বার্তা ছড়িয়ে দেয়ার সুযোগ করে দিয়ে ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) শক্তিশালী করার জন্য দায়ী করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এই জঙ্গি গোষ্ঠীর হামলায় নিহত এক ব্যক্তির স্ত্রী।
বুধবার ক্যালিফোর্নিয়ার অকল্যান্ডের ফেডারেল কোর্টে এই মামলাটি করেন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার বাসিন্দা টামারা ফিল্ডস। তিনি জানান, তার স্বামী লয়েড কার্ল ফিল্ডস গত ৯ নভেম্বর জর্ডানে একটি পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন। ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস।
টামারার অভিযোগ, টুইটার ‘জেনে অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে চুপ থেকে’ সন্ত্রাসীদের এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের সুযোগ দিয়েছে, যাতে তারা নিজেদের বক্তব্য প্রচার, অর্থ সংগ্রহ ও সদস্য সংগ্রহের কাজ করতে পেরেছে।
সান ফ্রান্সিসকোভিত্তিক টুইটার কর্তৃপক্ষ কিছুদিন আগ পর্যন্ত আইএসকে অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট চালিয়ে যেতে দিয়েছে বলে অভিযাগ করেন তিনি।
টুইটার ছাড়া গত কয়েক বছরে আইএসের এত শক্তি সঞ্চয় করে বিশ্বের সবচেয়ে ভীতিকর সন্ত্রাসী গোষ্ঠীতে রূপ নেয়া সম্ভব হত না বলে দাবি করেন টামারা।
একইসঙ্গে টুইটার কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন তিনি। তবে এক বিবৃতিতে ওই অভিযোগকে ভিত্তিহীন দাবি করেছে টুইটার কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, এই মামলার কোনো ভিত্তি নেই বলে আমরা বিশ্বাস করি। তবে ওই পরিবারের অপূরণীয় ক্ষতির কথা জেনে আমরা গভীরভাবে ব্যথিত।”
বিডি-প্রতিদিন/১৫ জানুয়ারি, ২০১৬/মাহবুব