গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আজকে (গতকাল) চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের সঙ্গে গোলাগুলি হয়েছে। আমাদের বিভিন্ন সীমান্তে তারা কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার অপচেষ্টা করেছে। কিন্তু আমাদের পরিষ্কার বার্তা, আমরা বেঁচে থাকতে এ দেশের ১৮ কোটি মানুষ দেশের ১ ইঞ্চি জমিও ভারতকে দখল করতে দেবে না। সরকারকে অনুরোধ জানাব সীমান্তবর্তী মানুষকে সামরিক ট্রেনিং দিন, প্রয়োজনে বিজিবির সঙ্গে তারাও কাজ করবে। তবু ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমাদের দেশের একটা লাশ পড়লে ওপারের দুইটা লাশ ফেলতে হবে।’
গতকাল দুপুরে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা মাল্টিপারপাস অডিটোরিয়ামে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। চব্বিশের গণ অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে এবং বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে এ সভার আয়োজন করে রংপুর বিভাগীয় গণঅধিকার পরিষদ। সভায় সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সমন্বয়ক হানিফ খান সজিব। সভায় রংপুর-১ আসনে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী হিসেবে রংপুর বিভাগীয় সমন্বয়ক হানিফ খান সজিবের নাম ঘোষণা করা হয়।
সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর আরও বলেন, সরকার শতাধিক পণ্যে কর এবং শুল্ক বাড়িয়েছে। এই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত মানুষের জন্য আরও ভোগান্তি হবে। এমনিতে মানুষের হাতে টাকা নেই, দেশে বিনিয়োগ নেই, নতুন কর্মসংস্থান নেই, এ আন্দোলন সংগ্রামে বিভিন্ন শিল্প খাত কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন সরকার মানুষকে কীভাবে স্বস্তি দেবে, কীভাবে মানুষের এই কষ্টে আগুন নেভানোর জন্য পানি ঢেলে দেবে- সেটা না করে সরকার পেট্রল ঢেলে দিয়েছে। যে পেট্রলে এখন টের পাচ্ছে না, কয়েকদিন পর ঠিকই মানুষ প্রতিক্রিয়া দেখাবে। সরকার যা ইচ্ছা তাই করবে, গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নেবে- আমরা সেটাকে সমর্থন দেব না। গণঅধিকার পরিষদ রংপুর জেলার নেতা শেরে খোদা আসাদুল্লাহর সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদ রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা মোন্নাফ, সমন্বয়ক ইব্রাহিম খোকন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাজী মো. কামাল হোসেন, আমিনুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, যুব অধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এরশাদুল হক প্রমুখ।