একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা-মামলা থেকে খালাস পাওয়ায় নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন তারেক রহমান। সোশ্যাল হ্যান্ডেল এক্স (সাবেক টুইটার) ও ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে তিনি বলেন, আসুন- আমরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অবসান ঘটিয়ে ইতিহাসের একটি নতুন অধ্যায় শুরু করি, যেখানে রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে কারও জীবন বা পরিবার ধ্বংস হবে না।
গতকাল বাংলাদেশ সময় ৭টা ২৫ মিনিটে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেল এক্স (সাবেক টুইটার) ও ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে তিনি এমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। ইংরেজিতে দেওয়া স্ট্যাটাসে তারেক রহমান বলেন, ‘সত্যের সৌন্দর্য হলো এই যে, এটি প্রোপাগান্ডা ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে অবশেষে জয়ী হয়। যা আমাদের এই বিশ্বাস জোগায় যে ন্যায় ও সুবিচার শেষ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠিত হয়। এতে তিনি আরও বলেন, আমরা অঙ্গীকার করছি যে, বহুমতের, বিশ্বাসের ও মতাদর্শের বৈচিত্র্যে বিকশিত গণতন্ত্রের চেতনা ধারণ করব। যা বাংলাদেশের মানুষকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে ক্ষমতায়িত করবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আরও বলেন, এই যাত্রায় আমরা আইনের শাসন, মানবাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার জন্য সচেষ্ট হব। যা প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার ও স্বাধীনতা সুরক্ষিত করবে এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, সহনশীল ও নিয়মতান্ত্রিক সমাজ গড়ে তুলবে।
তারেক রহমানের ওই স্ট্যাটাসের পর বিএনপির নেতা-কর্মীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে নিজেদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন নিজ নিজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অনেকে তারেক রহমানের স্ট্যাটাসের নিচে কমেন্ট করেছেন, অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং বলেছেন, আমরা আপনার দেশে ফেরার অপেক্ষায় আছি।
এর আগে গতকাল বহুল আলোচিত একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানকে খালাস দিয়েছেন হাই কোর্ট। ওই মামলার অন্য সব আসামিকেও খালাস দেন হাই কোর্ট। বিচারিক আদালতের দেওয়া আগের রায় বাতিল করে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ ঐতিহাসিক এ রায় ঘোষণা করেন।