শিরোনাম
প্রকাশ: ১৯:০৩, বুধবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২১

বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন

বার্ধক্য একটি ‘রোগ’, চিকিৎসায় এর ‘নিরাময়’ সম্ভব : মার্কিন বিজ্ঞানী

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ভার্সন
বার্ধক্য একটি ‘রোগ’, চিকিৎসায় এর ‘নিরাময়’ সম্ভব : মার্কিন বিজ্ঞানী

আমরা জানি, বার্ধক্য ঠেকানো যায় না, বার্ধক্য একটা প্রাকৃতিক নিয়ম এবং প্রত্যেকেরই নিয়তি। আমরা বেশিরভাগ মানুষ জীবনকে এভাবেই দেখি। কিন্তু জেনেটিক বিজ্ঞানী ডেভিড সিনক্লেয়ার তা মনে করেন না। 

দুই দশকের ওপর এ বিষয়ে তিনি গবেষণা করেছেন। তিনি বলছেন, বার্ধক্যকে ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব - দীর্ঘ এবং সুস্থ জীবনের জন্য প্রয়োজন শুধু কিছু সহজ অভ্যাস।

ড. সিনক্লেয়ার বিশ্বাস করেন, এমন দিন খুব দূরে নেই যখন ওষুধের সাহায্যে বার্ধক্য সারিয়ে তোলা সম্ভব হবে। এসব ওষুধ এখন পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে এবং এই ওষুধগুলো দিয়ে বুড়ো হওয়ার প্রক্রিয়া আসলেই আটকে রাখা যাবে বলে তিনি বলছেন।

কে এই বিজ্ঞানী ডেভিড সিনক্লেয়ার?

বিজ্ঞানী ড. ডেভিড সিনক্লেয়ার অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট করেছেন এবং পরবর্তীতে গবেষণা করেছেন আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস্ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে। বর্তমানে তিনি হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির একটি ল্যাবরেটোরির প্রধান, যেখানে তার গবেষণার বিষয় - ‘কেন আমরা বুড়ো হই’।

তার গবেষণার জন্য তিনি বিজ্ঞান জগতের বহু পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি একজন সেলিব্রিটিও। টাইম ম্যাগাজিনে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০জনের তালিকায় তিনি নির্বাচিত একজন ব্যক্তিত্ব এবং টুইটারে তার অনুসারীর সংখ্যা দুই লাখ। 

তার ৩৫টি গবেষণার সত্ত্বাধিকারী তিনি নিজে। তিনি বেশ কয়েকটি জৈবপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের হয় প্রতিষ্ঠাতা, নয়তো সেগুলোর কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর বেশ কয়েকটি কাজের ক্ষেত্র হলো বার্ধক্য বিলম্বিত করা বা ঠেকানো।

মেরিল লিঞ্চ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, বার্ধক্য সংক্রান্ত কাজে বর্তমানে ব্যয় হচ্ছে ১১ হাজার কোটি ডলার, যা ২০২৫ সালে গিয়ে পৌঁছাবে ৬০ হাজার কোটি বা ৬০০ বিলিয়ন ডলারে।

বাজারে এখন সবচেয়ে বেশি কাটতি যে বইটির, সেটি ড. সিনক্লেয়ারের লেখা - ‘লাইফস্প্যান-হোয়াই উই এজ-অ্যান্ড হোয়াই উই ডোন্ট হ্যাভ টু’ (কেন আমরা বৃদ্ধ হই-আর কেন আমরা বৃদ্ধ হবো না)।

এই বইয়ে তিনি প্রচলিত বিশ্বাস ভাঙার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেছেন - কেন বার্ধক্য একটা অবশ্যম্ভাবী প্রক্রিয়া নয়।

ড. সিনক্লেয়ার বিশ্বাস করেন বৃদ্ধ হওয়া নিয়ে যেভাবে আমরা ভাবি, সে ভাবনাতে আমাদের আমূল পরিবর্তন করতে হবে: আমাদের ভাবতে হবে বার্ধক্য একটা স্বাভাবিক প্রাকৃতিক নিয়ম নয়, আমাদের এটাকে একটা ‘অসুখ’ হিসেবে দেখতে হবে - অর্থাৎ রোগ হিসেবে এর চিকিৎসা সম্ভব এবং এর নিরাময়ও সম্ভব।

তিনি বলছেন, বৃদ্ধ বয়স নিয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি যদি আমরা একেবারে পাল্টে ফেলতে পারি, তাহলে মানবজাতির আয়ু উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো সম্ভব হবে।

অন্যথায়, তিনি বলছেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানের যে অগ্রগতি হয়েছে তার ফলে আমাদের আয়ু আরও বছর দু’য়েক হয়ত বাড়ানো যাবে: ‘আমাদের লক্ষ্য সেটা আরও অনেক বাড়ানো।’

বিবিসি ব্রাজিলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ড. সিনক্লেয়ার যা বলেছেন নিচে তার সারাংশ দেওয়া হলো:

আমরা বৃদ্ধ হই কেন?

ড. সিনক্লেয়ার: বুড়ো হওয়ার নয়টি প্রধান কারণ চিহ্ণিত করেছেন বিজ্ঞানীরা। গত ২৫ বছরে আমার চালানো গবেষণায় আমরা প্রমাণ পেয়েছি যে এগুলোর মধ্যে একটি হলো বৃদ্ধ হওয়ার পেছনে অন্য সব কারণ এর জন্য দায়ী, এবং এর ফলে শরীর তার সব তথ্য হারিয়ে ফেলে।

আমাদের শরীরের দুই ধরনের তথ্য মজুত থাকে - এর মধ্যে এক ধরনের তথ্য আমরা বংশগতভাবে পাই আমাদের বাবা-মায়ের কাছ থেকে, আর অন্য ধরনের তথ্যগুলো শরীরে তৈরি হয় সময়ের সাথ সাথে পরিবেশগত নানা কারণে।

এর একটি হলো ‘ডিজিটাল’ তথ্য - অর্থাৎ যেগুলো জেনেটিক সূত্র এবং অন্যটি হরো ‘অ্যানালগ’ তথ্য - যাকে বলা হয় 'এপিজিনোম', যেটি কোষের ভেতরকার একটা পদ্ধতি, অর্থাৎ কোন জিন চালু রাখতে হবে, কোনটা বন্ধ করে দিতে হবে সেটা যে পদ্ধতি নিয়ন্ত্রণ করে।

একটা কোষের ভেতর যে ২০ হাজার জিন থাকে, সেগুলোর মধ্যে কোনটি সক্রিয় থাকবে, আর কোনটি নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে, সেটাই কোষটিকে বলে দেয় সে কে- অর্থাৎ ওই কোষের পরিচয় কী হবে এবং কীভাবে সেই কোষটি কাজ করবে।

কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এই এপিজিনোম পদ্ধতি তথ্য হারিয়ে ফেলতে শুরু করে। ধরুন ঠিক যেভাবে আপনার গানের একটা সিডিতে আঁচড় লেগে গেলে সিডি সেখান থেকে গানের অংশটা আর খুঁজে বের করতে পারে না। ফলে তথ্যের অভাবে কোষগুলোও ঠিক সময়ে সঠিক জিনকে চালু করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে - তাদের কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। আমার মতে, এ কারণেই আমরা বুড়ো হই।

কেন বলছেন আমাদের বৃদ্ধ হওয়ার যুক্তি নেই?

ড. সিনক্লেয়ার: কারণ, জীব বিজ্ঞানে কোথাও লেখা নেই যে আমাদের বুড়ো হতে হবে। আমরা জানি না ঠিক কীভাবে এই প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হয়। যদিও এই প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার বিষয়টা আমরা ক্রমশ শিখেছি।

আমাদের ল্যাবে আমরা বৃদ্ধ হবার প্রক্রিয়াটা বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছি। আমার বক্তব্য, এই প্রক্রিয়া - যেটাকে বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় এপিজিনোম বলে - সেটা বদলানো সম্ভব।

যেটাকে আমি সিডিতে আঁচড় লাগার সাথে তুলনা করছি, সেটা আমাদের জীবনকে বিশালভাবে প্রভাবিত করে। আমরা কিছু জিনিস ঠিকভাবে করতে পারলে আমাদের বয়সের ঘড়িটায় জোরেসোরে রাশ টানা সম্ভব। আজকের দিনে এই ঘড়ির দমটা মাপাও যায় - রক্ত এবং থুতু পরীক্ষার মাধ্যমে।

আমরা ইঁদুর, এমনকি তিমি, হাতি আর মানুষের ওপর পরীক্ষা করে দেখেছি একেকটা প্রাণীর জীবনযাত্রা একেক রকম - ফলে তাদের প্রত্যেকের বয়স বাড়ে ভিন্ন গতিতে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা হলো, ভবিষ্যতে আপনার স্বাস্থ্যের অবস্থা কী হবে, তার ৮০ শতাংশের বেশি নির্ভর করে আপনার জীবনযাত্রার ওপর, আপনার ডিএনএ’র ওপর নয়।

যারা বহু দিন বাঁচেন, তাদের ওপর গবেষণা করে বিজ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তে এসেছেন। এখানে জীবনযাত্রার মধ্যে রয়েছে আপনি সঠিক খাবার খাচ্ছেন কি না - যেমন ধরুন ভূমধ্যসাগরীয় এলাকার মানুষ যে ধরনের খাবার খায়, সেটা খুবই ভালো। কম ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়া, বারবার না খাওয়া। শারীরিক ব্যায়ামও সাহায্য করে।

অনেকে আবার মনে করে বরফ বা ঠান্ডা পানি ব্যবহার করে শরীরের তাপমাত্রা কমানোও উপকারী।

বৃদ্ধ হওয়ার প্রক্রিয়া দেরি করতে এগুলো কীভাবে সাহায্য করে?

ড. সিনক্লেয়ার: বিজ্ঞানীরা মনে করেন জীবনযাত্রার বিভিন্ন অভ্যাস এবং শরীর ভালো রাখতে অভ্যাসের যেসব পরিবর্তন আমরা করি, সেগুলো রোগব্যাধি এবং বার্ধক্যের বিরুদ্ধে শরীরের একটা স্বাভাবিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে। গরম বা ঠান্ডা বোধ, ক্ষুধা বোধ, দমের অভাব - এসব অনুভূতি শরীরের এই প্রতিরোধী প্রক্রিয়াকে সক্রিয় করে তোলে।

এই প্রতিরোধ ব্যবস্থার মূলে রয়েছে মাত্র গুটিকয় জিন। আমরা এগুলোর ওপর পরীক্ষা চালিয়েছি। এই জিনগুলো এপিজিনোমকে নিয়ন্ত্রণ করে। ক্ষুধা এবং ব্যায়াম এগুলোকে সক্রিয় করে তোলে। এ কারণেই আমরা মনে করি, সঠিক খাবার খাওয়া এবং উপোস করা বয়সের ঘড়িকে ধীরে চলতে সাহায্য করতে পারে।

বার্ধক্য বেশিরভাগ রোগের কারণ। হৃদরোগ, স্মৃতিভ্রম এবং ডায়াবেটিসের প্রধান কারণ বার্ধক্য। কাজেই বার্ধক্য ঠেকাতে পারলে অনেক রোগ ঠেকানো সম্ভব, শরীরে জোর আনা এবং দীর্ঘায়ু হওয়া সম্ভব।

নেচার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, স্তন্যপায়ী প্রাণীরা অবশ্যই বৃদ্ধ হয়। সেটা কি আপনার গবেষণার উল্টো নয়? ওই গবেষণা অনুযায়ী বার্ধক্য তো ঠেকানো বা বিলম্ব করা সম্ভব নয়?

ড. সিনক্লেয়ার: ২০০ বছর আগে একজন মানুষ সবচেয়ে দ্রুত ভ্রমণ করতে পারতো একটা ঘোড়া যত জোরে ছুটতে পারে সেই গতিতে। এখন নতুন প্রযুক্তি অনেক কিছু বদলে দিচ্ছে। এমনকি জীব বিজ্ঞানও বদলে যাচ্ছে প্রযুক্তির কল্যাণে। প্রযুক্তি অনেক সমস্যার সমাধান করছে, অনেক উন্নতি আনছে। মানবজাতির সৃষ্টির ক্ষমতা তাকে উন্নত জীবন দিয়েছে। প্রযুক্তি ছাড়া আমরা বাঁচতাম না। বার্ধক্যকে জয় করতেও আমরা প্রযুক্তি ব্যবহার করব। সহস্রাধিক বছর ধরে সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা প্রযুক্তির দ্বারস্থ হয়েছি। এটাই হবে পরের ধাপ - অর্থাৎ উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের সীমাবদ্ধতাকে আমরা অতিক্রম করব।

আমরা প্রতিদিন কিন্তু এই কাজটা করি। আমরা শরীরে বদল আনতে ওষুধ খাই, আমরা পরিবেশ বদলাতে পদক্ষেপ নিই। একইভাবে আমরা শরীরের রসায়নও বদলাব। 

কিন্তু আপনি বার্ধক্যের মোকাবিলায় ভিন্ন পথের কথা বলছেন: আপনি বলছেন বার্ধক্য একটা রোগ। কেন?

ড. সিনক্লেয়ার: রোগ কিন্তু দুম করে হয় না। এটা শরীরের ভেতর বাসা বাঁধে। ধীরে ধীরে তার উপসর্গ, লক্ষণ প্রকাশ পায়। মৃত্যুও আসে সময়ের পথ পাড়ি দিয়ে। বুড়ো হবার প্রক্রিয়াটাও একই রকম। বার্ধক্য একটা রোগ। এটা সবার হয়। কিন্তু যেহেতু এটা সবার হয় এবং আমরা মনে করি, এটা প্রাকৃতিক নিয়ম, তার মানে এই নয় যে এটাকে মেনে নিতে হবে।

আমরা প্রমাণ করছি, এই রোগও সারানো যায়, এই রোগ ঠেকানো যায়, এই রোগের প্রকাশ বিলম্বিত করা যায়। বর্তমানে যেহেতু বার্ধক্যকে আমরা রোগ হিসেবে দেখি না, তাই ডাক্তাররা বার্ধক্যের চিকিৎসা করার জন্য কোনো ওষুধ দিতে দ্বিধা বোধ করেন। কিন্তু কিছু ওষুধ একজন মানুষকে বহু বছর সুস্থভাবে বাঁচিয়ে রাখতে পারে। অতএব, বার্ধক্যকে অসুখ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে - অথবা অন্তত বলতে হবে যে, এটা চিকিৎসা করা যায় এমন একটা স্বাস্থ্য সমস্যা।

কিন্তু বুড়ো হওয়া বলতে আমরা যা বুঝি এটা তো তার থেকে অনেক আলাদা। বার্ধক্য আমরা মনে করি অবশ্যম্ভাবী একটা প্রক্রিয়া। আপনি বলছেন এর চিকিৎসা করা যায়, বুড়ো হওয়া দেরি করানো যায়, এমনকি বন্ধ করা যায়। একটু বিপ্লবী চিন্তাভাবনা নয় কি?

