নির্বাচন আয়োজনের আগে তাঁর সরকার সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের মূলমন্ত্রই ছিল ‘সংস্কার’। তিনি গতকাল তাঁর কার্যালয়ে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস সাক্ষাৎ করতে এলে এ কথা বলেন। সূত্র : বাসস।
বৈঠককালে তারা জুলাই-আগস্ট বিপ্লব, সরকারের সংস্কার উদ্যোগ, বাংলাদেশের সুইডিশ বিনিয়োগ এবং গণ অভ্যুত্থানে নারীদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশের পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়েছে, তবে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে, বিশেষ করে সমাজের বিভিন্ন গোষ্ঠীর উচ্চ প্রত্যাশা পূরণের ক্ষেত্রে। দাবি-দাওয়া মেটানো একটি বড় কাজ। আমরা চেষ্টা করছি, তবে খুব সতর্কও রয়েছি।
বাংলাদেশে আরও বেশি সুইডিশ বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে ড. ইউনূস বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার দেশে ব্যবসা সহজ করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তিনি জানান, তার সরকার দুর্নীতি দমন করেছে, রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে বিনিয়োগ সহজ করেছে এবং শ্রম আইনের বিষয়ে আইএলও কনভেনশন অনুমোদনের উদ্যোগ নিয়েছে।
বৈঠকে রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস বলেন, ‘আপনাকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, এই পরিবর্তনকালে আমাদের পূর্ণ সমর্থন আপনার সঙ্গে রয়েছে।’
সার্ক মহাসচিবের সাক্ষাৎ : সার্কের মহাসচিব গোলাম সারওয়ার গতকাল ঢাকার তেজগাঁওয়ে তাঁর কার্যালয়ে অধ্যাপক ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় ড. মুহাম্মদ ইউনূস দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর অভিন্ন স্বার্থে আঞ্চলিক সংস্থা সার্ককে কার্যকর করতে সংস্থার সচিবালয়কে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘সার্ক একটি বিস্মৃত শব্দ। এটিকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারলে এটি পুরো অঞ্চলের মানুষের কল্যাণ বয়ে আনবে।’ মহাসচিব গোলাম সারওয়ার সার্কের বড় সমর্থক হওয়ার জন্য অধ্যাপক ইউনূসকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বহুপক্ষীয় সংস্থার পুনরুজ্জীবনের জন্য দক্ষিণ এশিয়ার নেতাদের কাছে তার সাম্প্রতিক আহ্বানে তারা উৎসাহিত হয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টাকে কর্ম পর্যায়ে সার্কের চলমান কার্যক্রমের বিষয়ে অবহিত করেন, যার মধ্যে রয়েছে প্রোগ্রামিং কমিটি, আঞ্চলিক কেন্দ্রের গভর্নিং বডি এবং বিশেষায়িত সংস্থা, জলবায়ু পরিবর্তনের ঘটনা, এসডিজি, আঞ্চলিক একীকরণ, শুল্ক সহযোগিতা ইত্যাদি।