বাংলাদেশের পণ্যের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে, তার হার কিছুটা কমানো হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, আলোচনা করতে ১ আগস্টের আগেই বাণিজ্য উপদেষ্টা প্রতিনিধিদল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন। গতকাল সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এবং অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, দেড় লাখ টন সার অমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ইউরিয়া ও টিএসপিসহ বিভিন্ন রকম সার রয়েছে। এলএনজি আমদানির অনুমোদন দিয়েছি। যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক প্রয়োগের আর মাত্র আট দিন বাকি। এর মধ্যে দর কষাকষির আলোচনার জন্য বাংলাদেশর প্রস্তুতি কী? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আগামী ১ আগস্টের আগেই বাণিজ্য উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমরা আশা করছি শুল্ক হয়তো কিছুটা কমাবে। কারণ, আমাদের ঘাটতি তো খুবই কম। ৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের মতো। ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে লবিস্ট নিয়োগের দাবি জানানো হচ্ছে, একজন সাংবাদিক এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এক্ষেত্রে লবিস্ট নিয়োগের প্রসঙ্গ নেই।
কারণ, লম্বা সময় নিয়ে কোনো নেগোসিয়েশনের ক্ষেত্রে এ ধরনের লবিস্ট নিয়োগ করা হয়। এখানে যা করতে হবে কুইক করতে হবে। ওরা তো ঢুকতেই পারবে না, ওই অফিসের কাছাকাছি। নেগোসিয়েশন তো দূরের কথা।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের ভালো ইমেজ আছে। সম্প্রতি আমরা যুক্তরাষ্ট্রের শেভরন, এক্সিলারেট এনার্জি, মেটলাইফের কতগুলো বকেয়া পরিশোধ করে দিয়েছি। বাংলাদেশের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে ইউএস চেম্বার আমাকে চিঠি লিখেছে।