হোয়াইট হাউসে যেতে হলে একজন প্রার্থীকে অন্তত ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেতে হবে। বাংলাদেশের সিলেট সদরের মতো আইওয়া হচ্ছে এমন একটি স্টেট- যেখানে বিজয়ী প্রার্থীই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে জয়ী হয়ে আসছেন।
শেষ মুহূর্তের প্রচারে উভয় পক্ষই দোদুল্যমান হিসেবে পরিচিত স্টেটগুলোতে বেশি জোর দিচ্ছেন। এবারের নির্বাচনে পেনসিলভেনিয়া, জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলিনা, মিশিগান, উইসকনসিন, অ্যারিজোনা ও নেভাদা স্টেট দোদুল্যমান হিসেবে বিবেচিত। শনিবার পর্যন্ত মুসলিম আমেরিকান ভোটারের বড় একটি অংশের সমর্থন কমলা নিজের পক্ষে আনতে সক্ষম হননি মিশিগান, পেনসিলভেনিয়া এবং জর্জিয়া স্টেটে। আগের প্রায় সবকটি নির্বাচনে ডেমক্র্যাট প্রার্থীরা মুসলিম আমেরিকার সিংহভাগ ভোট পেয়েছেন। বাইডেন-কমলার গাজা ও লেবানন নীতিতে বিরাগভাজন হয়েছেন মুসলিম আমেরিকানরা। ফলে জাতীয়ভাবে জরিপে এগিয়ে থাকা কমলার পক্ষে দোদুল্যমান ৭ স্টেটের ইলেকটোরাল ভোট বাগিয়ে নেওয়া কঠিন হয়ে উঠেছে। তবে উচ্চ শিক্ষিত এবং স্বনির্ভর বয়স্ক শ্বেতাঙ্গ নারীর বড় একটি অংশ শেষ মুহূর্তে কমলার প্রতি ঝুঁকে পড়েছেন- একে তার জন্য ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন পর্যবেক্ষকেরা। এই ৭ স্টেটের ওপর পরিচালিত সর্বশেষ জরিপের ফলাফল অনুযায়ী (শনিবার) নেভাদা, জর্জিয়া, মিশিগান এবং উইসকনসিনে কমলা হ্যারিস এবং অ্যারিজোনা ও নর্থ ক্যারোলিনায় ট্রাম্প এগিয়ে আছেন। পেনসিলভেনিয়া স্টেটে উভয় প্রার্থী সমানে সমান।