১২ মে, ২০২১ ১৬:১৪

রমজান পরবর্তী স্বাস্থ্য সচেতনতা

তামান্না চৌধুরী

রমজান পরবর্তী স্বাস্থ্য সচেতনতা

পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরী

মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসবগুলোর মধ্যে প্রধান উৎসব হলো ঈদ। পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর-এর খুশির বার্তা নিয়ে আসে আত্মশুদ্ধি ও ত্যাগের এই মাস, রমজান। মাসব্যাপী সিয়াম-সাধনার পর রমজান মাসকে বিদায় জানিয়ে এবং শাওয়াল মাসকে স্বাগত জানিয়ে ঈদ উদযাপনে থাকে নানান আয়োজন। নতুন পোশাকের পাশাপাশি অন্যতম আকর্ষণীয় অংশ হিসেবে থাকে ঈদের বিশেষ খাওয়া-দাওয়া। এই আয়োজনে অনেক সময় স্বাস্থ্যের কথা মাথায় না রেখে মুখরোচক খাবারের দিকেই বেশি ঝুঁকে যাই আমরা। এটিই বয়ে আনতে পারে নানাবিধ বিপদ। 

কীভাবে খাবার খেলে খাবারগুলো স্বাস্থ্যকর থাকবে এবং ফ্যাট ও ক্যালরি নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে, চলুন জেনে নেই; 
দীর্ঘ এক মাস রোজা রাখার পর হঠাৎ ঈদের দিনের ভুরিভোজ শরীরকে অনেক সময় ক্ষতির মুখে ফেলতে পারে। নিজ বাড়ির মজার মজার খাবার তো আছেই, পাশাপাশি আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের বাড়ি এবং রেস্তোরাঁগুলোতেও সুস্বাদু খাবার উপভোগ করতে আমরা ভিড় জমাই। এক মাসের পরিমিত খাবারের নিয়ম ভেঙে হঠাৎ করে মুখরোচক এবং রিচ-ফুড খাওয়ার ফলে বদহজম, গ্যাস, পেট খারাপ, ওজন বৃদ্ধি, প্রেসার বেড়ে যাওয়া এবং রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধির মতো সমস্যার সম্মুখীন হওয়াটি আস্বাভাবিক কিছু নয়। সুস্বাস্থ্যের কথা ভেবে আমাদের উচিত নিজের এবং পরিবারের জন্যে একটি স্বাস্থ্যকর ঈদ নিশ্চিত করা, এবং সেটি কিভাবে, আসুন তা জেনে নেই;  

১. ঈদের দিন সকালে হালকা নাস্তার আয়োজন করুন। কেননা শুরুতেই ভারি খাবার খেলে পুরোদিন পেট ফাঁপা বা হজমে সমস্যা হবার সম্ভাবনা থাকে। সকালের নাস্তার মেন্যুতে রুটি, তেল ছাড়া পরোটা, সবজি খিচুড়ি, ডিমের একটা আইটেম ইত্যাদি রাখতে পারেন।

২. ঈদের দিন যেহেতু একটু ভারি খাবার হয়, তাই স্ন্যাকস হিসেবে খাদ্য তালিকায় ফলমূল কিংবা সালাদ আইটেম রাখুন। 

৩. কোল্ড ড্রিকংস, চা-কফির পরিবর্তে চিনি ছাড়া ফলের জুস পান করতে পারেন। যা আপনাকে হাইড্রেটেড রাখবে এবং ভিটামিন, মিনারেল বজায় রাখতে সাহায্য করবে। ভারি খাবার খাওয়ার পর লেবু-পানি খেতে পারেন, যা হজমে সাহায্য করবে। 

৪. রান্নায় ঘি, মাখন, অতিরিক্ত তেল ও মসলা কমিয়ে টমেটো পিউরী, টক দই, শিরকা ইত্যাদি ব্যবহার করুন। 

৫. দই হজমে সাহায্য করে। তাই মিষ্টান্ন-এর পরিবর্তে মেন্যুতে দই রাখতে পারেন। যার প্রোবায়োটিক হজমে সাহায্য করবে।  

৬. মাছ প্রোটিনের খুব ভালো একটি উৎস। অতিরিক্ত মাংসের চেয়ে মেন্যুতে ২/১টা মাছের আইটেম রাখতে পারে, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। 

ঈদের পর নিয়ম করে আবার নিয়মিত হাঁটুন এবং চেকআপ করিয়ে নিন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিবারকে নিয়ে সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন।  


লেখক: প্রিন্সিপাল ডায়টেশিয়ান
এভারকেয়ার হসপিটাল, ঢাকা


বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর