তুরস্কের জাতীয় নির্বাচনে স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে জয় পেয়েছে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি একেপি। ১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে এরদোগানের একেপি পেয়েছে ৩১৬টি আসন। পার্লামেন্টে কোনো দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য দরকার মোট ৫৫০টি আসনের ২৭৬টি। সেই হিসাবে স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলো একেপি। তবে সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজনীয় আসন পায় দলটি। আর প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি সিএইচপি পেয়েছে ১৩৪টি আসন। এছাড়া পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি এইচডিপি পেয়েছে ৫৯টি আসন ও ন্যাশনালিস্ট মুভমেন্ট পার্টি এমএইচপি পেয়েছে ৪১টি আসন।
চলতি বছরের ৭ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছিল একেপি। ফলে ওই নির্বাচনে কোনো দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সরকার গঠনে ব্যর্থ হয় দেশটি। ওই নির্বাচনে একেপি পেয়েছিল ২৫৮টি আসন যা সংখ্যাগিরষ্ঠতার জন্য যথেষ্ট ছিল না। এর প্রেক্ষিতে ২১ আগস্ট সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার মধ্যে প্রেসিডেন্ট এরদোগান ১ নভেম্বর নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ নির্ধারণ করেন। নতুন নির্বাচনের মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় তার দল একেপি এখন একাই সরকার গঠন করতে যাচ্ছে।
গতকাল অনুষ্ঠিত নির্বাচনের প্রায় সব ভোট গণনা শেষ হয়েছে। এতে একেপি পেয়েছে ৪৯.৪ শতাংশ ভোট। আর প্রধান বিরোধী দল সিএইচপি পেয়েছে ২৫.৪ শতাংশ ভোট। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংখ্যা আনাদুলু এ তথ্য জানায়।
নির্বাচনে জয় লাভ করায় প্রেসিডেন্ট এরদোগান জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। নির্বাচনে তার দেশের জনগণ বিতর্ক নয়, বরং কাজ ও উন্নয়নকেই বেছে নিয়েছে বলে মন্তব্য করেন একেপির এ নেতা। খবর বিবিসির
বিডি-প্রতিদিন/২ নভেম্বর ২০১৫/শরীফ