ভারতের তামিলনাড়ুর তুতিকোরিন শহরের কাছে সমুদ্র সৈকতে উঠে আসা তিমিদের মৃত্যু অব্যাহত রয়েছে। এ পর্যন্ত ৭৩টি তিমির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও মৎস্যজীবীরা তাদের সমুদ্রে ফেরত পাঠালেও পরে তাদের অনেকগুলো আবার সৈকতে ফিরে আছড়ে পড়ে মারা যাচ্ছে বলে অনেকে এটাকে আত্মহত্যা বলে অবিহিত করছেন। খবর বিবিসির।
তামিলনাড়ু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার ৩৬টি তিমি উদ্ধার করে তুতিকরিন এলাকার সমুদ্রে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে এদের মধ্যে ২৮টি তিমি আবারও সৈকতে ফিরে আসে ও গত বুধবার মৃত্যুবরণ করে।
এর আগে, ভারতের তামিলনাডুতে তুতিকোরিন শহরের কাছে সমুদ্রতটে উঠে আসা ৮১টি তিমির মধ্যে ৪৫টির মারা যায়। সর্বশেষ ১৯৭৩ সালে তুতিকরিনে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। সেবার ১৪৭টি তিমি মারা যায়।
তবে ঝাঁক বেঁধে তীরে এসে তারা কেন এভাবে নিজেদের জীবন বিসর্জন দিচ্ছেন, তা নিয়ে এখনও কোন স্পষ্ট উত্তর মেলেনি।
বিশেষজ্ঞদের অনেকে ধারণা করছেন খাবারের সন্ধানে সৈকতের কাছে অগভীর সমুদ্রে এসে পড়েই ওই তিমিগুলো আটকে পড়েছিল। তবে তাদের সমুদ্রে নামিয়ে দেওয়ার পরও কেন আবার সৈকতে ফিরে আসলো তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।
ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স, এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের মেরিন বায়োলজিস্ট পুণ্যশ্লোক ভাদুড়ী জানান, বঙ্গোপসাগরে সমুদ্রস্রোতের ‘সার্কুলেশন প্যাটার্ন’ পাল্টাচ্ছে – ফলে তিমিরা মাঝসমুদ্রে যথেষ্ট পরিমাণে খাবার পাচ্ছে না বা ঠিক সময়ে সেটা পাচ্ছে না। এই কারণেই তারা খাবারের সন্ধানে সৈকতের কাছে অর্থাৎ অগভীর জলের দিকে চলে আসছে – এবং সেখানে খাবার পাক বা না-পাক, জলটা অগভীর হওয়ার কারণে অনেক সময়েই আটকা পড়ছে।
বিডি-প্রতিদিন/১৫ জানুয়ারি, ২০১৬/মাহবুব