বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। গতকাল বেলা ১১টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ হয়। এক ঘণ্টার বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রবিষয়ক পরামর্শক কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক বিশেষ সহযোগী উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ।
বৈঠক শেষে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সব সময় বাংলাদেশের নির্বাচনি প্রক্রিয়ার পাশে থেকেছে। এবারও তারা পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে। তারা চায়, আসন্ন নির্বাচনটি যেন সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক হয়। ইইউ বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে সহায়তা করতে চায় উল্লেখ করে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার দিকেও তারা গুরুত্ব দিচ্ছে। পাশাপাশি সংসদকে আরও কার্যকর ও শক্তিশালী করতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহযোগিতা করবে।
নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে তৈরি হওয়া বিতর্কের বিষয়ে আমীর খসরু বলেন, নির্বাচন নিয়ে জড়িত বিষয়গুলো সম্পর্কে এখন থেকে নির্বাচন কমিশনের অবগত থাকা এবং একটা ভূমিকা রাখাও উচিত।
রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে অন্য রাজনৈতিক দলের বৈঠক নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কে কার সঙ্গে দেখা করছে, সেটা তাদের বিষয়। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে জনগণ। আমরা চাই জনগণের ম্যান্ডেটই হোক একমাত্র সিদ্ধান্ত। বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, ‘বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত আজ যে জায়গায় এসেছে, তার পেছনে ইইউর ডিউটি-ফ্রি বাজার সুবিধা বড় ভূমিকা রেখেছে। তারা এই সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে এবং ভবিষ্যতে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে আগ্রহী।