ড. সিনক্লেয়ার: বিপ্লবী বৈকি। কিন্তু বিমানে ওড়া, অ্যান্টিবায়োটিক নেওয়া, কম্পিউটার ব্যবহার করা - এগুলো কি বিপ্লবী ছিল না? মানবজাতি তো এভাবেই এগোয়।

আমরা চাই চিকিৎসা বিজ্ঞানে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন - আমরা চাই দীর্ঘ আয়ু। এমনকি আমরা যদি সব রোগ নিরাময়ের পথ আজ পেয়ে যাই- তাহলেও মানুষের আয়ু আমরা গড়ে মাত্র বছর দু'য়েকের বেশি বাড়াতে পারব। কিন্তু আমরা তো আরও অনেক বেশি চাই।

বৃদ্ধ হবার প্রক্রিয়া আপনারা ল্যাবরেটোরি পরীক্ষায় ঠেকিয়েছেন বলছেন? কীভাবে?

ড. সিনক্লেয়ার: এপিজিনোম প্রক্রিয়াকে কীভাবে মুছে ফেলা যায় আমরা সেটা উদ্ভাবনের কাজ করছি - অনেকটা সিডিতে লাগা আঁচড় পরিষ্কার করে ফেলার মতো। আমরা অনেক জিনের ওপর কাজ করেছি দেখার জন্য যে বৃদ্ধ হবার প্রক্রিয়া নিরাপদে আটকে দেওয়া যায় কি না। অনেক বছর এ কাজে আমরা সফল হইনি। এমনকি গবেষণাগারের এই কাজ করতে গিয়ে আমরা কোষের বদল ঘটিয়ে ক্যান্সার সৃষ্টি করে ফেলেছি।

অবশেষে আমরা তিনটে জিনের সন্ধান পাই, যেগুলোকে বলে ইয়ামানাকা ফ্যাক্টরস। এই জিনগুলো কোষের পরিচয় বদলায় না, কিন্তু বুড়ো হওয়া আটকে দেয়। এই কাজ আমরা করি মানুষের ত্বকের কোষ এবং স্নায়ুর কোষে।

এরপর আমরা ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা চালাই। ইঁদুরগুলোর চোখের স্নায়ু নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। আমরা তাদের চোখের স্নায়ুতে প্রাণ ফিরিয়ে তাদের দৃষ্টিশক্তি পুনরুদ্ধার করেছি।

এটা কি ভবিষ্যতে মানুষের ওপর কাজ করবে?

ড. সিনক্লেয়ার: দেখুন, এমন মানুষ আছেন যারা এটা বিশ্বাস করেন এবং গবেষণায় অর্থ লগ্নী করতে চান। তাদের সাথে আমার ফোনে কথা হয়েছে।

তারা ইঁদুরের ওপর গবেষণা চালাতে দু'বছরের জন্য অর্থ সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে আমরা মানুষের ওপর প্রথম ট্রায়াল শুরু করব। আমরা দেখব এই প্রক্রিয়ায় মানুষের অন্ধত্ব নিরাময় করা যায় কি-না।

বিজ্ঞান এ পর্যন্ত কী আবিষ্কার করতে পেরেছে আর বার্ধক্য ঠেকিয়ে রাখার যে ওষুধের কথা আপনি বলছেন তা নিয়ে কতটা কাজ হয়েছে?

ড. সিনক্লেয়ার: কিছু অণু আমরা খুঁজে বের করেছি - প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া যায়, আবার রসায়নাগারে তৈরি করা যায়। দু'রকমই। এগুলো বুড়ো হবার প্রক্রিয়া বিলম্বিত করতে এবং আয়ু বাড়াতে কাজ করবে এমন প্রতিশ্রুতি আমরা দেখতে পেয়েছি। প্রাণী দেহে এবং এমনকি মানুষের শরীরেও এগুলো কাজ করবে বলে গবেষণায় দেখা গেছে।

এর মধ্যে অন্তত দু'টি ওষুধ ইতোমধ্যেই বাজারে পাওয়া যায়। এ ধরনের একটা ভালো ওষুধের উদাহরণ হলো মেটফরমিন, যা টাইপ-টু ডায়বেটিস রোগীদের দেয়া হয়।

ডায়বেটিস রোগী, যারা মেটফরমিন খাচ্ছেন, তারা ডায়বেটিস হয়নি এমন মানুষের চেয়ে বেশিদিন বাঁচছেন এমন প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। হাজার হাজার যেসব মানুষ মেটফরমিন খান তাদের ওপর চালানো গবেষণার তথ্য-উপাত্ত নিয়ে ক্যান্সার, হৃদরোগ, আলঝাইমার এবং এই ওষুধের গুণাগুণ যাচাই করে দেখা হচ্ছে।

আমরা কি তাহলে মরব না? চিরকাল বাঁচব?

ড. সিনক্লেয়ার: না (হাসতে হাসতে), চিকিৎসা গবেষণা তাহলে কিসের জন্য বলুন?

আমাদের দীর্ঘ আয়ু আর সুস্থ জীবনের জন্য?

ড. সিনক্লেয়ার: অবশ্যই। ব্যাপারটা একই রকম। পার্থক্যটা হলো - আমরা চাইছি রোগ দেখা দিলে ব্যান্ডেজ না বেঁধে, আগেই রোগের শিকড়টা খুঁজে বের করা। সেটা করতে পারলে তার ফল অনেক ভালো হবে। আর গোটা শরীর তাতে উপকার পাবে।

আমরা চাই না যে হার্টের বয়স কমুক, কিন্তু মস্তিষ্কের ক্ষয় হোক, মস্তিষ্কের বয়স বাড়ুক। সেটা হলে মানুষের হার্টের অসুখ কমবে, কিন্তু আরও মানুষ আলঝাইমার রোগে ভুগবেন। আমাদের এমন পথ বের করতে হবে যেখানে শরীরের সব অংশ সুস্থ থাকবে। আমি সেই পথেই এগোচ্ছি।

এই উদ্ভাবন সামগ্রিকভাবে সমাজকে কীভাবে উপকৃত করবে?

ড. সিনক্লেয়ার: ধরুন, আপনার বয়স ৯০-এর বেশি। আপনি ব্যক্তিগতভাবে উপকৃত তো হবেন। আপনি নানা ধরনের কাজ করতে পারবেন - ধরুন আলাদা কেরিয়ার, আপনার নাতিপুতিদের সাথে খেলা করতে পারবেন। আপনার সন্তানদের বোঝা হয়ে থাকতে হবে না।

এরপর রয়েছে অর্থকরী সুবিধা। আমি, আমার সহকর্মীরা এবং লন্ডনের কিছু অর্থনীতিবিদের আনুমানিক হিসাব হলো, মানুষের গড় আয়ু মাত্র দু'বছর বাড়াতে পারলে, শুধু আমেরিকাতেই আগামী কয়েক দশকে দেশটির অর্থনীতিতে ৮৬ বিলিয়ন ডলার যুক্ত হবে। আর মানুষকে যদি আরও দশ বছর স্বাস্থ্যকর জীবন দেওয়া যায়, তাহলে এই মূল্য দাঁড়াবে ৩০০ বিলিয়ন ডলারে।

কোথা থেকে এই বাড়তি আয় আসব? মানুষ অসুস্থ হবে না। আমেরিকায় রোগের চিকিৎসায় খরচ হয় হাজার হাজার কোটি ডলার। আমি স্বাস্থ্য সেবার কথা বলছি না - চিকিৎসা সেবার হিসাব দিচ্ছি। চিকিৎসায় এই অর্থ যদি ব্যয় করতে না হয়, তাহলে তা শিক্ষা খাতে বা ধরুন জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় খরচ করা যাবে।

মেরিল লিঞ্চ ব্যাংকের একটা হিসাব বলছে এই খাতে এখন কয়েক হাজার কোটি ডলার অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে আরও বাড়বে? এই খাতে এত ব্যাপক অর্থ বিনিয়োগের ব্যাপারে এত উৎসাহ কেন?

ড. সিনক্লেয়ার: গোটা বিশ্বে সমাজের এই বিশাল চাহিদার জায়গাটা এখনও পূরণ হয়নি। পৃথিবীতে এমন একজন মানুষকেও পাওয়া যাবে না, যে এই গবেষণার সুফল ভোগ করবে না।

শরীরের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যদি বাড়ানো যায়, সেটা পৃথিবীতে একটা বিপ্লব আনবে। দশকের পর দশক জুড়ে বিশ্ব অর্থনীতিতে হাজার হাজার কোটি ডলার সাশ্রয় হবে।

এমন একটা বিশ্ব তৈরি হবে, যা আজকের পৃথিবী থেকে ভিন্ন।

বার্ধক্য রোধে কাজ করছে এমন অনেক প্রতিষ্ঠানের সাথে আপনি সরাসরি যুক্ত। আপনার কি মনে হয় না যে লোকে আপনাকে নিছক একজন গবেষক যিনি বিশ্বের কল্যাণে কাজ করছেন তা মনে না করে ভাবতে পারে এই বিশাল খাত থেকে মুনাফা অর্জনই আপনার মূল লক্ষ্য?

ড. সিনক্লেয়ার: আমার মূল লক্ষ্য মানুষকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করা। আর তার জন্য ওষুধ যদি লাগে, তাহলে সেই ওষুধ তৈরির জন্য একটা টিমকে তো কাজে লাগাতে হবে। আমি সেটাই করছি।

আপনি কি ব্যবসায়ী হিসেবে না থেকে সেটা শুধু গবেষক হিসেবে করতে পারতেন না?

