আজ ভোররাতের ভূমিকম্পে ভারতের মনিপুর রাজ্যে নিহতের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ৮ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন আরো কমপক্ষে ১০০ জন। ভূমিকম্পে রাজ্যটির ইম্ফলে সবচেয়ে বেশি হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে।
ভারতের স্থানীয় সময় আজ ভোররাত ৪টা ৩৭ মিনিটে ৬.৭ মাত্রার এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস'র তথ্য অনুযায়ী, মিয়ানমার-ভারত সীমান্ত অঞ্চলে আঘাত হানা এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৬.৭। তবে রয়টার্সের খবরে তা ৬.৮ বলে জানানো হয়েছে। দেশটির আবহাওয়া দফতর জানায়, প্রায় এক মিনিট স্থায়ী এ ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ভারতের মনিপুর রাজ্যের তামেনগ্লং। তবে মনিপুর রাজ্য সরকারের মতে, এর কেন্দ্রস্থল ছিল ইম্ফল থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরের তামেনগ্লং এলাকার ননি গ্রামে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া ও এনডিটিভির
ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত তথ্য আসতে শুরু করেছে। দেশটির বিভিন্ন রাজ্য থেকে ক্ষয়ক্ষতির কথা জানানো হচ্ছে। মনিপুরের রাজ্যের ইম্ফলে বেশ কিছু ভবনে ফাটল দেখা গিয়েছে। অনেক ভবনের দেয়াল ধসে গেছে। বিভিন্ন এলাকার বেশ কিছু ভবনে ফাঁটল দেখা দিয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ কেউ জানিয়েছেন।
মণিপুর ছাড়াও দেশটির বিহার, আসাম, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অংশে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এছাড়া পার্শ্ববর্তী দেশ ভুটান এবং বাংলাদেশেও এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। বাংলাদেশে আতঙ্কিত হয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুও হয়েছে। এছাড়া কয়েকটি ভবনে ফাটলের ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে, ভূমিকম্প পরবর্তী পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে আসাম সফররত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক টু্ইট বার্তায় একথা জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, উত্তরপূর্ব ভারতকে বিশ্বের ষষ্ঠ ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল বিবেচনা করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/৪ জানুয়ারি ২০১৬/শরীফ