একজন দৃষ্টিহীন ব্যক্তির কাছে এ জগত্টা পুরোপুরি অন্ধকার। বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ অন্ধত্বের কেউবা আবার ক্ষীণ দৃষ্টির স্বীকার। এদের মধ্যে কেউ জন্ম কেউবা আবার দুর্ঘটনার শিকার। বর্তমান প্রেক্ষাপটে কৃত্রিম চোখের চাহিদা বেড়েই চলেছে। জন্মগত বা দুর্ঘটনাজনিত কারণে যাদের একটি চোখ নেই বা তুলে ফেলতে হয়েছে তাদের জন্যই মুখের স্বাভাবিক গড়ন বজায় রাখতে প্রতিস্থাপন করা হয় কৃত্রিম চোখ। অত্যন্ত বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে অ্যাক্রিলিক পলিমার ফাইবার দিয়ে চোখ বানানো হচ্ছে। কৃত্রিম এই চোখ লাগানোর পরও মুখের গড়নের কিন্তু কোনো অস্বাভাবিকতা আসবে না। তাছাড়া অন্য ভালো চোখের মতোই এই কৃত্রিম চোখ ওপর-নিচ, ডানে-বাঁয়ে ঘোরানো যায়। ফলে আপনি কিন্তু আসল নকলের তফাত্ ধরতে পারবেন না। প্রচলিত চিকিত্সা সত্ত্বেও যাদের একটি চোখ সম্পূর্ণরূপে নষ্ট হয়ে গেছে বা দুর্ঘটনাজনিত কারণে চোখটি তুলে ফেলতে হয়েছে তাদের ক্ষেত্রেই প্রয়োজন এই কৃত্রিম চোখ প্রতিস্থাপনের। আবার অনেক সময় জন্মগত কারণেও এরকম হয়ে থাকে। অকুলোপ্লাস্টি সার্জনরা চোখ তুলে ফেলার পর বল ইমপ্লান্ট করেন যাতে মুভমেন্ট ভালো হয়। ছয় সপ্তাহের জন্য কনফরমার পরিয়ে দেন যাতে চোখ বুঝে না যায়, তারপর আরটিফিশিয়াল আই ফিটিংয়ের জন্য রেফার করে থাকেন। যাদের চোখ তোলা হয়নি অর্থাত্ থাইসিকাল আই তাদের ক্ষেত্রেও কাস্টমমেড আরটিফিসিয়াল আই লাগানো যায়। যাদের ক্যান্সার হয়ে চোখ নষ্ট হয়ে গেছে তাদের ক্ষেত্রে লাগানো হয় সিলিকন রাবার প্রসথেসিস বা স্পেক্টেকল প্রসথেসিস। অন্যদিকে ক্ষীণদৃষ্টিদের জন্যও আর্শীবাদ হয়ে এসেছে বিভিন্ন প্রযুক্তি। বর্তমানে যে এইড দিয়ে দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেওয়া যায় তা হলো আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি ডিভাইস অকুটেক ভেসপোর্ট। এছাড়া আরও আছে ম্যাগনি ফায়ার, হ্যান্ড ম্যাগনি ফায়ার ইত্যাদি। তবে যে চিকিত্সাই নেওয়া হোক না কেন অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শক্রমে নিতে হবে।
শুভাশিষ চৌধুরী, অপটোমেট্রিস্ট, অকিউলারিস্ট ও স্প্পেশালিস্ট।
ফোন: ০১৯১৪৭৫৭৫৮২