আগামী ৩০ বছর পর ব্যাংকের কার্যক্রম পরিচালিত হবে প্রযুুক্তির মাধ্যমে। প্রচলিত ব্যাংক ও ডিজিটাল-প্রথম ফিনটেক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ব্যবধান দ্রুত বাড়ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও নতুন প্রযুক্তি ব্যাংকিং খাতকে আমূল বদলে দিচ্ছে। তাই বাংলাদেশকে এখনই ভবিষ্যতের ব্যাংক গড়ে তুলতে হবে। সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ব্যাংকার্স মিট ২০২৫ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বিশ্বখ্যাত ফিনটেক বিশেষজ্ঞ ও ভবিষ্যৎবিদ ব্রেট কিং। সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক ফিনটেক প্রতিষ্ঠান ফিলপস লিমিটেড আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করে সিটি ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক ও এবি ব্যাংক। দেশের শীর্ষ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহীরা এতে অংশ নেন। মূল প্রবন্ধে ব্রেট কিং বলেন, বাংলাদেশে এখনই এআই গ্রহণের সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। আজকের দিনে ব্যাংক কেবল ব্যাংক নয়, এটি একটি প্রযুক্তিনির্ভর শিল্পে রূপ নিয়েছে, বলেন তিনি। ডিজিটাল অবকাঠামো, তাৎক্ষণিক সেবা এবং গ্রাহককেন্দ্রিক উদ্ভাবন প্রতিযোগিতার মূল চালিকাশক্তি হবে। তাঁর মতে, আগামী ৩০ বছরের মধ্যে মানুষ সরাসরি ব্যাংক পরিচালনা করবে না; ব্যাংক হয়ে উঠবে প্রযুক্তিচালিত প্রতিষ্ঠান। ব্রেট কিং বলেন, বিশ্বে দ্রুত বেড়ে ওঠা ব্যাংকগুলো প্রযুক্তিনির্ভর। বর্তমানে প্রায় ৮০ শতাংশ জেনারেশন জেড গ্রাহক প্লাস্টিক কার্ড নয়, বরং মোবাইল ওয়ালেট বা ফোন পেমেন্ট ব্যবহার করছে। অথচ বাংলাদেশে এখনো অনেকে নগদ অর্থকেই প্রাধান্য দেয়।
চীনের অভিজ্ঞতার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, দেশটি দ্রুততম সময়ে এআই ও অটোমেশনের ব্যবহার বাড়িয়েছে। বর্তমানে চীনের ৮০ শতাংশ বন্দর স্বয়ংক্রিয়, শুধু ২০২৪ সালেই তারা ২২৭ গিগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ স্থাপন করেছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের গত ৭০ বছরের সমান। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র প্রযুক্তি গ্রহণে পিছিয়ে পড়ছে। অনুষ্ঠানে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও সিটি ব্যাংকের এমডি মাসরুর আরেফিন বলেন, এ ধরনের আয়োজন আমাদের ব্যাংকিং খাতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্রেট কিংয়ের বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে যে, প্রযুক্তিনির্ভর উদ্ভাবন ছাড়া আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়।