না। কারণ, একটা ওষুধ তৈরি করতে লাখ লাখ ডলারের প্রয়োজন। কিন্তু আপনি কি মনে করেন না যে, এসব প্রতিষ্ঠানের সাথে আপনার সম্পৃক্ততার কারণে লোকে আপনার উদ্দেশ্যকে সন্দেহের চোখে দেখতে পারে?

আমার বিজ্ঞান তার নিজের ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠা পাবে। বিজ্ঞান সন্দেহের ঊর্ধ্বে - তা কখনও মিথ্যা প্রমাণিত হয়নি।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

 

 

এই বিভাগের আরও খবর
বয়স্কদের সুষম খাদ্য
বয়স্কদের সুষম খাদ্য
মাঝ বয়সে মূত্রাশয়ের সংক্রমণ গুপ্ত ক্যান্সারের সংকেত : গবেষণা
মাঝ বয়সে মূত্রাশয়ের সংক্রমণ গুপ্ত ক্যান্সারের সংকেত : গবেষণা
ইউনাইটেড হসপিটালে অধ্যাপক ডা. মোহসেনের যোগদান
ইউনাইটেড হসপিটালে অধ্যাপক ডা. মোহসেনের যোগদান
ভারতে নারীদের ক্যান্সারের প্রকোপ বেশি, মৃত্যুহার বেশি পুরুষের
ভারতে নারীদের ক্যান্সারের প্রকোপ বেশি, মৃত্যুহার বেশি পুরুষের
সাড়ে ৩ হাজার সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি
সাড়ে ৩ হাজার সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি
আত্মহত্যা প্রতিরোধ: নিতে হবে মনের যত্ন
আত্মহত্যা প্রতিরোধ: নিতে হবে মনের যত্ন
চিকিৎসা খরচে নাকাল রোগী
চিকিৎসা খরচে নাকাল রোগী
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ২৪৫
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ২৪৫
বিনামূল্যে নিজ রক্তের গ্রুপ জানলেন তিনশ’ মানুষ
বিনামূল্যে নিজ রক্তের গ্রুপ জানলেন তিনশ’ মানুষ
বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস : সুস্থ বার্ধক্যে ফিজিওথেরাপির গুরুত্ব
বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস : সুস্থ বার্ধক্যে ফিজিওথেরাপির গুরুত্ব
ফিজিওথেরাপি খাতে অপচিকিৎসা রোধে নিবন্ধন প্রদান করা হবে: সমাজকল্যাণ সচিব
ফিজিওথেরাপি খাতে অপচিকিৎসা রোধে নিবন্ধন প্রদান করা হবে: সমাজকল্যাণ সচিব
সারাদেশে ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ২ জনের মৃত্যু
সারাদেশে ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ২ জনের মৃত্যু
সর্বশেষ খবর
বৈশ্বিক অনিশ্চয়তায় সুদের হার অপরিবর্তিত ব্রাজিলের
বৈশ্বিক অনিশ্চয়তায় সুদের হার অপরিবর্তিত ব্রাজিলের

৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত-পাকিস্তানসহ ২৩ দেশকে ‘প্রধান মাদক পাচারকারী’ চিহ্নিত করলেন ট্রাম্প
ভারত-পাকিস্তানসহ ২৩ দেশকে ‘প্রধান মাদক পাচারকারী’ চিহ্নিত করলেন ট্রাম্প

১০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মালয়েশিয়া হালাল শোকেসের ২১তম আসরে বাংলাদেশ
মালয়েশিয়া হালাল শোকেসের ২১তম আসরে বাংলাদেশ

১১ মিনিট আগে | পরবাস

উখিয়ায় বন্যহাতির রহস্যজনক মৃত্যু
উখিয়ায় বন্যহাতির রহস্যজনক মৃত্যু

১৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

যুক্তরাষ্ট্রে দ্বীপে চীনের ‘গুয়াম কিলার’ আতঙ্ক
যুক্তরাষ্ট্রে দ্বীপে চীনের ‘গুয়াম কিলার’ আতঙ্ক

১৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’

২১ মিনিট আগে | জাতীয়

ফিলিপাইনে দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে জনতা
ফিলিপাইনে দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে জনতা

৩১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুবাইয়ে আবাসিক এলাকায় সাপ আতঙ্ক
দুবাইয়ে আবাসিক এলাকায় সাপ আতঙ্ক

৩৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকা রিজেন্সি –তে ট্যুরিজম ফেস্ট ২০২৫ এর উদ্বোধন
ঢাকা রিজেন্সি –তে ট্যুরিজম ফেস্ট ২০২৫ এর উদ্বোধন

৪২ মিনিট আগে | কর্পোরেট কর্নার

আফগানিস্তান সফরে মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দল
আফগানিস্তান সফরে মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দল

৫৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

মোংলায় ইয়াবাসহ নারী মাদক ব্যবসায়ী আটক
মোংলায় ইয়াবাসহ নারী মাদক ব্যবসায়ী আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচারে বদলাবে গ্রুপ চ্যাটের ধরণ
হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচারে বদলাবে গ্রুপ চ্যাটের ধরণ

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

উত্তরাখণ্ডে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ভেসে গেল গ্রাম, নিখোঁজ অন্তত ১০
উত্তরাখণ্ডে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ভেসে গেল গ্রাম, নিখোঁজ অন্তত ১০

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল থেকে গ্রেফতার ১১
আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল থেকে গ্রেফতার ১১

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বাংলাদেশি সমর্থকরা শীলঙ্কার জয়ের অপেক্ষায় রয়েছে : শানাকা
বাংলাদেশি সমর্থকরা শীলঙ্কার জয়ের অপেক্ষায় রয়েছে : শানাকা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা, নিহত ছাড়াল ৬৫ হাজার
গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা, নিহত ছাড়াল ৬৫ হাজার

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেলের অন্যতম সহযোগী গ্রেফতার
সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেলের অন্যতম সহযোগী গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বয়স্কদের সুষম খাদ্য
বয়স্কদের সুষম খাদ্য

১ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?
সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভোট, চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র
গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভোট, চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ
বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কর্মক্ষেত্রে হেনস্থার জেরে আত্মহত্যা, ৯০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ
কর্মক্ষেত্রে হেনস্থার জেরে আত্মহত্যা, ৯০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ

২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

তিন দফা দাবি মানল প্রশাসন, ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন জবি শিক্ষার্থীরা
তিন দফা দাবি মানল প্রশাসন, ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন জবি শিক্ষার্থীরা

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কঙ্গোতে ইবোলার নতুন প্রাদুর্ভাব, আতঙ্কে সাধারণ মানুষ
কঙ্গোতে ইবোলার নতুন প্রাদুর্ভাব, আতঙ্কে সাধারণ মানুষ

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুঁজিবাজার: সূচকের ওঠানামায় চলছে লেনদেন
পুঁজিবাজার: সূচকের ওঠানামায় চলছে লেনদেন

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

এয়ার ইন্ডিয়ায় দুর্ঘটনা, বোয়িং-হানিওয়েলের বিরুদ্ধে মামলা
এয়ার ইন্ডিয়ায় দুর্ঘটনা, বোয়িং-হানিওয়েলের বিরুদ্ধে মামলা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্র্যাপিস্ট-ওয়ানই গ্রহ নিয়ে নতুন আশা জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের
ট্র্যাপিস্ট-ওয়ানই গ্রহ নিয়ে নতুন আশা জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের

২ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

২০ কোটি বছরের পুরনো কোয়েলাক্যন্থ জীবাশ্ম শনাক্ত
২০ কোটি বছরের পুরনো কোয়েলাক্যন্থ জীবাশ্ম শনাক্ত

২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ উইকেটের জয় ইংল্যান্ডের
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ উইকেটের জয় ইংল্যান্ডের

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আশুলিয়ায় ৬ মরদেহ পোড়ানোর মামলায় তৃতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ
আশুলিয়ায় ৬ মরদেহ পোড়ানোর মামলায় তৃতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
দোহায় হামলা চালানোয় নেতানিয়াহুকে শাস্তি পেতেই হবে, হুঁশিয়ারি কাতারের
দোহায় হামলা চালানোয় নেতানিয়াহুকে শাস্তি পেতেই হবে, হুঁশিয়ারি কাতারের

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ
সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ

১১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা
আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান
এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’
‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

র‌্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা
র‌্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের যে প্রশ্নে চটে গেলেন ট্রাম্প (ভিডিও)
অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের যে প্রশ্নে চটে গেলেন ট্রাম্প (ভিডিও)

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শৈশবের ‘আলিয়া’কে জড়িয়ে ধরলেন বর্তমানের আলিয়া!
শৈশবের ‘আলিয়া’কে জড়িয়ে ধরলেন বর্তমানের আলিয়া!

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের
ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কেউ ভোট দিতে পারবেন না
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কেউ ভোট দিতে পারবেন না

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এখন আন্দোলন ডাকার মানে হলো আলোচনার টেবিলকে অসম্মান করা
এখন আন্দোলন ডাকার মানে হলো আলোচনার টেবিলকে অসম্মান করা

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মেট্রোরেল স্টেশনে দোকান ভাড়ার বিষয়ে নতুন বার্তা
মেট্রোরেল স্টেশনে দোকান ভাড়ার বিষয়ে নতুন বার্তা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ন্যাটোর আদলে আরব-ইসলামিক জোট তৈরির সম্ভাবনা, আতঙ্কিত ভারত?
ন্যাটোর আদলে আরব-ইসলামিক জোট তৈরির সম্ভাবনা, আতঙ্কিত ভারত?

