মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

খোস-পাঁচড়ায় কী করবেন

ডা. দিদারুল আহসান

খোস-পাঁচড়া (Scabies) ত্বকের একটি ছোঁয়াচে রোগ। এটি Sarcoptes Scabie নামক অতি ক্ষুদ্র পরজীবী কীট (Tiny Mite) দ্বারা হয়ে থাকে। এই পরজীবী কীট ত্বকের নিচে গর্ত করে বাস করে। অতি ক্ষুদ্র বলে চোখে ধরা পড়ে না। বিশ্বব্যাপী প্রায় যে কোনো বয়সের মানুষের খোস-পাঁচড়া হতে পারে। হতে পারে বছরের যে কোনো সময়। তবে শীতকালে খোস-পাঁচড়ার প্রকোপ অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেড়ে যায়। অত্যন্ত ছোঁয়াচে একটি রোগের নাম স্ক্যাবিস বা খোস পাঁচড়া, যা সারকপটিস স্ক্যাবি নামক ক্ষুদ্র মাইট দ্বারা হয়। মাইট উকুনের মতো ছোট জীবাণু। এটি কোনো যৌনরোগ নয়। যেহেতু রোগটি ছোঁয়াচে, সেহেতু খুব সহজেই পরিবারের অন্য সদস্যরা আক্রান্ত হয়। সাধারণত একই বিছানায় শোয়া বা ঘনিষ্ঠ সাহচর্যে থাকলে, একই কাপড়-চোপড় ব্যবহার করলে রোগটি ছড়িয়ে পড়ে। ঘনিষ্ঠ সাহচর্যে থাকার ফলে মাইট আক্রান্ত

ব্যক্তির শরীর থেকে অন্যদের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।

চেনা যায় যেভাবে : ত্বকের ওপর অনেক সোজা অথবা ‘ঝ’ আকারের কালো সুতার মতো ছোট ছোট রেখা দেখতে পাওয়া যায়, এটাকে বারো বলে। এ রেখার শেষভাগে ছোট দানা অথবা পানিযুক্ত ছোট দানা থাকে। এ দানাগুলোই মাইটদের আবাসস্থল। এখানে ডিম পাড়ে।

উপসর্গ : এ রোগের বিশেষ এবং প্রধান উপসর্গ হলো সারা শরীর চুলকানো। এ চুলকানি বিশেষত রাতের বেলায় বেশি হয়। রাতের বেলা বিছানার গরমের জন্য মাইটগুলো চামড়ার নিচে চলাচল করতে শুরু করে, ফলে রাতের বেলা বেশি চুলকানি অনুভূত হয়।

আক্রান্ত স্থান : আক্রান্ত স্থানে দানা দেখা যায়। স্থানগুলো হলো- হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে, কবজিতে, কনুই ও কনুইয়ের সম্মুখ ভাগে, স্তনের বোঁটায়, নাভি, তলপেট এবং যৌনাঙ্গের আশপাশে এবং শরীরের ভাঁজগুলোতে।

লেখক : চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ, আল-রাজী হাসপাতাল, ঢাকা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর