চাঁদাবাজি করার জন্য শহীদরা রক্ত দেয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, শহীদরা জাতীয় সম্পদ। তারা কোনো রাজনৈতিক দলের নয়। তাদের কাছে পুরো জাতি চিরঋণী। ফেনী শহরের গ্র্যান্ড সুলতান কনভেনশন হলে গতকাল বিকালে জেলা জামায়াতের আয়োজনে ২৪-এর গণ অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহতদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন জামায়াত আমির। এ সময় তিনি আরও বলেন, সরকারকে বর্তমানে সবকিছু বাদ দিয়ে আহতদের চিকিৎসায় হাত দেওয়া উচিত। আমরা চাই না আমাদের আর কোনো ভাই পঙ্গু হোক। এ ছাড়া প্রত্যেকটি গণহত্যার বিচার কার্যকর করতে হবে। কোনো মহল জামায়াতের ধৈর্যের পরীক্ষা নিয়েন না। তাহলে বাংলাদেশ বিস্ফোরিত হবে। ৯১ ভাগ মুসলমানের দেশে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা হলে সবাই মর্যাদা পাবে। মানবিক বাংলাদেশ গঠন হবে। একটি সাম্য এবং মানবিক বাংলাদেশ না পাওয়া পর্যন্ত আমরা বিশ্রাম নেব না।
৫ আগস্টের পরবর্তী সময়ে ফেনীতে চাঁদাবাজি প্রসঙ্গে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, শহীদরা কি অনিয়ম-চাঁদাবাজির জন্য রক্ত দিয়েছে। বর্তমানে যা শুনছি তা যদি সত্যি হয়, তাহলে এটি শহীদের রক্তের সঙ্গে গাদ্দারি ও বেইমানির সমান। এ সময় ফেনীর ছাত্র আন্দোলনে ১২ জন শহীদের পরিবার ও ৩৫০ আহতের হাতে জামায়াতের আমির নগদ অনুদান তুলে দেন। তিনি ফুলগাজীতে শহীদ ইশতিয়াক আহমেদ শ্রাবণের কবর জিয়ারত করেন।
নির্বাচনের পরিবেশ না হওয়া পর্যন্ত ধৈর্য ধরার আহ্বান : জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আমরা সবাই চাই সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একটি সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হোক। পাশাপাশি ন্যূনতম যে সংস্কারগুলো না হলে একটি সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত ধৈর্য ধরে সরকারকে সহযোগিতা করা উচিত। গতকাল দুপুরে ফেনীর পরশুরামের বল্লামুখা বাঁধ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বল্লামুখা বাঁধ নিয়ে সরকার শান্তিপূর্ণ স্থায়ী সমাধানের পথে হাঁটুক। শুধু এ বেড়িবাঁধ নয়, পুরো নদীজুড়ে যে ব্লকগুলো দেওয়া হয়েছিল সেগুলো পড়ে গেছে। সেখানে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়নি। যদি দুর্নীতি না হতো, বছর বছর যে বাজেট হয়েছে তা কাজে লাগত তাহলে মানুষের এ দুঃখ দূর হয়ে যেত।