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শ্রীলঙ্কা জিতলে বাঁচবে স্বপ্ন, হারলে কঠিন সমীকরণ বাংলাদেশের
শ্রীলঙ্কা জিতলে বাঁচবে স্বপ্ন, হারলে কঠিন সমীকরণ বাংলাদেশের

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ
পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ

৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জবি উপাচার্যসহ পুরো প্রশাসনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের
জবি উপাচার্যসহ পুরো প্রশাসনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের

২৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

অ্যাডিশনাল ডিআইজি জালাল উদ্দিন আহমেদের মৃত্যু
অ্যাডিশনাল ডিআইজি জালাল উদ্দিন আহমেদের মৃত্যু

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশে ফ্রান্স ভিসাসেবা চালু ভিএফএস গ্লোবালের
বাংলাদেশে ফ্রান্স ভিসাসেবা চালু ভিএফএস গ্লোবালের

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের নামে মামলা
ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের নামে মামলা

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান
আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?
সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা
ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১ কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা!
১ কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা!

১১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ইউক্রেনে প্রথমবারের মতো অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিলেন ট্রাম্প
ইউক্রেনে প্রথমবারের মতো অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিলেন ট্রাম্প

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনার আরও দুটি লকার জব্দ
হাসিনার আরও দুটি লকার জব্দ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ছয় মাসের মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন করে দায়িত্ব থেকে মুক্তি চাই
ছয় মাসের মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন করে দায়িত্ব থেকে মুক্তি চাই

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাতারগুলের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন: আসিফ নজরুল
রাতারগুলের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন: আসিফ নজরুল

১৯ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

স্বর্ণের দাম কমেছে
স্বর্ণের দাম কমেছে

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

একনেকে ৮ হাজার কোটি টাকার ১৩ প্রকল্প অনুমোদন
একনেকে ৮ হাজার কোটি টাকার ১৩ প্রকল্প অনুমোদন

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বর
জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বর

১৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

প্রিন্ট সর্বাধিক
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস

সম্পাদকীয়

বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!
বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আবার দখল সড়ক
আবার দখল সড়ক

রকমারি নগর পরিক্রমা

বিভাগের এক জেলায় পরীক্ষামূলক পিআর দিন
বিভাগের এক জেলায় পরীক্ষামূলক পিআর দিন

নগর জীবন

বিএনপির মনোনয়ন চান চারজন
বিএনপির মনোনয়ন চান চারজন

নগর জীবন

পলাতক মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে
পলাতক মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে

নগর জীবন

মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অন্যরা
মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অন্যরা

নগর জীবন

আমলাতন্ত্রে আটকা রোবোটিক সার্জারি
আমলাতন্ত্রে আটকা রোবোটিক সার্জারি

পেছনের পৃষ্ঠা

কিছু শক্তি নির্বাচন বিলম্ব করার চেষ্টায় : ড. ইউনূস
কিছু শক্তি নির্বাচন বিলম্ব করার চেষ্টায় : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন
শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে
রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে

পেছনের পৃষ্ঠা

বাঁশ এখন বাণিজ্যিক চাষের উদ্ভিদ
বাঁশ এখন বাণিজ্যিক চাষের উদ্ভিদ

পেছনের পৃষ্ঠা

যেখানেই সাধন সেখানেই দুর্নীতি
যেখানেই সাধন সেখানেই দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি
ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিক্ষোভ অবরোধ ভোগান্তি
বিক্ষোভ অবরোধ ভোগান্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

উদ্বোধনী দিনে মুখোমুখি কিংস-ফর্টিস
উদ্বোধনী দিনে মুখোমুখি কিংস-ফর্টিস

মাঠে ময়দানে

সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে
সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে

প্রথম পৃষ্ঠা

অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ
অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার
ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার

নগর জীবন

দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি
দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি

নগর জীবন

রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র
রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র

পূর্ব-পশ্চিম

এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি
এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি

প্রথম পৃষ্ঠা

পিআর পদ্ধতি হবে ধ্বংসাত্মক
পিআর পদ্ধতি হবে ধ্বংসাত্মক

নগর জীবন

সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সংকুচিত হবে শিক্ষার সুযোগ
সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সংকুচিত হবে শিক্ষার সুযোগ

নগর জীবন

দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন
দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন

প্রথম পৃষ্ঠা

রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে তুলকালাম
রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে তুলকালাম

পেছনের পৃষ্ঠা

অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি
অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি

নগর জীবন

দুর্গাপূজা ঘিরে যে কোনো হীন উদ্দেশ্য ব্যর্থ করে দিতে হবে
দুর্গাপূজা ঘিরে যে কোনো হীন উদ্দেশ্য ব্যর্থ করে দিতে হবে

নগর জীবন

রাকসুতে ম্যানুয়ালি ভোট গণনা চায় ছাত্রদল, বিপক্ষে শিবির
রাকসুতে ম্যানুয়ালি ভোট গণনা চায় ছাত্রদল, বিপক্ষে শিবির

পেছনের পৃষ্ঠা