উত্তর কোরিয়া হাইড্রোজেন বোমার সফল পরীক্ষা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটি। এর আগে, ইতোপূর্বে পরমাণু পরীক্ষার জন্য ব্যবহৃত হওয়া উত্তর কোরিয়ার একটি কেন্দ্রের কাছাকাছি ৫ দশমিক ১ মাত্রার ভূকম্পন শনাক্ত হওয়ার পরই দেশটির পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হল। খবর বিবিসির।
দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বলছে, মঙ্গলবার সকালে দেশটির পুংগাই-রি এলাকায় হাইড্রোজেন বোমার সফল পরীক্ষা চালিয়ে দেশটি। এতে ওই এলাকায় ৫ দশমিক ১ মাত্রার ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। তবে দেশটির আবহাওয়া সংস্থার মতে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ২।
বিবিসি বলছে, ২০০৬ সাল থেকে উত্তর কোরিয়া ভূগর্ভে তিন দফা পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয়। এসব পরীক্ষার সবগুলোই পুংগাই-রি নামের একটি স্থাপনায় চালানো হয়।
এর আগে, উত্তর কোরিয়ার প্রতিবেশী দেশ চীন, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়া জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি মানব-সৃষ্ট এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এর অর্থ উত্তর কোরিয়া নতুন একটি পরমাণু পরীক্ষা চালিয়েছে বলে দাবি করেছিল।
তবে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বলছিল, অল্প সময়ের মধ্যেই ‘বিশেষ, তাৎপর্যপূর্ণ’ ঘোষণা দেওয়া হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, পুংগাই-রি থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে নতুন ভূমিকম্পন শনাক্ত হয়। এটির উৎপত্তিস্থল ছিল মাটির ১০ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পটি মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ১। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার আবহাওয়া সংস্থার মতে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ২।
জাপানের মন্ত্রিসভা সচিব ইয়োশিহিদে সুগা বলেন, “আগের ঘটনাগুলো বিবেচনা করে বলা যায়, এটি উত্তর কোরিয়ার একটি পরমাণু পরীক্ষা হতে পারে।”
প্রসঙ্গত, হাইড্রোজেন বোমা পারমাণবিক বোমার চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। ‘থার্মোনিউক্লিয়ার বোমা’ নামেও এটি পরিচিত। সাধারণ পারমাণবিক বোমার সঙ্গে এর মূল পার্থক্যটা হলো, এটি হাইড্রোজেন ফিউশনের মাধ্যমে বিস্ফোরিত হয়। অন্তত ৫০ কিলোটন ক্ষমতাসম্পন্ন হয়ে থাকে এ বোমা।
বিডি-প্রতিদিন/০৬ জানুয়ারি, ২০১৫/মাহবুব