বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেছেন, আমরা একটা স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করতে চাই। পার্শ্ববর্তী দেশের গোলাম হয়ে আমরা কেউ থাকতে চাই না। জুলাই-আগস্টের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমরা আবার একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি, সেটিকে হেলায় হারাতে চাই না। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের নেতা-কর্মীদের নামে সব মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার, খুনি হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচার ও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে সভাটির আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল।
অনুষ্ঠানে হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, বিতাড়িত স্বৈরাচারী শক্তি ভারতে বসে নতুন করে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। চারদিকে ভয়ংকর গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, শেখ হাসিনার নাকি পদত্যাগপত্র পাওয়া যাচ্ছে না, কারও কাছে নেই তার পদত্যাগপত্র। এর মধ্য দিয়ে একশ্রেণির মানুষকে বোঝানো হচ্ছে, শেখ হাসিনা এখনো বৈধ প্রধানমন্ত্রী। এর চেয়ে বড় আর মিথ্যাচার হতে পারে না। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার এখন কোনো পাসপোর্ট নেই। সরকার তার পাসপোর্ট বাতিল করে দিয়েছে। তিনি একটি প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নিয়েছেন যারা তাকে অন্য দেশে পাঠিয়ে দিতে চায়। তারপরও তার পদত্যাগপত্রের প্রয়োজনীয়তা কী? স্বৈরাচার চলে গেলেও তার টিমের রাষ্ট্রপতি এখনো বহাল তবিয়তে আছেন জানিয়ে হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার হয়তো জানে না, কোনোভাবে বাংলাদেশের মানুষের জনজীবনে দুর্যোগ নেমে এলে বা টালমাটাল হলে, এই ব্যক্তি আবার শেখ হাসিনার বন্দনায় নেমে পড়বেন। তারা এত অপরাধ করেছে যে, শেখ হাসিনা ছাড়া এদের বাঁচানোর কেউ নেই। তাকে ছাড়া ভাবতে পারে না। হাফিজ বলেন, সংস্কারের জন্য বেশি দিন সময় নেওয়া যাবে না। নির্বাচন কমিশন ও বিচার বিভাগ সংস্কার হলেই নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা সব বিষয় সংস্কার করবেন। গণতন্ত্রকামী মানুষের বিরুদ্ধে যত মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে, অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দাবি জানান তিনি।