১২ মে, ২০১৯ ১১:৩১

শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক সরিষার তেল!

অনলাইন ডেস্ক

শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক সরিষার তেল!

প্রাচীনকাল থেকেই সরিষার তেল বাঙালির ঐতিহ্যের সাথে মিশে আছে। জার্মানির বিজ্ঞানিরা এটিকে ভেষজ অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছেন।

বিকল্প অ্যান্টিবায়োটিকের খোঁজে

রোগীদের ডাক্তারের দেওয়া অনেক অ্যান্টিবায়োটিকই আজকাল আর বিভিন্ন রোগের জীবাণু ধ্বংস করতে পারছে না। প্রতিনিয়ত ডাক্তার এবং গবেষকরা অ্যান্টিবৈায়োটিকের বিকল্প হিসেবে ভেষজ ওষুধের সন্ধান করছেন।

সাম্প্রতিক এক গবেষণায় শ্বাসনালী এবং মূত্রনালী ও ব্রঙ্কাইটিস ইনফেকশন সারাতে সরিষার তেল বিশেষ ভূমিকা রাখে বলে জানান, জার্মানির বন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরো ইউরোলজি বিভাগের প্রধান প্রফেসার রুট কির্শনার হেরমান্স।

ভেষজ অ্যান্টিবায়োটিক

সরিষার তেল  ভেষজ বা প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক, যা ব্যবহারে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই এবং তা সহজেই হজম হয়।

নানা গুণ

প্রাকৃতিক এই উপাদানের গুণের কথা বিভিন্ন সমীক্ষা থেকেও জানা গেছে। জার্মানির হাইডেলবার্গ এবং মারবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরাও সরিষার তেলের এই গুণ, অর্থাৎ রোগের জীবাণু ধ্বংস করার ক্ষমতার বিষয়ে একমত হয়েছেন।

আরও যা করে

সরিষার তেলের উপাদান শরীর ক্ষুদ্রান্ত্রের মাধ্যমে গ্রহণ করে এবং ফুসফুস ও বৃহদান্ত্রের প্রয়োজনীয় জীবাণুকে কোনোরকম ক্ষতি না করেই কিডনির মাধ্যমে তা নিষ্কাশিত হয়। কারণ এই তেল বৃহদান্ত্রের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও হজমে সহায়তা করে থাকে।

মুলা ও মুলাজাতীয় সবজি

সরিষার তেলে যেসব উপাদান রয়েছে, সেসব নাকি মুলা ও মুলাজাতীয় সবজিতেও রয়েছে। কাজেই মুলা খেলেও কিছুটা অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ হবে বলে জানান প্রফেসার রুট কির্শনার হেরমান্স।

সুস্থ হতে একটু বেশি সময় লাগে

সম্প্রতি ফিনল্যান্ডের এক গবেষণায় জানা গেছে, এক বছরের কম বয়সি শিশুরা অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করলে তা থেকে শরীর আবার ঠিক হতে বছরখানেক সময় লেগে যায়। যে কারণে পরবর্তীতে সেই শিশুর অতিরিক্ত ওজন ও অ্যাজমা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক বা সরিষার তেল শিশুদের জন্য খুবই উপযোগী। এক্ষেত্রে বলে রাখা দরকার যে, কেমিক্যালমিশ্রিত অ্যান্টিবায়োটিকের পরিবর্তে সরিষার তেলে সুস্থ হতে সময় একটু বেশি লাগে।

সূত্র: ডয়েচে ভেলে

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর