ভারতের ক্রিকেট কিংবদন্তি বিরাট কোহলি টেস্টকে বিদায় বলেছেন। বর্তমান ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্রিকেটারকে আর কখনো দেখা যাবে না সাদা পোশাক ও লাল বলের ক্রিকেটে। ভারতের সাবেক অধিনায়কের অবসরের ঘোষণায় বিস্ময় প্রকাশ করেননি বাংলাদেশ টি-২০ দলনায়ক লিটন দাস। তবে ক্রিকেট লড়াইয়ে কোহলিকে মিস করবেন, বলতে ভুল করেননি। অনেক দিন ধরে শোনা যাচ্ছিল ৩৭ বছর বয়সি কোহলি টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলবেন। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড অবশ্য অনুরোধ করেছিল, ইংল্যান্ড সিরিজের আগে যেন অবসরের সিদ্ধান্ত না নেয়। শচীন টেন্ডুলকারও অনুরোধ করেছিলেন কোহলিকে। কিন্তু কোহলি তার নিজ অবস্থানে স্থির থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে অবসরের ঘোষণা দেন। অবসরের ঘোষণা বার্তায় তিনি লিখেন এক আবেগঘন স্ট্যাটাস, ‘টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাগি ব্লু (ক্যাপ) মাথায় চাপানোর পর পেরিয়ে গেছে ১৪ বছর। সত্যি বলতে, কখনো কল্পনাও করতে পারিনি এ সংস্করণ এমন পথচলায় আমাকে এগিয়ে নেবে। এটা আমার পরীক্ষা নিয়েছে, আমাকে গড়ে দিয়েছে এবং শিক্ষা দিয়েছে, যা আমি বয়ে নেব আজীবন। সাদা পোশাকে খেলার ব্যাপারটি ছিল আমার হৃদয়ের একান্তই কাছাকাছি। নিঃশব্দে নিজেকে ভেঙে গড়া, দীর্ঘদিন এবং ছোট ছোট মুহূর্ত, যা কখনো কেউ দেখে না, কিন্তু নিজের সঙ্গে রয়ে যায় চিরদিন।’ ২০১১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক। এরপর ১৪ বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারে ১২৩ টেস্টে ৪৬.৮৫ গড়ে ৯২৩০ রান করেন। যাতে ৩০ সেঞ্চুরি ও হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে ৩১টি। কোহলি টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলেন বন্ধু রোহিত শর্মার অবসর ঘোষণার পাঁচ দিন পর। ভারতের পক্ষে কোহলি ওয়ানডে ও টি-২০ বিশ্বকাপ জিতেছেন। চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও।
রোহিতের নেতৃত্বে তিনি চ্যাম্পিয়ন হন চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ও টি-২০ বিশ্বকাপে। ২০ ওভারের বিশ্বকাপ জয়ের পরপরই মাঠে দাঁড়িয়ে টি-২০ ক্রিকেটকে বিদায় বলেছিলেন কোহলি। টেস্ট ও টি-২০ ক্রিকেটকে বিদায় বলা কোহলি অবশ্য ওয়ানডে খেলবেন। ক্রিকেট বিশ্বের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে কোহলি ওয়ানডেতে ৫১টি সেঞ্চুরি করেছেন। ৩০২ ম্যাচে রান করেছেন ৫১ সেঞ্চুরি ও ৭৪ হাফ সেঞ্চুরিতে ১৪১৮১। কোহলি ভারতের সবচেয়ে বেশি টেস্টজয়ী অধিনায়ক। তার নেতৃত্বে ভারত ৬৮ টেস্টের ৪০টিতে জিতেছে এবং হেরেছে মাত্র ১৭টিতে।