাবে তদারকিতে কেন্দ্রীয়ভাবে নির্বাচন ভবনে পরিস্থিতি মনিটর করা হবে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে বিভাগ, জেলা পর্যায়ে কমিশন মতবিনিময় সভা করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন ও টহলের সুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে ধাপে ধাপে ভোটের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি সাধারণ কেন্দ্রে ১৭ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮ জন আর পার্বত্য এলাকায় সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে অন্তত ২১ জন আইনশৃঙ্খলা সদস্য নিয়োজিত থাকবে বলে জানান সিইসি।

নির্বাচনে সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করে তিনি বলেন, সংশ্লিষ্টরা নিয়মকানুন প্রতিপালন করলে নির্বাচনটা সহজ হবে। তারা যদি বিশৃঙ্খলা তৈরি করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা দুরূহ হবে। এবার কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং প্রার্থীসহ সবার সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়েছে। নির্বাচনটাকে স্বচ্ছ করার চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ের নানা ধরনের অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান সিইসি। তিনি বলেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত করে কারও কারও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন যাতে প্রভাবিত না হয় সেজন্য ইসির তরফ থেকে সব ধরনের চেষ্টা করে যাচ্ছি।

সর্বশেষ খবর